somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকায় শেখ হাসিনা সেই একই প্রতারনাপূর্ণ বক্তব্য দিলেন পর্ব -২ (প্রমানীত)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার ভিডিও প্রমানঃ প্লে ক্লিক করে নিচে পড়ুন। পরে দুখুন।



খবরঃ আমেরিকায় ম্যানহাটনে প্রবাসী বাংলাদেশী আয়জিত এযাবৎ হওয়া সবচেয়ে বড় এক সম্বর্ধনা আনুষ্ঠানে আজ শেখ হাসিনা, তার জন্মদিনে, একই প্রতারনার কথা বললেন। ত্রিরিশ মিনিটের বক্তব্যে অনেক হাতি ঘোড়া তিনি মারলেন, সেগুলি বাদ দিলাম যদিও একশটা মিথ্যা ভাষন সেখানেও দেখানো যাবে।

শুনুন ! আপনার একটা কথাই ধরি ! আপনি বলছেনঃ আমাদের ছেলেরা বিদেশে এসে ভালো পড়াশুনা করছে ভালো রেজাল্ট করছে, আরও কত ভালো ভালো কাজ করছে, তাহলে আমরা দেশে কেন আমরা পারবো না ?

এর জন্যই আমরা দিন বদলের কথা শুনিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনিয়েছি ?

এক্সকিউজ মি, ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টার অব বাংলাদেশ। আপনি এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে আমাদের সাথে প্রতারনা করতে পারেন না। আপনি দয়া করে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা আর বলবেন না। আমাদের দেশের সব আশ্চর্য রকম জ্ঞানের অধিকারী সুশীল নাগরীকের সামনেও না গরীব অশিক্ষিত গ্রামের লোকগুলোর সামনেও না।

প্রমানঃ আপনি ক্ষমতায় আসার প্রথম দশ দিনেই তথ্য মন্ত্রনালয়ের যে আইনটার ভবিষ্যের নিশ্চয়তা সুসংহত করেছেন সেটা হলোঃ টেরেষ্টারিয়াল টেলিকাস্ট শুধু মাত্র বিটিভির জন্য সংরক্ষিত রাখা হলো।

আইনটার মানেটাতো অবশ্যই এদেশের যে কারও চেয়ে অনেক ভালো বোঝেন। দেশের আশি শতাংশ গ্রামের দরিদ্র লোকগুলোকে তাদের একমাত্র ডিজিটাল মাধ্যম/রিসিভার টেলিভিশনটাও দেখার পারমিশন দেবেন না।

কংক্রীটঃ ১২০ মিলিয়ন লোক, বহুকষ্টে কেনা এক একটা টেলিভিশনে, ঘরের দোকানের চালের উপর সিলভারের এন্টিনা লাগিয়ে বসে আছে কবে দেশের লোকগুলি তাদের সাথে কথা বলবে, এক সাথে থাকবে, সেয়ার করবে, দেখাবে, দেখবে। ২০০১ সালে কিছুদিন তাদের এই সিলভারের এন্টেনা'ই বিনা পয়সায় স্বপ্ন পূরণের এক ঝলক দেখিয়ে ছিল গ্রামের যুবক বৃদ্ধের মনে আছ। একই দুপুরে সরকার এখন বাধ্যতা মূলক ডিপজলের সিডি দেখতে পাঠায় ।

কাজের কথাঃ আরও আগামী ২০ বছর এই টেলিভিশনই হতে পারে আমাদের গ্রাম গঞ্জের সাধারন মানুষের সামর্থের এবং চাহিদার আন্যতম প্রধান ডিজিটাল মাধ্যম/রিসিভার, কল্পনাতীত শক্তিশালী।

দুইবার ইস্যূটা আপনি ইগনোর করেছেন। ঈদের আগে সংসদে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আরও ছয়টা সেটেলাইট চেনেল খুলার বিষয়কে পাকা করে আসলেন। কিন্তু ১২ কোটি লোককে অন্ধকারেই নিজের পকেটে টেরেস্টারিলের আইনে রেখে দিলেন।

টিভি দেন, নো প্রবলেম একশটা দিলে আরও খুশি। কিন্তু দেশের আশি শতাংশ লোককে বাদ দিয়ে কেন ? তাদের ডিজিটাল দরকার নাই, তাই না ? তারা অলরেডি অনেক জ্ঞানী ? সরকারের তো একটা টাকাও খরচ হবে না কাগজে সিগ্নেচার ছাড়া । উল্টা টাকা আসবে। তাহলে কেন এই প্রতারনা, কেন মিথ্যা, কেন এই ভন্ডামী ?

