হুমায়ন আহমেদ শাওন কে বিয়ে করেছেন এটা নিয়ে যারা লেখকের বদনামি প্রকাশ করেন আমার মনে হয় না তাদের এটা করা উচিত হচ্ছে। কারন ইসলাম ধর্ম মতে এতে কোনো সমস্যা নেই। হ্যা বলা যেতে পারে বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট তো ভিন্ন। হ্যা, ঠিক আছে। কিন্তু এই ব্যাপারে গুলতেকিন বা তার সন্তানরা তো কোনো প্রকার আদালত-মামলাতে জড়াননি। অর্থাৎ তারা ব্যাপারটাকে ঘৃনা করলেও তারা পারিবারিকভাবেই ছেড়ে দিয়েছেন। তাই আমার মনে হয় না, এই ব্যাপারে অযথা খোচাখুচি করাটা ঠিক হবে ।
আচ্ছা যাক, মুল বিষয়ে আসি,
যারা বলছেন এসব বিষয় নিয়ে অফ যান, আর কত, এটা পারিবারিক সমস্যা তাদেরকেই বুঝতে দিন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
তাদের উড্দেশ্যে কথা হলো, এতই যদি পারিবারিক সমস্যা, তবে এরা কেনো বারবার মিডিয়ার সামনে কথা বলে? ( দেখুন গতকাল দেয়া হুমায়ন আহমেদের মায়ের বক্তব্য) তারাতো মিডিয়ার লোকদের বলতেই পারে যে, এটা আমাদের পারিবারিক সমস্যা, আমরা এই ব্যাপারে কিছু বলবো না। তাহলেই তো শেষ।
কিন্তু এনারেই তো মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। তার মানে এনারাই চাচ্ছেন যে, ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হোক।
আর শাওনের ব্যাপারগুলো কখনোই আমার কাছে সেরকম খারাপ মনে হয়নি, কারন স্ত্রী হিসেবে তার বিভিন্ন দাবি থাকতেই পারে। আর এটাও তো ঠিক, যে হুমায়ন আহমেদের চিকিৎসার সময়ে তার পূর্বের স্ত্রী বা তার সন্তানরা তাকে দেখতে যায়নি। হুমায়ন আহমেদেই নাকি চিকিৎসার আগে গুলকেতিনের সাথে কথা বলেছিলান।
শাওনের ব্যাপারে মিডিয়ার লোকেরা তার পিছনে লেগেছে অনেকেই বলছেন। লাগতেই পারে। কারন সাংবাদিকদের সাথে তার আচরনও তো ভালো ছিলো না।
কিন্তু শাওনের ব্যাপারে সত্যই আমার কোনো পক্ষ-বিপক্ষ ছিলো না, কারন মিডিয়া কি লিখতে গিয়ে কি লিখেছে এই মানসিকতা ছিলো।
কিন্তু শাওন যখন সস্তা বাংলা সিনেমার ডায়লগের চেয়ে নিকৃষ্ট এই ডায়লগটি দিলো যে " নুহাশে কবর না হলে সে ( হুমায়ন আহমেদ ) ভয় পাবে " তখনই তার ব্যাপারে দ্বিধায় পড়এ যাই। ভেবেছিলাম সে বোধোহয় নুহাশে থাকবে কারন নইলে লেখক ভয় পেতে পারে ! আর সেখানে বোধোহয় সে, মুসলমানদের রীতি অনুযায়ী স্বামী মারা গেলে ইদ্দত (চার মাস স্বামির গ্রহে অবস্থান) পালন করা লাগে সেই ইদ্দত পালন করবে । এট লিস্ট হুমায়ন আহমেদের সম্মান-এর জন্য হলেও সে এটা করবে । কিন্তু কি হলো, দুদিন পরেই চলে এলেন ধানমন্ডিতে। ইদ্দত পালন করা তো দূরে থাক, হুমায়ন আহমেদের সম্মানের ব্যাপারটাও নিক্ষেপ করলাম, এট লিস্ট হুমায়ন আহমেদের প্রতি তার ভালোবাসার কারনেও তার উচিত ছিলো সেখানে অবস্থান করা।
কিন্তু তা তো করলেন না।
যাক, আমি আশা করি শাওন তার কাজকর্মগুলোর প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করবেন। এমন কিছু করবেন না যাতে প্রিয় লেখকের আত্না কষ্ট পায়।
যাই হোক, একজন সেলিব্রেটির ব্যাপারে আলোচনা-সমালোচনা থকবেই। আর তার পারিবারিক ব্যাপার গুলো নিয়েও আলোচনা থাকবেই যতক্ষন না তাদেরই কেউ এটাকে বন্ধ না করছে।
পরিশেষে লেখকের জন্য দোয়া রইলো আল্লাহ পাক যেনো তাকে মাফ করে দেন ।মৃত্যুর পর তার চেহারা দেখে খুবই খারাপ লাগছিলো। জীবদ্দশায় তার কাজগুলো এমন ছিলো না যে তিনি খুব সহজেই খোদা তায়ালার কাছে মাফ পেয়ে যাবেন ( আমি ধর্মীয় ব্যাপারগুলোর ব্যাপারে তার দৃষ্টিভংগির ব্যাপারে বলছি) ।