somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিক ও ঈশ্বরের কথোপকথন

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব তৃপ্তি লাগছে। আজ সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছি। বাছাধনেরা আর আমার সাথে লাগতে আসবেনা। খুব করে জব্দ করেছি। এই যুগে এসে এত এত অনিয়ম অরাজকতা দেখেও কিছু গাধা বিশ্বাস করে, একজন পবিত্র ও ন্যায়বিচারক গড আছে আর তার ইচ্ছায় সব হয়! কি অদ্ভুত হাস্যকর বিশ্বাস! খুব নিখুত চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আজ যখন একের পর এক যুক্তিখণ্ডন ও পালটা প্রশ্ন দিলাম তখন দেখি বোকা গুলার মুখ কেমন চিমসে গেছে,,, হা হা হা,,,,
গত কয়েকদিন ধরেই আমার আস্তিক বন্ধুরা খুব খোঁচাচ্ছিল আমায়। প্রসংগে বা অপ্রসংগে শুধু আমার নাস্তিকতা টেনে আনত, এই সেই প্রশ্ন দিয়ে আমার অবস্থান ভুল প্রমান করতে চাইতো। সহ্য করতে না পেরে আজ বিকালে সবাইকে তর্কযুদ্ধে আহ্বান করলাম। ওরাও এলো আর বুঝে গেল আমি না জেনে বুঝে নাস্তিক নই বরং ধর্ম ও গড নিয়ে ওদের থেকে বহু বহু বেশি পড়াশোনা, জানা, বুঝা আমার আছে। আমার তো মনেহয় কয়েকজন বন্ধুর হয়ত আমার প্রশ্ন শুনে নিজেদের ধর্মীয় আস্থাই টলমলে হয়ে গেছে। যাকগে সেসব, কথা বলে বলে ক্লান্ত হয়ে গেছি, রাতও হয়েছে বেশ। এখন একটু ঘুমাই।
কি ব্যপার এত তাড়াতাড়ি ঘুম ভাংগল যে। এইনা মাত্র ঘুমালাম! ঘড়ির দিকে তাকাতে গিয়ে দেখি আমার চোখ মুখ নেই। অদ্ভুত, আমার হাত পা নেই, আমার পেট, মাথা, শরীর কিছুই নেই! অদ্ভুত তাহলে আমি কই? আমি কে? তাহলে কি আমার অনুভুতির জাগরন হয়েছে মাত্র? আমি কি মারা গেছি? এমন সময় কানবিহীন আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম এক মোলায়েম কন্ঠ। সেই কন্ঠ আমায় বলল- হে অস্থির অতৃপ্ত বালিকা স্থির হও, শান্ত হও।
আমি- আপনি কে?
কন্ঠ- আমি সেই ঈশ্বর যাকে তুমি বিশ্বাস করো না। যার অস্তিত্ব নেই, প্রমান করতে পেরে আজ তুমি খুব আনন্দিত।
আমি- অবশ্যই আপনি নেই। এ আমার মনের ভ্রম। আপনাকে আমি বিশ্বাস করিনা, মানিনা। আপনি যদি সত্যিই অন্তর্যামী হবেন তাহলে দুখীর কান্না শুনে তার দুক্ষ লাঘব করতেন। আপনি দয়ালু নন, আপনি ন্যায় বিচারক নন,,,
কন্ঠ- হা হা হা,,,,, তাহলে একটা ন্যায় বিচারের দায়িত্ব তোমাকে দিই বালিকা। দেখি তুমি কতখানি ন্যায়বিচারক হতে পার,,,
হঠাতই আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম গহীন বনে স্নিগ্ধ জলাশয়ের পাশে। আরে আমি আসলে আমি নই, আমি একটা বাঘিনী। প্রচণ্ড ক্ষুধার্থ বাঘিনী। আমার বাচ্চারাও ক্ষুধার্থ। খাবারের অভাবে আমার দুধ উৎপন্ন হচ্ছেনা। এই মুহুর্তে খাবার না পেলে আমি মরে যাব, আমার বাচ্চারাও মরবে। হঠাত একটা হরিণকে এপাশে আসতে দেখলাম। খুশিতে ও ক্ষুধায় হৃদয় ও পাকস্থলি একসাথে লাফিয়ে উঠল। আমি নিবিড় ভাবে ওকে চোখে রাখছি। এই হরিনকে আমার চাইই। ওর উপর আমার ও আমার বাচ্চাদের জীবন নির্ভর করছে।
