somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসার যত বিজ্ঞাপন...

০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজ্ঞাপন যেন এখন দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। যেদিকে তাকাই, শুধু বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন! রাস্তায় বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ডে, পত্রিকায়, টেলিভিশন চ্যানেলে; আসমানে-যমিনে, উত্তরে-দক্ষিনে, যেদিকে তাকাই, শুধুই বিজ্ঞাপন। প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষ একবার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, পর জনমে ফিরে আসলে তিনি যে' জিনিসটির হাত থেকে মুক্তি চাইবেন, তা হল বিজ্ঞাপন!
অবশ্য বিজ্ঞাপন শব্দটাই কারো কারো কাছে নেতিবাচক হলেও আমি ঠিক সেই দলে না! মনে আছে, একদম ছোটতে রূপকথার গল্প আর গা ছমছমে ভূতের ভয়ের চাইতেও টিভি বিজ্ঞাপনগুলো চটপট সঅঅঅব খেয়ে ফেলার জন্য টনিকের কাজ করত। পরে দেখলাম, রোগটা কেবলই আমার একার না!

যা হোক, একসময় চ্যানেল বলতে ছিল কেবলই বিটিভি। স্যাটেলাইটের জাঁকজমকের ভুবনে তখনও প্রবেশ ঘটেনি। আনাড়ি হাতের ততোধিক আনাড়ি কিছু বিজ্ঞাপন তবু' ভাল লাগার তালিকায় চলে যেত... আসলে অ্যাডভ্যাটাইজিং ক্ষেত্রটা তখন অতটা পোক্ত ছিল না, এমনকি পেশাদার অ্যাডমেকারদের কাজ-ও দক্ষ ছিল না হয়ত, তবু ভাল লাগা কিছু বিজ্ঞাপন এখনও মনে গেঁথে আছে! কত বিজ্ঞাপনের সাথে জড়িয়ে আছে ছেঁড়া টুকরো কত স্মৃতি...

ব্লগার মেহরাব শাহরিয়ার আমাদের টিভি অ্যাডের বর্তমান হালচালনিয়ে একটা রম্য লিখেছেন (কি করে বাংলাদেশে নির্মিত হল সহস্রাধিক বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞাপন ::: নোবেল , বিজরী ,শাহরুকীদের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার)-শিরোনামে। মেহরাব ভাই সমালোচক নাম্বার ওয়ানX( সব অ্যাডভ্যাটাইজই খারাপ নাকি?!

আচ্ছা, পুরনো বাদ, নতুন থেকেই শুরু করি! মানে টাটকা গুলো আগেঃ)

এটা ঠিক যে এখনও প্রচুর ত্রুটিপূর্ণ বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন হচ্ছে, তবে মাঝে মাঝে তো অনেক ভাল কাজও হচ্ছে। তেমনই বিভিন্ন সময়ের ভাললাগা কয়েকটা বিজ্ঞাপনঃ

প্যারাসুট অ্যাডভান্সঃ হ্যাঁ, এই বিজ্ঞাপন টা ভাললেগেছে। আলাদা করা যায়।
বিশেষ করে তপু ভাইয়ের জিঙ্গেলটা,
আনমনে---
কারো অপেক্ষায় এক কোণে/তোমায় লাগে গর্জিয়াস সারাদিন।
ভুল ভ্রান্তিতে/জীবনের যত ক্লান্তিতে/তোমায় লাগে গর্জিয়াস সারা দিন।।
কখনও খুশিতে, কখনও অভিমানে, কোনও চেনা গানে/ভালবাসার কোনও গল্প তে/তোমায় লাগে/গর্জিয়াস সারা দিন!



