গতকাল একটা খবরে দেখলাম ৮৮ বছরের এক বৃদ্ধ যে কিনা হুইল চেয়ারের জীবন যাপন করছে তাকেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য দন্ড দেয়া হয়েছে! যদিও সাধারণ দৃষ্টি তে তার অপরাধ হয়ত চোখে পরবেনা! সেই ব্যক্তিটি বলেছে, সে শুধু হাই কমান্ড এর নির্দেশ পালন করেছে, যদি তা না করা হত তাহলে তার চাকরির শপথ ভঙ্গ করা হত এবং সে নিজেই মারা পরত!
আর ১৯৭১ এ আমাদের দেশে কি হয়েছে তা কম বেশি আমরা সবাই জানি! একটা দেশ যখন ভাঙ্গার মত পরিস্থিতি হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই ২টি পক্ষ তৈরী হতে পারে যার একদল চাইবে দেশটি যেন ভাঙ্গা না হয়, আর আরেকটি দল চাইবে যেন তারা আলাদা হয়! সাধারণ ভাবে আমরা কাওকেই এজন্য দোষারোপ করতে পারি না! কিন্তু আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না, যেখানে অপরাধের বিচার করা হবে সেখানে কেন এত বিলম্ব বা গড়িমসি!
অপরাধের বিচার হবে এর বিরোধিতা কেন?
হঠাত আমার একটা ধারণা হলো, কেন এত বিলম্ব! নিচের অনুচ্ছেদ টা দেখুন,
"১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ১৯ নম্বর আইন হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন ১৯৭৩ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে যুদ্ধাপরাধের ব্যাখ্যায় খুন, নির্যাতন, বেসামরিক লোকদের বাংলাদেশের রাজ্যসীমায় দাসশ্রমিক হিসেবে ব্যবহার এবং দেশ থেকে বিতাড়ন, যুদ্ধবন্দী ও সাধারণ বন্দীদের হত্যা এবং সামরিক প্রয়োজনের বহির্ভূত ধ্বংশাত্মক কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি দখলকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।" (wiki থেকে নেয়া)
এথেকে কি এটাই বোঝা যায় না, অনেক রাঘব বোয়াল এতে ফেসে যাবেন? কারণ হত্যার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তো কম দখল হয়নি!
এক বন্ধু বলেছে যার পরিবারের বিরুদ্ধে সেইসব অপরাধ হয়েছে (মানে যারা ভুক্তভোগী) কেবল মাত্র তারাই এর যন্ত্রণা বুঝতে পারবে! আমাদের মনে রাখা উচিত, যেকোনো ধরনের অপরাধ আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধেও ঘটতে পারে! তাই, যত দ্রুত এই অপরাধের বিচার হবে ততই সাধারণ জনগনের জন্য মঙ্গল আর যেকোনো ভবিষ্যত অপরাধীর জন্য সাবধানবাণী যে "পাপ বাপ কেও ছাড়ে না"!