নতুন প্রজন্ম একমাত্র ডিজিটালেই তাদের মুক্তির এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে আপনাকে বিশ্বাস করেছে অথচ আপনি প্রথম দিন থেকেই আপনি কি করেছেন বলেন, মূর্খ ভাবা ছাড়া ? আপনি দয়া করে ডিজিটাল শব্দটি আর কখনো উচ্চারন করবেন না।

এক্সট্রাঃ ইহা ছাড়া সরকার গত নয় মাসে তার ডিজিটালাইজেশনের সম্ভাবনা এবং করনীয়র ০.০০৯% কাজও করে নি। একটু ভাবুন পেয়ে যাবেন না পেলে আমি মদনতো লেখক বলেছেনেঃ আছিই । উল্লেখ্য আমাদের গরীবের আর একটা ডিজিটাল কমিউনিটি রেডিও পলেসির নামে গলা চেপে নীচের দিকে ধরা আছে।তাই শেখ হাসিনা মিথ্যাবাদী প্রতারক এবং ভন্ড ইহা যথার্থই বলা হয়েছে এবং দিবালোকে প্রমানীত হয়েছে।র্।

মিডিয়াঃ স্ব-চিত্র প্রমান হিসাবে ছবিটি দিলাম। ইহা সত্য যে এদেশের যেকোন উপজেলায় দুই লক্ষ জনগন থেকে থাকলে, সদরের ৫ হাজার পাবলিক বাদ দিয়ে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার জনগনের টিভি দেখার অধিকার শেখ হাসিনা আইন করে বন্ধ করে রেখেছে যদিও প্রায়ই তিনি ডিজিবিডি বলে স্ট্রান্ডবাজী করেন। ৯৯.৫%



ওপেন আওয়ার স্কাই।

এক্সক্লুসিভঃ আমি মদন বলেছেন: @ অলঃ চেনেল আইয়ে কৃষকের ঈদ আনন্দ নামে প্রতি ঈদে একটা আনন্দ অনুষ্ঠান হয় কিন্তু এই দেশের একটা কৃষকেরও এই মাত্র অনুষ্ঠানটা দেখার সৌভাগ্য টুকুও নাই। আর শাইখ শিরাজ কত আত্ম মতলববাজ দেখেন যেই কৃষকের জন্য সব দিয়া দিল, সে যে তার নিজের প্রথম টিভিতে দেখানো খুমা'ডাও দেখতে পাইলো না তা পুরা অনুষ্ঠানে এত কথার মধ্য একবার স্বরণও করলো না

আর এইদিকে আজ যে মালুদের বিসর্জন আপনারা ঘরে বসে সারাদেশের কত বিশেষ অনুষ্ঠান একসাথে দেখতেছেন তখন এইদিকে সুনামগঞ্জ জেলার তাহির পুরের ঐ জাউলা গাঁয়ে সোলার দিয়া কয়ডা টিভি থাকা সত্বেউ বাধ্য হইয়া ডিপজলের "মালু পাইছি" দৃশ্য দেখতাছে আর কাঁপতাছে।

ওপেন আওয়ার স্কাই।

মুক্ত দেশ, মুক্ত আকাশ, মুক্ত আমার প্রাণ।

জাগো দুর্গো তুমি দুরগতি নাশিনী

আপনার সুবিদার্থে ভাষা গুলো আপনার ভেতরের স্ক্রীপ্ট ফলো করে তৈরী করা।

পূর্ব মন্তব্যঃ

হরিসূধন বলেছেন: দেশে পরা লেকার কোন দর্কার নাই!

কারন মন্ত্রী এমপিদের পুলারা বিদেশে পরা লেকা করতাছে।
দেশে সুধু আম্বালীগ আর বিধবা দল করলেই চলবো।

আমি মদন বলেছেন: একটা বিষয় বুঝলাম না এই জলজ্বেন্ত লোকেশন পেসেফিক প্রমানটা একজনের ভালো না লাগার জন্য একজনের কতটুকু কি হওয়া জরুরী ?

নাহিদ মাহমুদ বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে যে শেখ হাসিনা কি বুঝে!!
কেউ বুইঝা থাকলে আমারে বুঝান। ব্যাপারটার ক্লিযার না হইয়া এই টপিকে মনতব্য করা যাচ্ছে না।

কারন ডিজিটালকরন মানে যদি, সারা বাংলাদেশের একমাত্র বিটিভি খাওয়ার ব্যবস্থাকরন হয়, তাইলে হাসিনা তো ঠিক পথেই আছে।

শোভন বলেছেন: আরে মিয়ারা ডিজিটাল বলতে কিসু নাই আছে খালি টাল!!!!

কঠিন চিজ বলেছেন: I like my BD Prime Minister. She is a Sweet Lady & Cute ChapaBaz. ভোট বেশি পাইয়া মহিলার মাথা ঠিক নাই। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আমার আবেদন এই যে, ওনাকে যেন অতিসত্তর পাবনার পাগলা গারদে প্রেরন করা হয়। অন্যথায় যে কোন সময় উনার আব্দুল জলিল এর মত মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটিতে পারে।

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: দাঁত কামড়াইয়া বছর চারেক সবর করেন, এরপর তো যুধিষ্ঠির বিন্পি আইসা ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কইরা ফেলাইবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৪
১২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×