অবশ্য এই সময়ের বিজ্ঞাপন ভাল লাগার তেমন বেশি নাই,
বাংলা লিঙ্কের দিন বদলের গুলো আলাদা।
এই সিরিজের একটা বাদে সবগুলোই ভাল লেগেছে। প্রথমে ফখরুদ্দিন বাবুর্চি, আবুল কালাম আজাদ। তার পর 'কৃষক' করিমন। এটা অবশ্য হেল্প লাইনের, তবু ভাল লেগেছে এই জন্য যে, পুরোটাই পজিটিভ। মেকিংটাও চমৎকার। আর আজকাল তো সবই সিনেমাস্কোপ ক্যামেরায় হচ্ছে।
দিন বদল সিরিজের আরও আগের একটা ছিল, এক জেলে, মাছ বিক্রি করতে এসে মহাজনের খপ্পরে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়, পরে দিন বদলের সাথে বদলে যায় একজন সাধারণ জেলের সক্ষমতা, আস্তে আস্তে কমে আসে মহাজনের দাপট! হেহ! সেই দিন কি আর আছে? তবে ভাল লেগেছে এই জায়গাটা,
-আব্বাজান, আমি ফার্স্ট হইছি!
--চল বাপ! তরে মেলাত নিয়া যায়!

হুম, দিন বদলেছে, জেলের ছেলে কিন্তু মাছ ধরে না, এখন ফার্স্ট হয়। অনেক বাজে অ্যাডের ভীড়ে ভাল লাগার একটা বিজ্ঞাপন চিত্র।
আবার বাংলা লিঙ্কেরই একটা বিজ্ঞাপন চরম বাজে লেগেছিল, যশোরের জয়িতা চৌধুরিX(

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান আমি দেখতে পারি না, তার উপর যখন এইগুলো দস্যুতা প্রমোট করে, তখন মেজাজ উঠে যায় সপ্তমে। ডিজুসের বন্ধুত্বে শক্তি/বন্ধুত্বে জয়; শ্লোগানে স্রেফ মাস্তানির জয়গান গাওয়া হয়েছে। যত্তসব!
আরও মেজাজ খারাপ হয়, যখন এরা আমাদের চেতনা নিয়ে বানিজ্য করে, আবেগের স্থলগুলো দখল করতে চায়। অমিতাভ রেজা আমার খুব প্রিয় একজন অ্যাডমেকার। শুধু প্রিয় না, অসম্ভব মেধাবী একজন নির্মাতা। একবার অল্পকিছু বাক্য বিনিময় হয়েছিল, বুঝেছিলাম, বুদ্ধিদীপ্ত একজন, সবসময় যার মাথায় নিত্যনতুন আইডিয়া খেলা করে। অথচ এই অ.রে.-ই কি-না ডিজ্যুসের ব্যানারে করল চুড়ান্ত বাঁদরামী। একটাতে তিন থেকে চার বছরের একটা শিশু শহীদ মিনারে ভারাক্রান্ত মনে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে, আরেকটাতে আনিসুল হক এবং নির্মলেন্দ গুণ। প্রথমটার কথা বলি, যে শিশু কেবল নিজের বাবা-মা আর অল্প কিছু দুনিয়াবি বিষয়াদি ছাড়া অনুভূতিহীন, তাকে দিয়ে অনাবিল ভালবাসা ছাপিয়ে কৃত্তিম আবেগ ঝড়ানো আমার কাছে একটা ফাজলামি বৈ অন্য কিছু মনে হয় নি। একই কথা খাটে কবি নির্মলেন্দ গুণ আর আনিসুল হকের বেলায়ও। যাক, কথায় কথায় আর গীবত না বাড়াই। এবার দু'চারটা ভাল কথা বলি।

কর্পোরেট দেখতে পারিনা বলেই যে 'উঠোন বাঁকা', তা কিন্তু না! সাম্প্রতিক, বাংলালিঙ্কের ফ্রেন্ড ফাইন্ডারের বিজ্ঞাপনটাও মজার:) সবচেয়ে দারুন লেগেছে আযম খানের জিঙ্গেলের সাথে মানানসই অথচ দারুন হিউমেরাস অভিনয় দিয়ে বলতে গেলে ফানি একটা মিউজিক ভিডিও।
আলাল-দুলাল/হেই আলাল-দুলাল!
আলাল যদি ডাইনে যায়, দুলাল যায় বাঁয়ে/তাদের বাবা সারাটা দিন খুঁজে খুঁজে মরে/আলাল কই! দুলাল কই! নাইরে নাইরে নাইরে নাই/আলাল-দুলাল...

ডায়লগগুলোও চরম!
-আলাল, তুই কৈ?
--কুচিংএ আব্বাজান:)
-দুলাল, তুই-ই কই?
--আব্বাজান, আমি আড়তে!

