(১)হযরত মুআয ইবনে জাবাল ( রাদিয়াল্লাহু
তাআলা আনহু ) বলেন, রাসূলে করীম
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ
শাবানের রাতে ( শাবানের চৌদ্দ তারিখ
দিবাগত রাতে ) সৃষ্টির দিকে ( রহমতের )
দৃষ্টি দেন এবংগ মুশরিক ও বিদ্বেষ
পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
(২)হযরত আয়েশা সিদ্দীক ( রাদিয়াল্লাহু
তাআলা আনহা ) বর্ণনা করেন, মহানবী
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আয়েশা!
তুমি কি জান? আজ রাত ( নিসাফে শাবান )
কী? হযরত আয়েশা ( রাদিয়াল্লাহু তাআলা
আনহা ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো
জানি না, দয়া করে বলুন। মহানবী
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
বললেন, আজ রাতে আগামী বছরে যে সমস্ত
বনী আদম জমীনের বুকে জন্মগ্রহণ করবে এবং
যারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদের তালিকা
লিপিবদ্ধ করা হয়। বিশেষ করে বান্দাদের
আমলনামা মহান আল্লাহর নিকট প্রকাশ করা
হয়।
#
হযরত আয়েশা ( রাদিয়াল্লাহু তাআলা
আনহা ) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদীসে
মহানবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ) বলেন, আমি এক রাতে মহানবী
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ঔয়া সাল্লাম )-কে
বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত
পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম।
খুঁজতে খুঁজতে দেখি, তিনি জান্নাতুল বাকীর
মধ্যে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন
তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে
আয়েশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল
( আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) উপস্থিত
হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আজ রাত হল
নিসফে শাবান ( অর্থাৎ, লাইলাতুল
বারাআত )। এ রাতে আল্লাহ তাআলা অধিক
পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে
জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব
বংশের বকরীগুলোর লোম সমপরিমাণ
গুনাহগার বান্দা হলেও। ( মিশকাত শরীফ-১১৫
পৃ )
(৩)হযরত আলী ( রাদীয়াল্লাহু তাআলা আনহু )
থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন,পনেরো
শাবানের (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন
আসে, তখন তোমরা রাতটি ইবাদত বন্দেগীতে
কাটাও এবং দিনে রোযা রাখ। কেননা এ
রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম
আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন ক্ষমা
প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা
করবো। আছে কি কোন রিযিকপ্রার্থী? আমি
তাকে রিযিক দিব। এভাবে সুবহে সাদিক
পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনের
কথা বলে তাদেরকে ডাকতে থাকেন।
( সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৩৮৪,
বাইহাকী-শুআবুল ঈমান, হাদীস-৩৮২৩ )
বিঃ দ্রঃ হাদিস স্কলারদের মতে, (দায়ীফ
হাদীস) দুর্বল হাদীসসমূহ নেক আমলের
ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং আক্বীদা তথা
ঈমান ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বর্জনীয়