হঠাত এই দৃশ্যপট পালটে গেল। নিজেকে আবিষ্কার করলাম জলাশয়ের পাশে তৃনভুমিতে। এখানকার সবুজ ঘাস গুলো দেখে খুব খুশি হলাম। আরে! আমি তো হরিণী। বাচ্চাদের নিরাপদ এলাকায় রেখে ঝুকি নিয়েই জলাশয়ের এদিকে এসেছি। এটা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা তাই এখানে ঘাস অনেক বেশি। নিরাপদ এলাকায় ঘাস নেই বললেই চলে। অন্যদিকে পেটভরে না খেলে বাচ্চারা দুধ পাবেনা। আমি কান খোলা রেখে ঘাস দ্রুত চিবাচ্ছি। হঠাত জলাশয়ের ওপাশের বনে কি যেন নড়ার শব্দ পেলাম। আরে! এতো দেখি বাঘ লাফিয়ে আসছে! সাথে সাথে শরীরের সমস্ত শক্তি এক করে দৌড় দিলাম আর মনে মনে প্রার্থনা করছি- হে ঈশ্বর আমাকে বাচান, আপনিই জীবন রক্ষাকারী,,, আমার বাচ্চাগুলোর চোখ মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো,,,, আমি দৌড়াচ্ছি,,,, বাঘের হাত থেকে বাচতে চাইছি,,,,
আরে আমিই দেখি বাঘ! হ্যা এই হরিণীকে আমার চাইই। সমস্ত শক্তি এক করে আমি লাফ দিয়েছি। হ্যা আর মাত্র কয়েকহাত দূরে খাদ্য। মনে মনে প্রার্থনা করছি, ঈশ্বর আমায় বাচান, আমাকে খাদ্য বঞ্চিত করবেন না, আপনি রিজিকদাতা,,, আমার চোখে আমার বাচ্চাগুলোর মুখ ভাসছে,,,,
এমন সময় আমি আবার ঈশ্বরের সামনে নিজেকে আবিষ্কার করলাম।
কন্ঠ- এবার তুমি এই দুটো প্রানীর অন্তর্যামী ও ঈশ্বর। ওদের সবটুকু তুমি উপলব্ধি করেছো। এখন তুমি যা চাইবে ওদের ভাগ্যে তাই ঘটবে। দেখি তুমি কেমন বিচার করো। আমি এই দুটো প্রানীর ঈশ্বর হিসাবে তোমায় মনোনীত করলাম। এবার দেখাও তোমার দয়া ও ন্যায়বিচার,,,,,
------
ঈশ্বরের এই নিষ্ঠুর রসিকতায় আমি খুব অসহায় হয়ে গেছি। কি বলব আর কি করব কিছুই বুঝতে পারছিনা। বাঘকে দয়া করলে হরিণের প্রতি জুলুম করা হবে আবার হরিণকে দয়া করলে বাঘের সাথে অন্যায় করা হবে। তাহলে? নিবিড় ভাবে ভাবতে গিয়েই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, দুজনকেই বাচার সুযোগ দিব, এটাই আমার দয়া। বাঘ যদি ক্ষিপ্রতা ধরে রাখে তাহলে বাচবে আর হরিন যদি কৌশল অবলম্বন করে দৌড়ায় তাহলে বাচবে। দুজনের মনেই আমি এই অনুরণন পাঠাব কিন্তু যে মনযোগ অন্যত্র দিবে সে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের অনুরণন নিতে ব্যর্থ হবে। সেইই মরবে। কর্মফলের উপর নিয়তিকে ছেড়ে দেয়াই হবে ন্যায় বিচার। দুজনেই নিজের জীবন বাচাতে মগজ আর শরীর খাটাচ্ছে। যে অধিক মনযোগী ও নিখুঁত হবে সেইই জয়ী হবে। আর তাতেই দয়া ও ন্যায়বিচার দুইই হবে।
ঈশ্বর আমার সিদ্ধান্ত জেনে বল্লেন- এটাই তো হয়ে আসছে কালাকাল। এভাবেই আমি দয়ালু ও ন্যায়বিচারক। তোমাদের বিক্ষিপ্ত মন আমার দয়া গ্রহন করতে ব্যর্থ।
আমি- তবুও আপনাকে আমি ন্যায়বিচারক বলতে পারছিনা ঈশ্বর। আমাদের জীবনের যন্ত্রনা লাঘবের ক্ষেত্রে আপনার অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমানে বাঘ হরিনের নমুনা আমার জন্য যথেষ্ট নয়।
কন্ঠ- এই বাগানে প্রবেশ করো। যাও প্রবেশ করো এখানে। এই ভ্রমন তোমার ধারনা স্বচ্ছ করে দিবে।
মুহুর্তেই আমার চোখের সামনে বিশাল বিস্তৃত এক পাহাড়ি বাগান। পাহাড়ের উপরে তাকালে শুধু আলো আর আলো, উচ্চতার সাথে সাথে আলোর তীব্রতা বেড়েছে এবং একেবারে উচুতে শুধু চোখ ধাঁধানো আলো ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। পাহাড়ের ঢালুর দিকে তাকালে দেখা যায় তা ক্রমশ আধারে ছেয়ে ছেয়ে একেবারে নিচে ঘন জমাটবদ্ধ অন্ধকারে রুপ নিয়েছে।