বাংলা লিঙ্কের প্রায় বিজ্ঞাপনই অবশ্য ভাল হয়। দেশ প্যাকেজের অ্যাডটাও(মডেলঃ সারিকা-আনিকা) আমার কিন্তু খারাপ লাগেনি, যদিও গ্লামারাস বলে কেউ বা হয়ত নাক সিঁটকাতে পারে, তবে মেকিংএর জন্য উৎরে যাবে:)

তবে গ্লামারাস বলেই যে ভাল লাগল, তা বলছি না। কেননা, তা না হলে, মোস্তফা সারয়ার ফারুকী ওরফে ছাগল ফারুকী'র তিব্বত বিউটি সোপের বিজ্ঞাপনটা স্মরণকালের সবচেয়ে জঘন্য বিগ বাজেটের বিজ্ঞাপন বলে ঘোষনা দিতাম না। ছাগলটার জন্য আমার প্রিয় অভিনেত্রী বাঁধনেরও ইমেজ খানিকটা খারাপ হয়েছে।

গ্রামীনফোন বাস্তবে বর্জন করলেও এডুকেশন হেল্পলাইনের বিজ্ঞাপনটায় দারুন মজা পেয়েছি, সত্যি! নাপিত মশায়ের চাপাবাজি করে 'কানা'-কে হাইকোর্ট দেখানটা চরম:D আর নাবালক ভাইস্তার অভিব্যাক্তিও সেইরাম:)
-ভাইস্তা, চুল তো বড় হয় নি, কাইটছ' যে?
--না মানে চাচা, ঢাকায় ভর্তি হচ্ছি তো।
-ঢাকায়??!
দাঁরাও দেকিনি, পাঁইচফুট চার, ঢাকায় তো সাতের নীচে নেচ্ছে না! গতবার ছয় পৈযন্ত নিছিল।
--চাচা, শিউর করছেন তো?!
-শিউর করছি মানে? ছাওল তো ভারি বেদ্দপ! ছাওল তুমি জান, এই চেয়ারে বইসে কতজন জজ-ব্যারিস্টার ব্লা ব্লা...

যাক, সবই তো একেবারে ইদানিংকার কথা বলছি, খানিক পেছনে ফিরি। তাহসান ভাই-জেনি'র একটা সিরিজ বিজ্ঞাপনের কথা মনে আছে? সম্ভবত পন্ডস-এর। রোম্যান্টিক ধাঁচের বিজ্ঞানটা দারুন ভাল লাগত;
ক্লাশে তো তাকে কখনও দেখিইনি! ...মানে...দেখেছি, কিন্তু খেয়াল করিনি।

একটা বিজ্ঞাপন বেশ অনেকদিন চলেছিল, ল্যাব এইডের। হাবিবের ব্যাতিক্রমধর্মী জিঙ্গেল দিয়েছিল ভিন্ন স্বাদ। অপূর্বরও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের একটা কাজ সেটা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিল, শেষ ডায়লগটা, আমার দেশের সোনার ছেলারা আছেনা!

গোলাম মোস্তফার গাজী ট্যাঙ্কের বিজ্ঞাপনটার কথা না বললেই নয়। সে'টাও একটা ডায়লগের জন্য বোধকরি বিখ্যাত হয়ে আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভাবতে ভালই লাগে!


একটা প্রায় প্রচলিত ধারণা হয়ে গেছে, দেশের সেরা মডেল হল নোবেল। নোবেল ভক্তরা, মাইন্ড খাইয়েন না, বিজ্ঞাপনেও নোবেলের ছাড়া ছাড়া অভিনয় কখনোই ভাল্লাগেনা। আর নাটক-ফাটকে তো জিরো। একবার দেশের প্রথম প্যাকেজ নাটকের অভিনয়টা দেখেছিলাম, দেইখা মেজাজ খারাপ হৈসিল খুব। নোবেলের একটা জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ছিল, আরসি কোলার, সাথে ভারতীয় মডেল(নাম মনে নাই); জিঙ্গেল- তোমার জন্য মরতে পারি ও সুন্দরী/তুমি গলার মালা...। মনে আছে, অনেকের মুখেই গুনগুনিয়ে বাজত সেই লাইন টা। কিন্তু সহসাই শুরুহল নকলবাজি। লেবু কচলালে যেমন তিতা হয়, একই ধাঁচের, একই থিমের প্রায় ডজন খানেক বিজ্ঞাপন দেখে তখন দর্শকেরা বিরক্ত।

