ব্লগিঙ এর সঙ্গা নির্ধারণ কিংবা কোন তত্ত্ব আলোচনা আমার উদ্দেশ্য নয় । ভার্চুয়াল নেট ভিত্তিক লেখালেখিই ব্লগিঙ এটা সবাই জানেন । আমি যেটা বলতে চাই তা হল, ব্লগ লেখা মানে যে কোন ব্যক্তির মনন, সৃজন তার আবেগ অনুভূতির প্রকাশের একটা মাধ্যম । আমরা খুবই আশাবাদী হয়ে লক্ষ্য করি, যে একজন ব্লগার যখন ব্লগে আসেন, (একদম নবীন) তখন তিনি লিখতে বসেন । সেই লেখা তাকে, তার ভাবনাকে প্রকাশ করে । তিনি কি লিখবেন, একটা সময় হয়ত বুঝতে পারেন না । কিন্তু অপরের লেখা পাঠ তার চিন্তার খোরাক জোগায় । তিনি লিখতে শুরু করেন, না বলা, না প্রকাশ করা অনুভূতি আর কথা গুলো । ভালবাসার বিনম্র প্রকাশ, আর দ্রোহের ক্ষুব্ধ স্বর- দুটোই উঠে আসে । আর এই লেখা লিখতে লিখতেই অজান্তেই গুছিয়ে নেন, নিজের লেখার ভাষাতাত্ত্বিক এবং নন্দন তাত্তিক দিক গুলো । একজন মানুষ তার নিজেকে গুছিয়ে অন্যের সামনে প্রকাশ করতে পারছেন, আমার কাছে মনে হয় এটাই ব্লগিঙের সবচেয়ে বড় সার্থকতা- একজন মানুষের জন্যে ।
এবারে আসি বাংলা ব্লগিঙ নিয়ে । উন্নত বিশ্বে এবং অন্যান্য ভাষায় ব্লগিঙ বহু বছর আগে শুরু হলেও বাংলা ব্লগিঙ এর ইতিহাস কিন্তু খুব বেশিদিনের নয় । মাত্র বছর ছয়েক আগে এর উদ্ভব সাম হয়্যার ইন ব্লগ (বাধ ভাঙার আওয়াজ) এর মাধ্যমে । তবে সামহয়্যার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আমি অভ্রের আবিষ্কর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই । কারণ অভ্র না থাকলে এই শত শত বাংলা ব্লগের যাত্রা, বলা চলে বাংলা ভাষা চর্চার একটা নবজাগরণ, কোন দিনই সম্ভব হত না । কিংবা বলা চলে এটা আরো পিছিয়ে পড়ত ।
বাঁধ ভাঙার আওয়াজ বা সাম হয়্যার ইন ব্লগের সবথেকে বড় অবদান হচ্ছে নেটে বাংলা ব্লগিঙকে জনপ্রিয় করা । আমি অত্যন্ত গর্বিত এই ভেবে যে বাংলা ভাষায় প্রথম ব্লগ বাংলাদেশি বাঙালীরাই দাড় করেছেন, পশ্চিমের কেউ নয় । এটা আমাদের জন্যে অনেক বড় ব্যাপার । কেননা, এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষার চর্চার একটা বিরাট বিপ্লব সাধিত হল। অনেকেই ব্লগিঙ বিষয়টিকে খাটো করে দেখেন, তাদের কাছে শুনতে পাই, ব্লগ কিছুনা, তরুণদের খোলা ময়দান । কিন্তু আমাদের ভেবে দেখা উচিত, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং চাকুরিজীবী গন বাংলা কি আদৌ কথা বলা, মনের ভাব প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন কাজে (বিশেষ করে লেখার কাজে ) ব্যবহার করেন ?? এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে, অনেকে নিজের মাতৃভাষায় সহজ সহজ শব্দের বানান ভুলে যান এবং তা ভুলে যাওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র লজ্জ্বা বোধ করেন না । বরং বুক ফুলিয়ে বলেন নিজের অদক্ষতার কথা ।
এই ধরণের কিছু কিছু লোকও কিন্তু এখন ব্লগে আসছেন । কেন আসছেন, বন্ধু তৈরী হচ্ছে, সহজে নিজের মত প্রকাশ হচ্ছে। লেখক কোথায় আর তার পাঠক কোথায়, এ প্রশ্নের উত্তরের দরকার নেই । মুহূর্তেই সারা বিশ্ব জেনে যায়- আপনার মনের কখা, অব্যক্ত বেদনার লেখ্যরূপ, হাসি ঠাট্টা আনন্দের কথা । অনেকটা ডায়েরীর সাথে তুলনা চলে এই অর্ন্তজালের পাঠের খেলাকে । ডায়েরীতে লেখক লেখেন কিন্তু কেউ পড়তে পারে না । বরং এখানে লেখক সবটা লিখতে না পারলেও অনেকাংশেই তার লেখা দিয়ে সুখ, দু:খ ভাগ করে নেন । অন্যেরা মন্তব্যের মাধ্যমে দেন তার উত্তর । এভাবেই পারস্পরিক লেনদেনের মাধ্যমে জমে ওঠে ব্লগের খেরোখাতা ।
