somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঙালের বাহারীন ভ্রমণ

১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেবার ছিল প্রথম বার।বাহারীণে নেমে হাতে পাস পোর্ট আর ভিসার কপি নিয়ে দ্বিধাশঙ্কিত চিত্তে এগোচ্ছি,এমন সময় ভারতীয় চেহারার,বরং বলা ভাল দক্ষিণী চেহারার এক ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বললেন “মিঃ ভট্টাচারিয়া?”আমি মাথা নেড়ে কাগজপত্র দেখাতেই ভিসার কপিটি নিয়ে আসল ভিসা এবং একটি পাঁচ দিনারের নোট দিয়ে আমাকে একটি গেট এর দিকে যেতে বল্লেন।আমি ছেলে-বউ কে দেখার আনন্দে গুটি গুটি এগোচ্ছি এমন সময় হল আসল মজা।মজার কথা এখন থাক বরং এবারের কথা বলি।ঘটনা হুবহু এক শুধু গতবারের মজাটি না হয়ে ব্যাপারটি সোজা হল,আমি নিরুপদ্রবে বেরিয়ে আমার তৄতীয় পুরুষ শ্রীমান অভ্র কে এই প্রথম বার বুকে জড়িয়ে নিলাম।
বাঙালের এই দ্বিতীয় বার বাহরীণ এ পা। প্রথম বার ও অচেনা লাগেনি,এবারো নয়। দিল্লী বম্বের সঙ্গে তুলনীয়,কিন্তূ হায় কলকাতা!তুমি নাকি একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে? কল্লোলিনী ত হয়েছ, তিলোত্তমা হওয়া আর হলনা বুঝি এ জীবনে!যাক,ফিরে আসি বাহরীণে।
বাহারীণ,ছোট্ট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র।একটি বড় দ্বীপ এবং ৩৯টি ছোট।মোট আয়তন ৭১২ বঃকিলোমিটার।মোট জনসংখ্যা ৬.৫ লক্ষ,নাতিশীতোষ্ণই বলা যায় ১৫ থেকে ৪৬ডিঃসেন্টিগ্রেড।বৄষ্টি প্রায় নেই,মোট ৭৭ মিঃমিঃ,দ্বীপের চারধারে জলের গভীরতাও কম মেরেকেটে ৩৫ মিটার, এখানেই হয় এদের বিখ্যাত মুক্তা।বাহরীণের মানে নাকি “দুটি সমুদ্র”,একটি বাইরের আন্যটি ভেতরের,ভেতরে মানে মিষ্টি জলের দিঘি,এবংকয়েকটি মিষ্টি জলের প্রস্রবন।এই মিষ্টি জলের জন্যই প্রাচীন কাল থেকে লোকেদের আনাগোনা।দ্বীপ টি প্রায় সমতল,একটি ছোট্ট পাহাড় মাত্র ১৩৪মিঃ উঁচু।তার চার পাশে তেলের কূপ।মুক্তা,তেল,ব্যাংক আর ভ্রমণপিপাসুদের নিয়েই এদের কারবার। ইতিহাস পুরাতন,সিন্ধু-সভ্যতা এবং মেসোপোটামিয়া-সভ্যতার মাঝের যোগাযোগ এখানের উত্তরের বন্দর বাহরীণের সদর মানামা।খ্রীষ্ট পূর্ব ২০০০এ এখানে আসিরীয় রাজত্ব ছিলো,আদিবাসীরা ছিল কৃষ্ণবর্ণ এবং স্বাভাবিক ভাবেই অমুসলমান ছিল।তারপর পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতাব্দীতে আসে মুসলমান,আরো হাজার বছর পর পোর্তুগীজ্ এবং শেষে আরো একশো বছর পর আসে বর্ত্তমান শাসকরা যারা ইরাণী বংশোদ্ভুত ।


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×