যখন পুরো বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে পরে তখন অর্থাৎ শুরুর পর গত বছর ২ জুলাই ওষুধ প্রস্ততকারী গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়। তার জানায় খরগোশের ওপর এ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘সফল’ হয়েছে। পরে গত বছর ৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করেও তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে। গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত তিনটি সম্ভাব্য টিকা পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। শুরুতে গ্লোব বায়োটেক তাদের টিকার নাম দেয় ‘ব্যানকোভিড। পরে তা পরিবর্তন করে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ রাখা হয়।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়। ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টিকার ফেইজ-১ ও ফেইজ-২ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল নীতিগত অনুমোদনের জন্য ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আবেদন জমা দেয়।
বেশকিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ৯ ফেব্রুয়ারি গ্লোব বায়োটেককে একটি চিঠি দেয় বিএমআরসি। ওই চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রোটোকল ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ১৭ ফেব্রুয়ারি আবার জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদন মেলেনি সাড়ে তিন মাসেও।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড টিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্ব কোভিড আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকেই কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটিকে সহযোগিতা না করে উল্টো প্রতি পদে পদে বাধার সৃষ্টি করছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠার গুলি। জনমনে এখন প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে কাদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে এই বাধা?
তথ্যসূত্র এখানে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৩