মনে প্রাণে দোআ করি আল্লাহু যেন দেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে এরকম করে একজন নারী দেন যারা বিশ্বের দরবারে দেশের মুখ
উজ্জল রাখবে । ফরিদপুরের সাহেদা বেগম একজন নারী এবং গৃহিনী হয়ে তিনি কৃষি ক্ষেত্রে যে সাফল্য আনছেন সেটা সম্পূণ্য
দেশের মানুষের জন্য দৃষ্টনীয় এবং প্রশংসনীয় যোগ্য কাজ ।পিয়াজ এবং পিয়াজ বীজ এই জেলায় বেশি পরিমাণে আবাদ হয়ে
থাকে। ফলে পিয়াজ আবাদের রাজধানী হিসাবে ধরা হয় ফরিদপুরকে।আর দীর্ঘদিন ধরেই এই জেলার চাষিরা পিয়াজ বীজের
আবাদ করে আসছেন।আর সেই সুবাধে এবার সকলকে পেছনে ফেলে তাক লাগালেন কিষানী সাহেদা বেগম। ফরিদপুরের
অম্বিকাপুরের কিষানী সাহেদা বেগমকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন তার ব্যাংকার স্বামী আর তার সহযোগিতায় গৃহিণী
থেকে সাহেদা বেগম এখন সারা দেশে সেরা কিষানী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। পিয়াজ বীজ উৎপাদনকারী হিসাবে
দেশের যে কজন চাষি রয়েছেন তার মধ্যে সাহেদা বেগম রয়েছেন সেরা ।
১৫ বছর আগে তিনি স্বামী সহায়তায় কৃষিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন । তারপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কৃষিতে নানা প্রশিক্ষণ নিলেও বর্তমানে পিয়াজ বীজ উৎপাদনের দিকেই তিনি বেশি আগ্রহি। বাড়ির সব কাজ সামাল দিয়ে তিনি চাষিদের সঙ্গে নানা কাজে সহায়তা করেন।তিনি নিজেই পিয়াজ বীজের বাছাই থেকে শুরু করে ধোয়া ও শুকানো, ড্রামে ভর্তি এবং প্রসেজিং, প্যাকেটজাত সহ সকল কাজ করেন।আর তার সঙ্গে এসব কাজে সহযোগিতা করেন প্রায় অর্ধশতাধিক নারী,পুরুষ শ্রমিক।তাছাড়াও সাহেদা বেগমের
বাড়িতে থেকে খেয়ে সারা বছর কাজ করেন উত্তরবঙ্গের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ দিনমজুর।
৫ বছর আগে সাহেদা বেগম ‘খান বীজ ভান্ডার’ নামে লাইসেন্স নিয়ে প্যাকেটজাত বীজ বিক্রি করছেন। দেশের সেরা বীজ উৎপাদনকারী হিসাবে সাহেদা বেগমের সুনাম থাকায় সরকারের অনুমোদন পেয়েছে ‘খান বীজ ভান্ডার’। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বীজ কিনতে তাঁর বাড়িতে ছুটে আসেন পিয়াজ চাষিরা।
পিয়াজ বীজ সংরক্ষণে সরকারের কাছে এ অঞ্চলে একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি জানানোর পাশাপাশি সহজশর্তে ঋণের দাবি জানান দেশসেরা এ কিষানী। তিনি বলেন, দেশের বেশির ভাগ পিয়াজ বীজ আবাদ হয়ে থাকে ফরিদপুরে। ফলে এ পিয়াজ বীজ সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার জরুরি। হিমাগার হলে পিয়াজ বীজ নষ্ট হবে না।
সূত্র: এখানে