একটি জরুরি বিষয়/এম আমির হোসেন
-----------------------------------------
মেডিকেল রিলেটেড ফেসবুকের পেজগুলোতে কিংবা স্ট্যাটাসে কিংবা ব্লগে মেডিকেল প্রফেশন নিয়ে কিছু লিখলে দেখা যায় একদল নন-মেডিকেল পার্সন হুমড়ি খেয়ে পড়ে ডাক্তারদের বিষোধগার করতে থাকে। তাদের গালাগালি ও ক্ষোভের অন্ত নেই। আপনি অন্য কিছু লিখলে তারা কখনও লাইক কিংবা কমেন্ট দেয় না। চুপি চুপি পড়ার পর কেটে পড়ে। আর মেডিকেল নিয়ে কিছু লিখলেই তাদের গায়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী হওয়া উচিৎ?
আমার প্রস্তাবঃ
১) ওরা যেভাবে উলটাপালটা চেঁচামেচি করছে ঠিক সেভাবেই করতে দিন। আপনার কোন মতবাদ/চিন্তাধারা জনপ্রিয় করতে হলে ফ্রেন্ডলিস্ট/লাইকলিস্টে কিছু বিরুদ্ধমতের ছাগল প্রতিপালন করা দরকার। আপনার কথাটি এরাই প্রচার করে বেড়াবে। বিনা পারিশ্রমিকে প্রচার মোটেই মন্দ নয়, কী বলেন!!! :-D
২) যারা নোংরা কমেন্ট করবে তাদের কমেন্টের কোন উত্তর দিবেন না। ব্লক কিংবা আনফ্রেন্ডও করবেন না। ওরা মোক্ষম একটা প্রতিউত্তর না পাওয়ার যন্ত্রনায় ভুগতে থাকবে। একসময় মানসিক সমস্যায় ভুগে আমাদের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বন্ধুদের দ্বারস্ত হবে। সেটা আমাদের জন্যই লাভজনক। যাদের উচিৎ ছিলো করম আলি ডিগ্রি কলেজের ফ্যান পেইজে সদস্য হয়ে মডেল আরিফ খানের ছবি পোস্ট করে তাতে কমেন্ট করা, মুক্ত ফেসবুকের কল্যাণে তারা আমাদের পেইজে এসে মূল্যবান(!) কমেন্ট করছে—এর চেয়ে বেশি আর কী কমেন্ট করবে বলুন!!! :-D
৩) যারা নোংরা কমেন্টে লাইক দিবে তাদেরকে সরাসরি ব্লক করে দিন। ‘চুপা ছাগু’/‘চ্যালা ছাগু’ সবসময়ই খারাপ। ওরা অই পেইজের অন্য লেখাগুলো চুপি চুপি পড়তো। না পড়তে পারার যন্ত্রণায় ওরা জ্বলবে। ভবিষ্যতে নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা করলেও করতে পারে। :-D
৪) নোংরা কমেন্ট এভোয়েড করে অন্যান্য গঠনমূলক কমেন্টে সুন্দর ব্যাখ্যা, মতামত, হাসির ইমো ইত্যাদি দিন। এতে করে হিংসুকেরা ‘এভোয়েড হওয়ার তীব্র যন্ত্রণায়’ অঙ্গার হয়ে যাবে। :-D
সর্বোপরি, নিন্দুকের নিন্দা শুনে থেমে থাকা যাবে না। এই দেশ আমাদের সবার। রোগির সুচিকিৎসা ও মানবতার কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমাদের প্রতি মানুষের এই অনাস্থা দেশের জন্যই ক্ষতিকর। ডাক্তারগণ শুধু ডাক্তারই নন, নিজেরাও কিন্তু মাঝে মাঝে রোগি হন; তাদের আত্মীয়স্বজনও রোগি হতে পারেন। তাই রোগিদের অধিকারের ব্যাপারে আমাদেরও সচেতন হতে হবে। কিন্তু ডাক্তারদের অসন্মান করে এবং তাদের প্রতি পদে পদে নিগৃহীত ও হতাশ করে রোগিদের জন্য ভালো সেবার আশা করা বিরাট বোকামি বই আর কিছু নয়। আমাদের নীতি-নির্ধারকগণ এই বোকামি থেকে মুক্ত হবেন—এই প্রত্যাশা।