somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা ও আমাদের করনীয় ! চলেছি কোনদিকে?

১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা জাতির সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। জাতীয় উন্নয়নের মাপকাঠি হলো শিক্ষা। অর্থাৎ যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষার ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি। এ ভিত যত মজবুত ও নৈতিক গুণাবলী, মানবিক গুণাবলীসহ আদর্শিক হবে, শিক্ষার মান ততই শক্তিশালী ও উন্নত হবে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষার বিনিয়োগের ব্যাপারে বরাবরই কিছুটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিটি জাতীয় বাজেটেই শিক্ষার ব্যয় বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের সর্বোচ্চ থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় এর পরিমাণ অপ্রতুল। ২০০৮ সালের ঘোষিত বাজেটে শিক্ষার ব্যয় বরাদ্দ আরও হন্সাস করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে শিক্ষায় বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। তাই তা বলা যায় আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্খা সামগ্রিকভাবে অবহেলিত। প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্খা নানা সমস্যায় জর্জরিত।
শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার। রাষ্ট্র জনগণের জন্য সুশিক্ষা নিশ্চিত করবে এ অঙ্গীকার দেশের সংবিধানেও উল্লেখ রয়েছে। এ জন্য শিক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ “সবার জন্য শিক্ষার অধিকারের” কথা ঘোষণা করেছে। তাছাড়া ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু অধিকার সনদ। বর্তমানে বিশ্বের সকল শিশুর জন্য শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭ এর (ক) এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র একটি পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্খা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্খা গ্রহণ করবে।
বর্তমানে ১৫ কোটি মানুষের এ দেশে সবচেয়ে হতাশা এবং ক্ষোভের জায়গা হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্খা। শিক্ষা বলতে স্কুল, কলেজের প্রচলিত শিক্ষাকেই মানুষ বোঝে। সেই শিক্ষাই যখন মানুষকে জীবন ও জীবিকার ভালো সন্ধান দিতে পারে না, পারে না সৎ চরিত্রবান ও মানবতার গুণে-গুণানিðত মানুষ তৈরি করতে, তখন সেই শিক্ষাব্যবস্খার অসারতা নিয়ে তা প্রশ্ন উঠবেই। শিক্ষা বলতে শহর কেন্দ্রিক কতগুলো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কিন্ডারগার্টেন কিংবা কোচিং সেন্টার ভিত্তিক শিক্ষার প্রসারকে ধরে নিয়ে আত্মসন্তুষ্টি লাভ করলে পরিণামে এর জন্য আমাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। এ মূল্য দেয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে গেলে, গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ এখনও গড়ে না ওঠার কারণে অসংখ্য গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী চিরতরে শিক্ষাঙ্গন থেকে ছিটকে পড়ছে। শিক্ষার বর্তমান যে হাল, তা শহর কেন্দ্রিক উচ্চবিত্ত এবং ক্ষেত্র বিশেষ কিছু মধ্যবিত্তকে জোগাচ্ছে ভোগের আকাáক্ষা এবং হিংস্র প্রতিযোগিতার মন। একই কারণে গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা দারুণভাবে অবহেলিত। অবস্খা দাঁড়িয়েছে এমন যে, গরিবের জন্য স্কুল থেকে তো শিক্ষা থাকে না, শিক্ষক থাকেতো স্কুলগৃহ থাকে না। আবার কোনও স্কুলে শিক্ষক হয়তো দু'একজন আছেন কিন্তু ছাত্র নেই বা শিক্ষা উপকরণ ঠিক মতন নেই।
আমাদের দেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রাথমিক শিক্ষার কথাই প্রথমে ধরা যাক। এখানে শিক্ষার বিষয়বস্তু সামগ্রিকভাবে একজন সৎ, যোগ্য, মানবিক গুণে গুণানিðত মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষা প্রদান থেকে শুরু করে সমগ্র পরিচালনা ব্যবস্খাপনাই যেন হেলাফেলা ও দায়সারা গোছের প্রাথমিক শিক্ষা যা মানুষের জীবনে মূল কাঠামো বা ভিত্তি তৈরি করবে। সুতরাং তার মূল্য ও গুরুত্ব বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু পরম বিস্ময় ও হতাশার বিষয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালনা ব্যবস্খার খোঁজ-খবরই নেন না এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশের এই হতাশাব্যঞ্জক অবস্খা সম্পর্কে তাদের কোনও উদ্বেগ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার জন্য টাকা বরাদ্দ করছে, শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে স্কুলঘর ও শিক্ষা উপকরণ কমবেশি দিচ্ছে অথচ সঠিকভাবে শিক্ষাদান চলছে কিনা, ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন বিষয় কিভাবে চলছে, সে বিষয়টি শিক্ষা বিভাগ মনিটরিং সঠিকভাবে করছে না।