somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতার পথে ফিলিস্তিন? ***************

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ কয়েকদিন যাবত সংবাদমাধ্যমের নিউজগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার ফিরে পাচ্ছে। বিগত কয়েক দশক যাবত বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম দেশগুলোতে অত্যাচার, নির্যাতন আর নিষ্পেষণের মূল হোতা ইসরাঈল নামক জারজ রাষ্ট্রটি মুসলামানদের নিকট অতি পরিচিত ও ভালোবাসার দেশ ফিলিস্তিনের বুকে সরাসরি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার নারী শিশু বৃদ্ধাদের সেখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য অগণিত বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোন একটা মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের পক্ষে জোড়ালো কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। আর তথাকথিত আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষে না গিয়ে বরং ইসরাঈলকেই সাহায্য করেছে। কিন্তু কেন একটা মুসলিম দেশ তাদের জন্য জোড়ালো কোন ভূমিকা পালন করেনি? মুসলমানরা কি সংখ্যায় কম? তাদের কি সেনাবাহিনীর অভাব? তাদের কি অর্থের অভাব? নাকি নিজেদের মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক , সাহস সবকিছূ ঐ ইহুদী নাসারাদের কাছে জিম্মি রাখা হয়েছে? দুইশত কোটি মুসলমানের এই বিশ্বে গুটিকয়েক ইহুদীদের হাতে মার স্বজাতীকে এভাবে মার খেতে দেখে কী কোন একজন মুসলিম শাসকের বুকে কান্না আসেনি? হায়রে মুসলমান!....................

একজন মুসলমান হিসাবে স্বজাতীয় ভাইদের আমি মুক্তি চাই। আমি চাই পৃথিবীর কোথাও কোন একজন মুসলমান কাফেরের হাতে মার তো দুরের কথা, একটা ধমকও যেন শুনতে না হয়। আর ফিলিস্তিন সেতো শুধুমাত্র একটা মুসলিম দেশ নয়। এটাতো মুসলমানদের জন্য আবেগের জায়গা। এই অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত ছিল মুসলমানদের ভালোবাসার প্রথম কেবলা বাইতুল মাকদিস। আর তাই এই অঞ্চলের স্বাধীনতার সংবাদ শুনলে মনটা বেশী খুশী হয়। অনেক বেশী আনন্দিত হই। আর তাই দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন অতি তাড়াতাড়ি ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দান করেন। আমীন

কিন্তু ভাবনার বিষয় ফিলিস্তিন আজ কোন পথে যাচ্ছে। আসলেই কি ফিলিস্তিন স্বাধীন হচ্ছে? নাকি চিরতরে আমেরিকা ইউরোপের গোলামে পরিণত হচ্ছে। তাদের এই স্বাধীনতার পিছনে যুদ্ধা কারা? আমেরিকা ইউরোপের লাল চামড়ার কুকুরগুলো কী মুসলমানদেরকে সেখানে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করে দিবে? নাকি তাদের বানানো বিশ্বলোটের ব্যবস্থা মুসলিম শোসনের হাতিয়ার গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দিবে। যেই গণতন্ত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ক্ষমতাকে জনগণের হাতে তুলে দেয়ার নাম করে সারা বিশ্বটাকে কয়েকটা দাদা রাষ্ট্র লুটেপুটে খাচ্ছে। আর মুসলমানরাও বুঝে না বুঝে সেই গনতন্ত্রের পথে চলতে গিয়ে শিরকের মধ্যে লিপ্ত হচ্ছে।
জাতিসংঘের করুণায় ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে কী হবে ? সেখানে কতগুলো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের জন্ম হবে। তারা কুফরী গণতন্ত্র দিয়ে নির্বাচন করে আইন প্রনেতা সাজবে।যদি ক্ষমতায় ইসলামিস্টরা যায় তাদের ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না। তারা এই বিচার নিয়ে ধরনা দিবে পশ্চিমাদের কাছে। পশ্চিমাদের ইচ্ছামত ক্ষমতা যাবে মাহবুদ আব্বাসদের মত কমিউনিস্টদের কাছে। ক্ষমতায় যেতে না পারা দলটিকে সন্ত্রাসী বলে নিষিদ্ধ করবে। জেলে ঢুকিয়ে ফাসির রায় দেয়া হবে। তারপর-জাতিসংঘের সদস্য পদ পাবে ফিলিস্তিন। পশ্চিমাদের শয়তানী সভার একজন সদস্য বৃদ্ধিপাবে। স্বাধীন ফিলিস্তিনের সেনাবাহিনী দিয়ে ইসলামপন্থীদের রক্ত ঝরাবে। বায়তুল মাকদিস মুক্তকরার বাহিনীকে খারেজী বলে প্রতিহত করবে। জিহাদরক সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।
ওয়াইসী সহ সব শয়তানী সংঘের একজন সদস্য বৃদ্ধি পাবে।
ফলাফল: যে লাউ সে কদু।
আমি ফিলিস্তিনের বাসিন্দা নই ঠিক, তবে একজন মুসলিম হিসাবে জাতিসংঘের তৈরী করা নীলনকশার স্বাধীনতা আমি মেনে নিতে পারিনা। আমি ফিলিস্তিনের এরকম স্বাধীনতায় লাথি মারি। জাতীয়তাবাদের ফিলিস্তিনকে আমি মানিনা। সুবিধাবাদের ইনতিফাদায় থুথু মারি।
পশ্চিমাদর সেবাদাসদের প্রত্যাখ্যান করি। আমি চাই মুসলমানগণ কারো করুণার পাত্র হয়ে নয় বরং নিজেদের শক্তি সামর্থ দিয়ে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ এর মাধ্যমে স্বাধীন হবে। মুসলমানদের শাসন ব্যবস্থা কোন তন্ত্র মন্ত্র নয়, খিলাফাহ ই হবে মুসলমানদের চলার শক্তি । আল্লা ফিলিস্তিনবাসীসহ সকল মুসলমানদের বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×