যা হোক, আমার কাছে নোবেল না, পাইয়নিয়ার মডেল হল শিমুল। শিমুলের প্রত্যেকটা বিজ্ঞাপনই মাষ্টারপিস। একে একে বলছিঃ

শাইন পুকুরঃ মনে আছে বিজ্ঞাপনটার কথা? স্বপ্ন হল সত্যি, ঈদের পর ঈদ। শেষ ডায়লগটা ছিল, মোবাইলফোন হাতে(সেই সময়, তখন মোবাইলের দাম ছিল লাখ টাকা) ঘরে ঢুকতে ঢুকতে, আর...আমাদের ঘরটা আরেকটু বড় হলে কেমন হবে বল তো?

এরপরে বার্জারের দুইটা বিজ্ঞাপন, প্রথমটা হল, মনের মাধুরি মেশান রং!
আরেকটা চৈতির সাথে, কয়েকটা ডায়লগ মনে আছে, ড্রইংরুমটা...বিস্কিট রংএর। শোবার ঘরটা না, নীল হবে! আকাশের মত? উহফ্...তুমি না!

আরেকটা বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ছে, শিমুল-সুমি'র। কূল সেভিং ক্রিমের। শিমুলের জিম করার সাথে সাথে ইংলিশ জিঙ্গেলটা মনে নাই, গানটা কার, তাও ভুলে গেছি:( তবে একটা বৈসাদৃশ্য ছিল, সেটা হল, সব কিছু ইংরেজি হলেও শেষে স্পোর্টস্ কারের নম্বর প্লেটটা ছিল বাংলা! ঢাকা মেট্রো:D

সুমি'র একটা বিজ্ঞাপন ছিল, লেমন ডিউ এর। জিঙ্গেলটা পুরো মনে নাই, কূল কূল ওয়াটার/অল দ্যা টাইম... ইটস্ ফ্রেশ, ইটস্ কূল/ইটস্ সুপার লেমন ডিউ!

সেঞ্চুরি টেইলার্সের একটা বিজ্ঞাপন ভাল লাগত, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের, কিন্তু চমৎকার কাজ। মডেল কে ছিল, জানি না। খালি গায়ে, ব্লু জিন্সের সুঠাম দেহি ঝাঁকড়া চুলের একজন ঠিক কিভাবে একটা টেইলার্স কে প্রোমট করে, বুঝিনা, তবু ভাল লাগত। সাথে জিঙ্গেল ছিল, সেঞ্চুরি! দ্যাটস্ হোয়াট আই লাইক।

সেঞ্চুরি টেইলর্সের মত কিছু কিছু বিজ্ঞাপন কালোত্তীর্ণ। সেক্ষেত্রে বলতেহয়, মাহী বি'র সহধর্মীনি লোপা'র করা মেরিল ফ্রেশজেল টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনটার কথা। যা কখনোই পুরনো হবে না।

এরকমই আরেকটা চমৎকার পুরনো বিজ্ঞাপন হল এসিআই অ্যারসলের। পুরোটাতেই একটা ইংরেজী ছন্দের জিঙ্গেল ছিল, ভুলে গিয়েছি। য়্যাপেয়া...এসিআই অ্যারসল, ইনসেক্টস্ কিলার! সহজবোধ্য একটা বিজ্ঞাপনচিত্র, পুরো পরিবার মশা নিয়ে পেরেশান। গতানুগতি অ্যারসলেরগুলো থেকে আলাদা।

রীটা আব্দুল্লাহ আর অমল বোসের আরাম নাড়িকেল তেলের বিজ্ঞাপনটা ছিল আমার অসম্ভ প্রিয়। আমার চাই ভাই আরাম! মনে পড়ছে? বাজারে গিয়ে যদি নাড়িকেল তেল চান, শুনবেন কতশত নাম/আমি গিয়ে বলি কি অতশত চিনি না, আমার চাই ভাই আরাম। চটুল ছন্দময় জিঙ্গেলটাই আলাদা করে দিয়েছিল বিজ্ঞাপনটাকে।

কয়েকটা প্রিয় বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ছে, তবে কিসের, স্মরণে আসছে না।
একটাতে বিপাশা হায়াত, মাথায় আফ্রিকান রমনীদের আদলে পেঁচান বেনী, সাথে জিঙ্গেল ছিল, তুমি সেই তূলনাহীনা....মাঝের কিছু কথা মনে নাই, শেষে, চেয়ে থাকে শুধু সারাক্ষন। হাতে একগ্লাস ফ্রুট জুস, কিনারে আটকানো লেবু।

আরেকটা রাত্রি'র। ওগো সুকন্যা! জান কি তুমি জান কি? তুমি আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা!

