নেই আইফলে টাওয়ার, স্টাচূ অব লিবার্টিও। তাতে অবশ্য অখুশী নই আমি।
১। আগ্রার তাজমহল-মোঘল সম্রাট শাহজাহানের প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ মহল ১৪তম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন। তারই স্মৃতিতে তাজমহল তৈরি হয় ১৬৪৮ সালে।
এটি তৈরিতে সময় নেয় ১৬ বছর।
এই তাজ এখন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি।
বছরে তাজমহল দেখতে আসে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ।
২। চীনের গ্রেটওয়াল-মানুষের তৈরি সবচেয়ে লম্বা কাঠামো এটি, ৪ হাজার মাইল দীর্ঘ। মঙ্গলদের হাত থেকে বাচতে মিং ডায়নাস্টি এই প্রাচীর তৈরি করেছিল। এটি আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনাও বটে।
এই প্রাচীর স্পেসক্রাফ্ট থেকেও দেখা যায়।
বলা ভাল মঙঙ্গলদের হাত থেকে বাচঁতে এই প্রাচীর তৈরি হলেও তাতে খুব একটা সফল কিন্তু ছিলো না মিংরা।
৩। রোমের কলোসিয়াম-৭২ বিসিতে এই কলোসিয়াম তৈরি করেছিলেন সম্রাট ভেসপাসিয়ান। ১০ বছর লেগেছিল এটি তৈরিতে। এখানে নানা ধরণের খেলা হতো। ৫শ বছর ব্যবহার হয়েছে নানা ধরণের খেলার কাজে। খেলা মানে শিকার আর কি। মানুষও ছিলো তাতে। বলা হয় ৯ হাজার জীবন্ত প্রানী মারা গেছে এই কলোসিয়ামে।
৪। ব্রাজিলের যীশু মূর্তি- রিও সিটির প্রতীক এই যীশুর মূর্তি। ১৯৩১ সালে এটি তৈরি এবং ১২৫ ফুট উচু, এটির ওজন ১০০০ টন, ফ্রান্সের একজন স্কালপচার এটি তৈরি করেছিলেন।
৫। জর্ডানের পেট্রা-পাথরের তৈরি এই পেট্রা ডেড সি ও আকাবা গাল্ফের মধ্যে অবস্থিত। এটি একসময় বিকাশমান একটি শহর ছিল। বন্যা থেকে বাচঁতে এখানে বাধ বানানো হয়েছিল সেই প্রাচীন কালেই।
৬। পেরুর মাচু পিচু-এটি প্রাচীন ইনকাদের একটি শহর। তাকে ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহরও বলা হয়। আমাজানের তীরে এই হারিয়ে যাওয়া শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে রহস্য জনক এলাকা হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯১১ সালে এক মার্কিন অভিযাত্রী একে নতুন করে আবিস্কার করেছিলেন।
৭। মেক্সিকোর চিচেন ইতযার পিরামিড-এটি মায়ানদের। এক হাজার বছর আগের এই পিরামিড মায়ান সভ্যতার অন্যতম নিরদর্শন। মেক্সিকোর দক্ষিনে এটি অবস্থিত।