somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেসবুকে স্টাটাসের উপর নজারদারি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা অতপর আমরা কতটুকু স্বাধীন ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সম্প্রতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে অভিয়োগ আনা হয়েছে তার ফেসবুকের একটি স্টাটাস দেয়ার কারনে । আর এ বিষয়ে মাহামন্য হাইকোর্ট সুয়োমুটো রুল জারি করেছে, আর দেয়া স্টাটাসটা নাকি এমন যে, খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার এবং সাংবাদিক মিশুক মনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেছেন
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার জন্যও বলা হয়েছে। তিনি এখন শিক্ষাছুটিতে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।
......................
আদালত থেকে সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। বিষয়টিতে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না এ মর্মে স্বরাষ্ট্র সচিব, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টালিজেন্সের মহাপরিচালক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ আরো দুইজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
.....................
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের কর্মস্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে, যারা শনিবার তদন্তকাজ শুরু করবেন।
বাংলাদেশে এই প্রথম কোন আদালত সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মতামত নিয়ে তদন্ত এবং মামলা করার নির্দেশ দিলেন।
.........
সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসা‌ইট ফেসবুকে গত রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একজন প্রভাষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ।
আমার বক্তব্য হল, তাহলে মানুষের বক্তব্য দেয়ার কি কোন ধরনের স্বাধীনতা নেই ? নাকি সব কথা বলার আগে আমাদেরকে আদালতের নির্দেশনা নিতে হবে । আর আদালত যদি সব বিষয় দেখে তাহলে সরকারের দরকার কি ?
আর এটি কোন অর্থে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী তাও তো কারোর বেধগম্য নয় ।
................................
তাহলে এখন একটি অবস্থা যে, সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না । কারন এই সরকারের বিরুদ্ধে বলা মানে কুফরী করার সামিল । কিন্তু এই সরকারকে একটি কথা মনে রাখা দরকার, ক্ষমতা কখনো স্থায়ী হয় না । নেপালের রাজপরিবার, আরব বিশ্বের স্বৈরাচারী শাষকদের সাম্প্রতিক পতন কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ।


সম্প্রতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে অভিয়োগ আনা হয়েছে তার ফেসবুকের একটি স্টাটাস দেয়ার কারনে । আর এ বিষয়ে মাহামন্য হাইকোর্ট সুয়োমুটো রুল জারি করেছে, আর দেয়া স্টাটাসটা নাকি এমন যে, খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার এবং সাংবাদিক মিশুক মনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেছেন
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার জন্যও বলা হয়েছে। তিনি এখন শিক্ষাছুটিতে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।
......................
আদালত থেকে সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। বিষয়টিতে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না এ মর্মে স্বরাষ্ট্র সচিব, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টালিজেন্সের মহাপরিচালক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ আরো দুইজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
.....................
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের কর্মস্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে, যারা শনিবার তদন্তকাজ শুরু করবেন।
বাংলাদেশে এই প্রথম কোন আদালত সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মতামত নিয়ে তদন্ত এবং মামলা করার নির্দেশ দিলেন।
.........
সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসা‌ইট ফেসবুকে গত রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একজন প্রভাষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ।
আমার বক্তব্য হল, তাহলে মানুষের বক্তব্য দেয়ার কি কোন ধরনের স্বাধীনতা নেই ? নাকি সব কথা বলার আগে আমাদেরকে আদালতের নির্দেশনা নিতে হবে । আর আদালত যদি সব বিষয় দেখে তাহলে সরকারের দরকার কি ?
আর এটি কোন অর্থে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী তাও তো কারোর বেধগম্য নয় ।
................................
তাহলে এখন একটি অবস্থা যে, সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না । কারন এই সরকারের বিরুদ্ধে বলা মানে কুফরী করার সামিল । কিন্তু এই সরকারকে একটি কথা মনে রাখা দরকার, ক্ষমতা কখনো স্থায়ী হয় না । নেপালের রাজপরিবার, আরব বিশ্বের স্বৈরাচারী শাষকদের সাম্প্রতিক পতন কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ।
১০টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×