আরও পুরণো একটা,
-ও কেশবতি কন্যা, ফুল নেবে গো, ফুল?
--চুলে আমার চাপা মাথা, চাইনা চাঁপা ফুল!


ওপসসস্! অভিনেতা চান্নুর করা ক্লিয়ার অ্যান্টি ড্যান্ড্রাফট শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনটার কথা এতক্ষন মনেই আসেনি! এইটাও বেশ পুরণো। চান্নু চেস বোর্ডের সামনে বসে আছে চিন্তিত ভঙ্গিতে, আর মাথা চুলকাচ্ছে, অপনেন্ট বন্ধু বলল, যতই মাথা চুলকাও, তোমার রাজা তোমাকে বাঁচাতে পারছে না!

সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিনের এত কষ্ট, জীবন নষ্ট; ডায়লগটা ইউনিক ছিল, স্বীকার করতে হবে।

আরও আগে, এক্কেবারে ছোটতে দেখা কিছু বিজ্ঞাপন এখনও স্মৃতিতে ভাসে,
যেমন, একটা ছিল এলড্রাস গুঁড়োধদু। জিঙ্গেল ছিল, অস্ট্রেলিয়া থেকে এল এলড্রাস, এলড্রাস গুঁড়োদুধ এলড্রাস। বাড়ন্ত শিশুদের পুষ্টি জোগায়/ চা, কফি, মিষ্টিও বানান যায়...

ম্যানোলা ভ্যানিশিং ক্রিমের একটা মনকাড়া জিঙ্গেল ছিল, পুরোটা মনে আসচে না;
ম্যানোলা মানে অমলিন সুরভী অনন্য/ম্যানোলা মানে.../ম্যানোলা কোল্ড ক্রীম।

তারপর, রূপসা ৭৭০ হাওয়াই চপ্লের জিঙ্গেলটাও অসম্ভব ভাল লাগত। এটাও পুরোটা মনে নাই এখন।
রূপসা রূপসা রূপসা!
নরম নরম হাওয়াই চপ্পল রূপসা!


ও! সবই তো দেশি বিজ্ঞাপনের কাহানি গাইলাম। ছোটতে একটা বিজ্ঞাপন দারুন টানত, সেটা ছিল বুস্ট-এর। মডেল ছিল কপিল দেব এবং শচীন টেন্ডুলকার! মনে আছে কি?
শচিনঃ বুস্ট ইজ দ্যা সিক্রেট অফ্ মাই এনার্জি।
কপিলঃ হাই এনার্জি!

শেষ করছি একটা মজার বিজ্ঞাপনের পরের গল্প দিয়ে। পেপসোডেন্ট টুথব্রাশের একটা অ্যাডভার্টাইজের কথা মনে আছে, ঠকঠক-মজবুত! হ্যাঁ, সেই ছোট্ট মডেল ছিল অগ্নিলা। অনেক অনেক দিন পরে, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের একটা নাটকে হঠাৎ আবিষ্কার করলাম সেই অগ্নিলা-কে। তখন ক্লাশ নাইনে পড়তাম। আমরা কয়েক বন্ধু তখন মোটামুটি দিওয়ানা। (লুল বললেও মাইন্ড কর্বো না:D) বন্ধুদের মধ্যে একজনের মামা মিডিয়ায় ছিলেন। একদিন সেই বন্ধু মারকত খবর পেলাম, আমাদের স্বপ্নের নায়িকা সবার হৃদয় মরুভুমি করে পাড়ি জমিয়েছে সাত সমুদ্দুর তের নদী পারে, কানাডা। জীবনে প্রথম ছ্যাঁকার স্বাদ পাইলাম:(
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮
২৩টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×