আমাদের সমস্যা গাদাখানিক।
কেউ ভালো কিছু করলে আমাদের শরীরের বিশেষ জায়গা চুলকায়।
তা ভালো হোক বা খারাপ, আমাদের কারো কারো তার বিরুদ্ধাচরন করা নিয়মে পরিণত প্রায়। আর তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য শিল্পবোধ থেকে শুরু করে রজিনীতি সবই আক্রান্ত হয়। ভালো জিনিসকে ভালো বললে আর খারাপ জিনিসকে খারাপ বললে আপনার বা আমার পিতার নাম পরিবর্তন হয় না। তবে দেশকে দাড়ি টুপি পরা কাঠমোল্লাদের হাতে তুলে দিতে আমার ব্যাপক আপত্তি। আমাদের এই ভূমির আদিপুরুষ- অস্ট্রিক, নর্ডিক আর তার পরে মঙ্গোলিয়ান জাতিগোষ্ঠীর প্রতি যে অবিচার আমরি করেছি তার ইতিহাস কে বলছে। এই যে বঙ্গভূমি, তাতে কায়েমি শাসন করতে এসে মুসলিমরা যে অত্যাচার করে গেছে ( এখনও সংখ্যালঘুদের উপর তা বলবৎ রয়েছে পরোক্ষ আর ক্ষেত্র বিশেষে প্রত্যক্ষ যেমন অনেক নাম করা ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি শালা মালুর বাচ্চা...... ).... কোনকালে আমরা ছিলাম নিম্ন বর্ণীয় হিন্দু বা বৌদ্ধ। আমাদের এই বঙ্গভূমির অধিকাংশ মানুষের আদিপিতাই তাই। আমরা ঘোষণা দিয়ে ভাঙতে চেয়েছি দেশের সমস্ত ভাস্কর্য। তার আগে দেখতে হবে সৌদি বিশ্বে (যাদের আমাদের ধর্মীয় নেতারা নিজের আব্বা মনে করেন, এবং আমার মনে হয় একটা ডিএনএ টেস্ট করিয়ে তাদের এই ধারণা কতোটুকু ঠিক তার পরীক্ষা হয়ে যেতে পারে) ভাস্কর্যের কি অবস্থা। এমনকী আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি খোদ সেীদি আরবেই ভাস্কর্যশিল্পের বেশ ভালো একটি চর্চা হয়। আর পুরনো জিনিসপত্রের তাদের যে বিস্ময়কর সংগ্রহ তাতেও বিধর্মী, কাফির আর মুর্তাদদের দেব দেবীরা রয়েছেন। একজন প্রত্নতত্ত্বের ছাত্র হিসেবে এটা আমার জানা। আমাদের এই বঙ্গভূমিতে যদি এই ধরণের এক্সট্রিমিজম এর চর্চা চলতে থাকে, আমি ভীত কান্তজীর মন্দির, পাহাড়পুরের টেরাকোটা গুলো নিয়ে। আমি ভীত প্রাচীন সেসব বিগ্রহ, প্রাচীন চিত্রকলা, শিল্পের আরো এমন হাজারো নিদর্শন নিয়ে।
কাজেই আমরা একটু বুঝে শুবে বিরোধিতা করি। অন্তত একটি দেশ যে দেশে অন্তত গৌতম বুদ্ধের মতো, মীননাথের মতো, লালন সাঁইয়ের মতো অন্তত শ'খানেক দার্শনিক তাদের মতবাদ রেখে গেছেন। ধর্মীয় সহিষ্ঞুতা আমাদের আদি সমাজব্যবস্থায় ছিলো, ছিলো শিল্প সংস্কৃতি চর্চার মুক্ত পরিবেশ। সেই পরিবেশ কে আবারো ফিরিয়ে আনি।