somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই উত্তরটি সততার আলো ভাইয়ের জন্য...... তবে মনে হয়েছে অন্যদেরও পড়া উচিত তাই মন্তব্য চালাচালি থেকে এখানে দিলাম।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাই সততার আলো....
আপনার কথা হতেই একটি জিনিস স্পষ্ট।
"যে আলো একজন সাধারন এবং উদ্ভ্রান্ত এবং উচ্ছৃংখল যুবককে পরশ পাথরে পরিণত করে।আর সে আলোর নাম ইসলাম ছাড়া আর কিছু যে নয় তা আপনি প্রত্নতত্ব ঘাটলেও পাবেননা।"
আপনি স্পষ্টই অন্য ধর্মকে হেয় করছেন। কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ বা কোন ধর্ম বড়, কোন ধর্মে নির্বাণ পাওয়া যায় তা কিন্তু আলোচনার বিষয় নয়।

"সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা মুসলমানদের চরিত্রে নেই। যা মিডিয়াতে মাঝে মাঝে শোনা যায় তা মিথ্যা প্রচারনা ছাড়া আর কিছু নয়।"

আপনি ভুলে যেতে বলেন পার্বত্য সমস্যার কথা। আপনি যদি ইতিহাস ভালোই জেনে থাকেন- তবে আপনার জানার কথা-
ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত আরবরা প্রথম ভারত অভিযান করে অষ্টম শতকে, খলিফা ওয়ালিদের সময়ে। বলা হয় মসজিদ উলেমাদের প্ররোচনায় এ অভিযান চালানো হয়, খলিফার অনুমতি না নিয়ে। তবে তা কোন আনুষ্ঠানিক অভিযান বা দেশ জয়ের অভিযান ছিলো না। ১০ম শতাব্দীতে এসে তুর্কীরা অভিযান চালায়। ৩য় অভিযান হয় একাদশ শতাব্দীতে। গজনীর সুলতান মাহমুদ থানেশ্বর, কনৌজ ও মথুরা, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের তিনটি কেন্দ্র ধ্বংস করেন ও সোমনাথের মন্দির লুট করেন। ১২শ শতাব্দীতে ৪র্থ অভিযান হয় মহম্মদ ঘুরির, যার নেতৃত্বে ছিলেন বখতিয়ার খিলজি। বেনারস শহর রক্তের বন্যায় ভাসে, বৌদ্ধ বিহার ও হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেন। এর মধ্যে অন্যতম নালন্দা, ওদন্তপুরী, বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিহার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত পুঁথিপত্র জ্বালিয়ে দেবার পাশাপাশি বুদ্ধ মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলেন। মন্দিরের হিন্দু পুজারি, আর বৌদ্ধ বিহারের নিরীহ ভিক্ষুদের তরবারির আঘাতে মুন্ডুচ্ছেদ করা হয়। বহু মানুষকে জোর করে ভয় দেখিয়ে ধমান্তরিত করা হয়। খিলচজ ও তার দলবল শিল্প সমন্বিত প্রাচীন ভাস্কর্য ও স্থাপত্য ধ্বংস করে ইসলামের নামে (এখনকার সাথে খুব বেশি একটা পার্থক্য নেই)

প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশের ধর্মে রাজনীতির স্থান নেই, আছে আধ্যাত্মিকতা চেতনার, দর্শনশাস্ত্রের আর মুক্তচিন্তার। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামের যে ভার্শনটি এসেছে তা রাজনৈতিক। কোরআনে আর হাদীসে যাই থাকুক না কেন দার অল ইসলাম আর দার অল হরব দুভাগে ভাগ করবেই রাজনৈতিক ইসলামপন্থীরা। তাই সারা বিশ্বে ইসলাম পন্থীরা চিরকাল অন্যদের হজম করতে না পেরে রণনীতির আশ্রয় নিয়েছে। স্যামুয়েল পি হান্টিংটনের বিখ্যাত বই 'দ্য ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশনস এন্ড দ্য রিমার্কিং অফ ওয়ার্ল্ড অর্ডার' এ বলেছেন

Militarism, indigestibility, and proximity to non-Muslim groups….. could explain muslim conflict propensity troughout history, if that is the case.
এই ঐতিহাসিক আরো একটি কারণ বলেছেন The demographic explosion in muslim societies and the availability of large numbers of often unemployed males between the ages of fifteen and thirty is a natural source of instability and violence both within islam and against non muslim.

এর বেশি আর কি কিছু বলার প্রয়োজন আছে?
১১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তুই পাগল তোর বাপে পাগল

লিখেছেন আজব লিংকন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



রাতে অর্ধেক কাউয়া ক্যাচাল দেইখ্যা হুর বইল্যা— মোবাইল ফোনের পাওয়ার বাটনে একটা চাপ দিয়া, স্ক্রিন লক কইরা, বিছানার কর্নারে মোবাইলটারে ছুইড়া রাখলাম।

ল্যাপটপের লিড তুইল্যা সার্ভারে প্রবেশ। বৃহস্পতিবারের রাইত... ...বাকিটুকু পড়ুন

যত দোষ নন্দ ঘোষ...

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

"যত দোষ নন্দ ঘোষ"....

বাংলায় প্রচলিত প্রবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যে যত দোষ করুক না কেন, সব নন্দ ঘোষের ঘাড়েই যায়! এ প্রবাদের সহজ অর্থ হচ্ছে, দুর্বল মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমাদের বাহাস আর লালনের গান

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪১


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হৈচৈ হচ্ছে, হৈচৈ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। একটা পক্ষ আগের সরকারের সময়ে হৈচৈ করত কিন্তু বর্তমানে চুপ। আরেকটা পক্ষ আগে চুপ ছিল এখন সরব। তৃতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ থাকে না কেউ থেকে যায়

লিখেছেন বরুণা, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৩


চমকে গেলাম হঠাৎ দেখে
বহুদিনের পরে,
নীল জানালার বদ্ধ কপাট
উঠলো হঠাৎ নড়ে।

খুঁজিস না তুই আর খুঁজিনা
আমিও তোকে আজ,
আমরা দু'জন দুই মেরুতে
নিয়ে হাজার কাজ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরও একটি কবর খোঁড়া

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৪

গোরস্থানে গিয়ে দেখি
আরও একটি কবর খোঁড়া
নতুন কেউ আজ মরেছে
এমন করে বাড়ছে শুধু
কবরবাসী, পৃথিবী ছেড়ে যাবে সবাই
মালাকুল মওত ব্যস্ত সদাই
কখন যে আসে ঘরে
মৃত্যুর যে নেই ক্যালেন্ডার
যে কোন বয়সে আসতে পারে
মৃত্যুর ডাক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×