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত। ২০০৮ সালের ১৩ই মে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ভাতশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেঞ্চ না থাকার কারণে সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। আবার ১১ই মে ২০০৮, প্রকাশিত আরেকটি খবরে জানা যায়, ঢাকার অদূরে আশুলিয়া দীঘিরপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১২ জোড়া বেঞ্চ আছে যা ভাঙ্গা পা-ওয়ালা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্খা আরও অনেক জেলায় ভাঙ্গাঘরসহ নানা সমস্যা রয়েছে। রীতিমতো বিস্ময়কর ব্যাপার।
ইত:পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবসহ আদর্শ শিক্ষাব্যবস্খার রূপরেখাও দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি ও সচেতনমহল থেকে। কিন্তু তারপরও প্রাথমিক শিক্ষার কোন উন্নতি তেমন হয়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি কর্মশালায় প্রাথমিক স্তর পরবর্তী শিক্ষা জরিপ ২০০৫ শীর্ষক এক তথ্য বিবরণীতে জানিয়েছে ২০০৪ সালের শিক্ষা বছরে মাধ্যমিক স্তরে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শতকরা ৭৬.৫৪ ও ৮৩.২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়েছে। এটা শুধু এক বছরের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিগত পাঁচ বছরে এই ঝরে পড়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৮২ জন। এই পরিসংখ্যান থেকে শহরের হাতেগোনা কয়েকটি স্কুল ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার এবং মাধ্যমিক স্তরের লেখাপড়ার এক ধূসর বিবর্ণ চিত্র ফুটে উঠেছে। অথচ মাত্র ২০/২৫ বছর পূর্বেও আমাদের দেশের গ্রামের অন্ততপক্ষে জেলা শহরের স্কুলগুলো থেকে বেশির ভাগ ভালো ছাত্র বেরিয়ে এসেছে। যারা সামগ্রিকভাবে ছাত্র ও কর্মজীবনে তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছে। এই যে, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী পঞ্চম শ্রেণী পার হতে পারলো না তার আগেই ঝরে পড়ল, এদের অবস্খাই বা কি হবে? তাছাড়া আগামী দিনে দেশের বিভিন্ন স্তরে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য যে শিক্ষক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল প্রয়োজনীয়তা কোথা থেকে আসবে? এ কথা নি:সন্দেহে সত্য যে, হাতেগোনা কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম কেজি স্কুল শিক্ষা প্রশাসন, চিকিৎসা, প্রকৌশল কর্মকাণ্ড এবং আদালত প্রাঙ্গণসহ সকল বিভাগের চাহিদা মোতাবেক এই বিপুল কর্মীবাহিনীর জোগান দিতে পারবে না। এসব স্কুল থেকে বেরিয়ে আসা শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের বিভিন্ন কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন এমন দৃষ্টান্ত খুবই কম এবং ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে না। তাছাড়া প্রাথমিক স্তরে যথাযথ বিনিয়োগে অনাগ্রহ, উপেক্ষা, অবহেলা এবং মেধা লালনের অভাবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। ফলে এই বিপুল সংখ্যক স্কুলছুট শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এই বিপুল সংখ্যক স্কুলছুট শিক্ষার্থীর কিছু অংশ জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের হাতের ক্রীড়নক কিংবা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। অপর একটি অংশ জীবনযুদ্ধে বিভ্রান্ত হয়ে মাদকাসক্তি কিংবা মাদকব্যবসা এবং খুন খারাবির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী সত্যিকার অর্থে শিক্ষিত না হলে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি গতি লাভ করবে না এবং দেশ থেকে দুর্নীতির বীজও উৎপাটিত হবে না। কারণ মানুষের অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তাদের দুর্বলতা এবং অক্ষমতা পুঁজি করে, একদল সুচতুর, ধুরন্ধর লোক তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সব সময়ই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রাথমিক পর্যায় থেকেই একই সাথে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ দেয়া না গেলে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি সমাজে থেকেই যাবে। তাছাড়া সুস্খ এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো ও জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্খা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।