ব্লগের সব থেকে বড় কৃতিত্ব একদল পাঠক তৈরী । আমি একটা কথা সবসময় বিশ্বাস করি, পাঠকের প্রয়োজনে এবং পাঠকের পৃষ্ঠপোষকতায়ই লেখকের জন্ম । আমাদের সমাজে এখন হয়ত অতি লঘু বাংলায় লিখিত চটুল সাহিত্যের কাটতি বেশি । একটু সাহিত্যমান সম্পন্ন লেখা অনেকের কাছেই খুব কঠিন ঠাওর হয় । এর জন্য দায়ী আমাদের পাঠক তৈরীর ব্যথর্তা । আমরা গান শুনি, তার জন্য দরকার শোনার মত কান । যার কান র্যাপ, ডেথ মেটাল শুনে তৈরী, তার নিশ্চয়ই নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথ ভাল লাগবে না । একই ভাবে, যার মনন সস্তা লেখা পড়ে অভ্যস্ত সেও কিন্তু একটু সাহিত্যমূল্য যুক্ত, একটু ভিন্ন ধারার লেখা পড়তে চাইবে না । তো এই জায়গাটাতে হাত দিয়েছে বাংলা ব্লগ । শত শত ভিজিটর প্রতিদিন ব্লগ দেখে যান । আর সেটা একজন নতুন ব্লগ লিখিয়েকে সাহস জোগায় । সে এগিয়ে যায় । অন্যের তাৎক্ষণিক মতামত তাকে পূর্ণ হতে সহায়তা করে । আস্তে আস্তে নতুন লেখকদের পাঠক তৈরী হয় । বিষয়ের গভীরে আস্তে পাঠকেরা ঢুকতে শুরু করেন । বাংলা ব্লগের সবথেকে বড় সাফল্য পাঠক তৈরী একথা বলা যায় নির্দ্বিধায় ।
আরো আরো অনেক সাফল্য আছে ব্লগের । আমরা ইদানিং দেখতে পাই ব্লগিঙ কিভাবে আমাদের ভূরাজনৈতিক এবং জাতীয় ইস্যুগুলোতে প্রভাব ফেলছে। দরিদ্র মাদ্রাসা শিক্ষকের করূণ কাহিনী কিন্তু ব্লগেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল । তেমনি করে দেশব্যাপী আলোড়ণ ব্লগ অনেক সময়েই তুলেছে । তো এই ব্লগিঙ কেমন করে আমাদের জাতির দিক নির্দেশনা বা একটা কণ্ঠস্বরে রূপ নেয় তা হয়ত আমরা দেখতে পাব আগামী নির্বাচনে, বড় কোন অন্যায়ের প্রতিবাদে, জাতিসত্তার নিদারুণ সঙ্কটে, কিংবা আনন্দে । সেইদিন বেশি দূরে নয় যখন ব্লগিঙ বিষয়টা জনপ্রিয় হবে আরো । আগামীর পথে পা বাড়াবে আমাদের দেশ ।
অনেক কথা বলা হল,অনেক আলোচনা হল, কিন্তু ব্লগচর্চার মান নিয়ে কিছু বলা দরকার । আমাদের দেশে লাখো পাঠক তৈরী হয়ত ব্লগের সাফল্য, হাজার হাজার ব্লগারের রেজিস্ট্রেশন, ব্লগার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া হয়ত ব্লগের সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু যখন আমরা নিরপেক্ষ এবং সমালোচকের দৃষ্টিতে দেখবো, তখন একটু হতাশ আমাদের হতেই হয় । মাঝে মাঝে ব্লগে যুক্তিবোধের চেয়ে শানদার গালির আক্রমন বেশি হয়ে যায় ।অনেক ব্লগারই নিজেকে আধুনিক এবং বিতর্কিত করে হিট হবার জন্যে বিতর্ক সৃষ্টিকারী বিষয় গুলো নিয়ে পোস্ট দেন এবং দরকার হলে অশ্রাব্য গালির তুবড়ি ছোটান । কোন বাংলা ব্লগই এ থেকে মুক্ত নয় । নির্ভেজাল নির্বিবাদী অনেক লেখকের লেখা মানসম্পন্ন ব্লগ হারিয়ে যায় দৃষ্টির অগোচরে । এটা কিন্তু লেখক তৈরীর অন্তরায় । এখানে লেখক বলতে কবি, সাহিত্যিকদের কথা বলছি না । আমি বলছি সেই সাধারণ ব্লগার দের কথা যারা গুছিয়ে লিখতে জানতেন না, ব্লগে আসবার আগে । আরেকটা বড় দোষ, নতুন ব্লগারদের আমরা স্বাগত জানাতে চাইনা, চিরন্তন বাঙালী স্বভাবের বশবর্তী হয়ে । আবার স্বাগত জানালেও তার লেখার মান সম্পর্কে তাকে সচেতন করি না । এটা আমাদের বিরাট এক সমস্যা । আমাদের ব্লগ গুলোকে এসব সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে ।