আমাদের দেশে বর্তমানে কয়েক রকম শিক্ষাব্যবস্খা চালু আছে। স্কুল, মাদরাসা, সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেজি স্কুল ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল ইত্যাদি। একটি দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্খা চালু থাকা দেশের সংবিধান পরিপন্থী। অত্যন্ত দুর্ভোগ্যজনক যে, দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের সংবিধান বিসদৃশ এবং সমান্তরাল শিক্ষাব্যবস্খা সহ্য করে, সেখানে সম্পূর্ণ সমান সুযোগ নিশ্চিত করা স্পষ্টতই অসম্ভব। তাই সুশিক্ষা ও এলিট বা অভিজাত শিক্ষাব্যবস্খা আমাদের দেশে চালু নেই। বরং অভিজাত শিক্ষা চালু হয়েছে। যার পাশাপাশি গরিবি কাঠামোর শিক্ষাব্যবস্খা টিকে থাকতে পারে না। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় শুধু রাজধানী শহর কিংবা জেলা শহরের কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলের সাফল্য নিয়ে আত্মসন্তোষ লাভ করার কোনও অবকাশ নেই। সুতরাং আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্খা চরম ব্যর্থতার শিকার বলা যায়।
প্রাথমিক শিক্ষার এ বেহাল অবস্খা উপর্যুক্ত কারণগুলো নিম্নলিখিত কারণে হয়েছে বলা যায়। কারণগুলো হলো :
প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষার যথাযথ গুরুত্ব না দেয়া।
প্রাথমিক শিক্ষা থেকে আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব কম দেয়া।
বাংলা, আরবি ও ইংরেজি ভাষা শেখার উপযোগী বই সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত না করা।
যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব বা নিয়োগ না দেয়া।
শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন, শুধু অর্থের বিনিময়ে এমন লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া।
প্রাথমিক শিক্ষকসহ শিক্ষকগণ ক্লাসে না শিখিয়ে টিউশনির দিকে ঝুঁকে পড়া।
সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের আর্থিক দুরবস্খা।
মহিলাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শিথিলতা থাকা।
সিলেবাসের পাঠ্যসূচিতে সততা ও মানবিক গুণাবলী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিকাশ লাভ করবেন এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত না থাকা ইত্যাদি কারণে প্রাথমিক শিক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ছে।
প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে যাতে সৎ, যোগ্য, মানবিক গুণে-গুণানিðত ছাত্র-ছাত্রী তৈরি হতে পারে তার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কতগুলো বাস্তবসম্মত শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা অতিব জরুরি। তাহলো :
১. আদর্শিক বিষয় সম্বলিত পাঠ্য বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
২. ছাত্র-ছাত্রীদের যার যার ধর্মীয় শিক্ষা মান সম্মতভাবে অন্তর্ভুক্তকরণ।
৩. উচ্চ শিক্ষিত, যোগ্য ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা।
৪. শিক্ষকদের আলাদা ব্যবস্খাপনায় বেতন প্রদানের ব্যবস্খা করা।
৫. শিক্ষকগণ মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারছেন কিনা, তা দেখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মনিটরিং-এর ব্যবস্খা করা।
৬. প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই বাংলা, আরবি ও ইংরেজি তিন ভাষা শিক্ষা করার ব্যবস্খা করা।
৭. শিক্ষার ঘর, বইসহ উপায় ও উপকরণের পর্যাপ্ত ব্যবস্খা গ্রহণ করা।
৮. প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্খা বিভিন্ন স্তর থেকে পরিবর্তন করে এক স্তরে আনার ব্যবস্খা করা।
৯. শিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো ও নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যাপ্ত সংখ্যক তৈরি করা।
১০. প্রাক বা কোনও এনজিওকে প্রাথমিক শিক্ষার মনিটরিংসহ সকল দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা।
সুতরাং পরিশেষে বলা যায় বর্তমানে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার দুরবস্খা দূর করতে আমাদের উচিত উপর্যুক্ত ব্যবস্খা গ্রহণ করা।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×