আমি অত্যন্ত আশাবাদী, বাংলা ব্লগ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে নেবে অচিরেই । তার সকল সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠবে খুব শীঘ্রই । আমরা দেখবো আমাদের দেশের কারো হাতেই উঠেছে বিশ্বসেরা ব্লগারের সম্মান । একটি দেশের যে কোন বিষয়ের ইতিহাসে ছয় বছর তেমন কোন সময়ই নয় । ব্লগিঙের ক্ষেত্রে এটা আরো সত্য । বাংলা ব্লগিঙ এগিয়ে যাক ।
এবার আমরা আসি ভিন্ন একটি বিষয় তথা আমার বর্ণমালা ব্লগ বিষয়ে । দেশে যখন এত এত ব্লগ রয়েছে তখন কি প্রয়োজন আরেকটি নতুন ব্লগের ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আমাদের ভাবতে হবে ব্লগিঙ কি এবং কেন ? ব্লগিঙ প্রধাণত নবীন লিখিয়ের লেখা পাঠকদের সাথে শেয়ারিঙের একটা মাধ্যম । তা সে স্মৃতিকথা, রূপকথা, গান, কবিতা, রম্যগল্প, গল্প উপন্যাস, সাম্প্রতিক বিষয়াবলী, ভ্রমণ, ছবি, ফান পোস্ট ইত্যাদি যাই হোক না কেন । কিন্তু একটা সময় কোন ব্লগারই নতুন থাকেন না, হোক সে পাঠক কিংবা লেখক । দুজনার মধ্যে একটা বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ তৈরী হয় । তাই তাদের লেখা সবার চোখে পড়ে এবং আরেকটু নির্মম হয়ে বলতে গেলে বলা যায়, ব্লগ গুলো যেন তাদের জন্যেই চলে । তোদের জন্মদিন, বিভিন্ন উপলক্ষ পালন ইত্যাদি নিয়ে মাতামাতি চলতে চলতে ব্লগিঙ এর আসল উদ্দেশ্য ম্লান হয়ে উঠে । এ খেকে পাঠক এবং লেখক উভয়েরই মুক্তির জন্য স্বাদবদল তথা নতুন ব্লগের প্রয়োজণীয়তা । তাই যতই নতুন নতুন ব্লগ তৈরী হবে, ততই নতুন লেখক এবং পাঠক তৈরী হবে, যা কিনা বাংলা ভাষা চর্চা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অতি গুরুত্বপূর্ণ । আর প্রতিদিন নিত্যনতুন ব্লগারের আবির্ভাবের কারণে এটা খুবই যুক্তিসঙ্গত এবং দরকার যে নতুন নতুন ব্লগের জন্ম হোক । ঠিক সেই জন্যেই আমার বর্ণমালা ব্লগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ ।
এবারে আমার বর্ণমালা ব্লগ প্রসঙ্গে কিছু আলোচনা করা যাক । অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে এর নামকরণ এবং প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগই নেই । আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় বর্ণমালার নাম নিয়ে যে ব্লগ শুরু হয়েছে তাকে সাধুবাদ জানাই । একই সাথে ব্লগের ব্যানারটা বেশ সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন । এবারে ব্লগের যা কিছু ভালো তা নিয়ে সাধারণ আলোকপাত ।
যা কিছু ভালো
ব্লগে সবচেয়ে ভাল দিক এর স্প্রিড এবং লোড হওয়ার কম সময় । এটি একটি নিরবিচ্ছিন্ন ব্লগিঙ এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । আরেকটি সুন্দর ব্যাপার হচ্ছে নোটিফিকেশন সিস্টেম । কেউ মন্তব্য করলে প্রতি উত্তর করতে লেখকের যত দেরিই হোক না কেন এ ব্লগে তা জানা যায় সহজেই । ব্লগারদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । লেখা এডিটের অপশনটা বেশ দ্রুত কাজ করে যা খুব ভাল একটা ব্যাপার । ব্লগের লেখার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার ব্যাপার এখন না এলেও, যেহেতু আমাদের প্রিয় ব্লগ একঝাক তারুণ্যদীপ্ত নবীনের ব্লগ, তাই এটা ক্ষুরধার লেখনীতে এগিয়ে যাবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি ।
আরো ভাল হতে পারত যা
নতুন একদম সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মত আমাদের এই ব্লগ । সে যেদিন চোখ মেলেছে অন্তজালের মায়াবী জগতে, সেদিন থেকেই শিখছে, দেখছে বুঝতে চাচ্ছে বেড়ে ওঠার গূঢ় রহস্য । তো আমি এখন এই ব্লগে আরো যে সব নতুন সুযোগ যোগ করলে তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে, তাই বলি ।
১) ব্লগের বিভাগ আরো বেশি হওয়া দরকার । যেমন শিল্প ও সাহিত্যের বিভাগ অনেক, কবিতা, গল্প, গান, উপন্যাস, চিত্র, আলোকচিত্র ইত্যাদি সহ নতুন নতুন বিভাগ দরকার ।
২) বিভাগ ওয়ারী আলাদা আলাদা ট্যাব থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয় । এই কাজটা করা না হলে যে কোন ব্লগ যখন পুরোনো হয়ে যায় তখন অনেক ভাল লেখাও খুজে পাওয়া যায় না ।
৩) ব্লগের ফন্ট টা আরো একটু বড় করা যেতে পারে । বিশেষ করে মোবাইলে ইউজারদের জন্য জিনিসটা খুব সমস্যার ।
৪) প্রতিবার মন্তব্য করে পোস্টের শুরু থেকে ক্রল করে নীচে নেমে নেক্সট মন্তব্যের রিপ্লাই ক্রতে হয়-যা অনেক সময় নস্ট করে।সিস্টেমটা করা উচিত-যেখানেই লেখক লাস্ট মন্তব্যের জবাব দেবেন-ঠিক সেখানেই নেক্সট মন্তব্য দেখার এবং রিপ্লাই করার সুযোগ থাকবে।
৫) আমারবর্ণমালায় পেইজ ডিমার্কেশন স্বচ্চনয়। যার কারনে আমি কখন কোন পেইজে আছি-তা সহজে বোঝা যায়না।এক্ষেত্রে করা যেতে পারে-আমি যেই পেইজ দেখছি-সেই পেইজ হাইলাইটস দেখাবে।
টেকনিক্যাল ফল্ট নিয়ে প্রিয় রুমান অনেক বলেছে, তাই ওদিকে আমি আর যাচ্ছি না । পরিশেষে ব্লগের সকল নবীন, প্রবীন (যদিও ব্লগটি নতুন) ব্লগারদের বলছি,
আপনারা দুহাত খুলে লিখুন । ব্লগকে আপনার ভার্চুয়াল বাড়ি করে নিন । অন্যের লেখায় মন খুলে মন্তব্য করুন এবং লেখক দের উৎসাহ দিন । লেখকের ভুল ভ্রান্তি, ত্রুটি বিচ্যুতি মার্জিত ভাষায় মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরুন । সবাই যে কোন ধরণের সৃজনশীল লেখা কে গ্রহণ করবেন এবং সমসাময়িক বিষয় গুলো নিয়ে শুধু মেতে থাকবেন না । যে লেখায় মেধা ব্যায় হয়, সে লেখার জন্যে আপনার একটা মন্তব্য কোন ব্যায় নয়, বরং আপনার অর্জন । আরেকটি কথা ব্লগে যেন আলতো-ফালতো কোন পোষ্ট দেয়া না হয় সেদিকে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি লেখকেরাও দৃষ্টি রাখবেন । মত প্রকাশের স্বাধীনতা এক জিনিস আর তার অপব্যাবহার আরেক জিনিস। যখন ব্লগ খুব বড় আকার ধারণ করে তখন অনেককেই ছায়া মডারেটর হিসেবে ব্লগের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে নি:সার্থ ভাবে । এই বিষয়টার দিকেও লেখকেরা দৃষ্টি রাখবেন । সবাইকে শুভেচ্ছা ।
ব্লগার তানিম এর ব্লগ থেকে ।
=======
১ মে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আমার বর্ণমালা ব্লগ