পাহাড়ের মাঝামাঝি উচ্চতায় যেখানে আলো আধারের সংযোগে মায়াবি কোমল আলো সেখানেই, বাগানের প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথে একজন প্রহরী দাঁড়িয়ে আছে। আমি সেই পথ দিয়ে প্রবেশ করলাম। প্রহরী আমার সাথে সাথে এলো। প্রবেশ পথ ধরে কিছুটা হেটে এসেই সিড়ি দেখা গেল। সিড়ি উপরের দিকে গেছে- আলোর বাগানে। আলোর বাগানের উর্ধ্বমুখী সিড়ির ধাপ গুলো বেশ উচু উচু তাই রেলিং খুব মজবুত। রেলিং ছাড়া এই সিড়ি বেয়ে ওঠা অসম্ভব। প্রহরী আমাকে আলোর বাগানের সিড়ি দেখিয়ে বলল- পর্যটকদের ভ্রমন সহজ করার জন্য আলোর বাগানে যাবার পথ তৈরি করেছি, যেহেতু এই বাগান উচুতে তাই রেলিং সহকারে সিড়ি নির্মান করেছি। এই সিড়ির ধাপ গুলোর নাম জ্ঞান আর রেলিং এর নাম ধৈর্য। এই বাগানে গেলে আপনি প্রেম, ভালোবাসা, অহিংসা, ক্ষমা, মহত্ত, উদারতা প্রভৃতি নামের সুবৃক্ষের ফল খেতে পারবেন আর সেখানে সুপেয় জলের ঝর্না আছে, জলের নাম সদানন্দ, সেখানের বাতাস কোমল তৃপ্তির সুবাস ছড়ায়।
অতঃপর, প্রহরীর নিকট আমি আধারের বাগানের ব্যপারে জানতে চাইলাম- প্রহরী বলল, এই বাগানে যেতে আমরা সবাইকে অনুৎসাহী করি তাই কোন প্রবেশ পথ নেই তবে এটি ঢালু বিধায় পর্যটক ওখানে এগিয়ে গেলে আপনা আপনি পিচ্ছিল ঢালু বেয়ে অন্ধকারের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। বেশীরভাগ পর্যটক ওখানেই রয়ে যায়, উপরে উঠে আসতে পারেনা। মাঝেমাঝে অল্প কিছু পর্যটক আধারে জন্মানো হিংসা, নিষ্ঠুরতা, পরশ্রীকাতরতা, ভোগ, লালসা, লাম্পট্য প্রভৃতি বৃক্ষের যন্ত্রনাদায়ক ফল খেয়ে যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে আহত হয়ে উপরে উঠে আসে। যেহেতু রাস্তা নেই তাই আসার পথে তারা পথের পাথর ও কাটায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে ক্ষুধার্ত, আহত ও তৃষিত হয়ে যায়। এই ক্ষুধা আর তৃষার প্রাবাল্যে তারা সদানন্দের জল পানের জন্য উদ্গ্রীব হয়ে দ্রুত আলোর বাগানের দিকে রওনা হয় এবং খুব দ্রুত পৌছে যায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এত সুন্দর আলোর বাগান থাকতে ওই আধারের দিকে মানুষ পা কেন দেয়? প্রহরী তখন আলোআঁধারির মধ্যে জন্মানো কিন্তু আধারের বাগানের সীমায় অবস্থিত কিছু গাছের দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষন করল। বলল, ওই যে দেখছেন লোভ নামের গাছ, ওই গাছের চকচকে কুহেলিকা মোড়ানো ফলের দিকে বেশীরভাগ লোক আকৃষ্ট হয়, অপেক্ষা করুন কিছু পর্যটক এলেই আপনি নিজেই সবটা দেখতে পাবেন।
এমতাবস্থায় কিছু লোক বাগানের সামনে আসল। প্রহরী এগিয়ে গিয়ে তাদের অভিবাদন জানিয়ে আলোর বাগানের সিড়ির দিক দেখিয়ে দিল। তারা সবাই এদিকে আসা শুরু করল। হঠাত কিছু লোক সিড়িতে আসার আগেই আধারের বাগানের লোভ বৃক্ষের চকচকে ফল গুলো দেখল ও তা পেতে আগ্রহী হয়ে গেল। তারা আধারের বাগানের দিকে কিছুটা ঝুকে লোভ গাছের ফল ছিড়ে নিল ও খেয়ে ফেলল। সাথে সাথে ফলের বিষক্রিয়ায় তাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেল। তারা এলোমেলো হাটতে গিয়ে পা পিছলে লোভ বৃক্ষের পাশেই অতৃপ্তির জলন্ত অগ্নিপিন্ডে পতিত হল। তাদের শরীর পুড়ে গেল। অন্ধ পোড়া মানুষগুলো শরীরের পোড়া ঘায়ের যন্ত্রনা ও চুলকানি প্রশমন করতে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল তাতে তাদের ঘায়ের চুলকানি কিছুটা প্রশমিত হল কিন্তু তারা ঢালু পথে গড়াতে গড়াতে গহীন অন্ধকারে চলে গেল। আমি সেই অদ্ভুত আলো আঁধারিতে যদ্দুর দেখা যায় তদ্দুর গড়িয়ে যাওয়া মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি দেখতে পেলাম। এই হাসির হেতু খুজতে গিয়েই বুঝতে পেলাম, অতৃপ্তির অনলে সৃস্ট ঘা ঢালু পথের নুড়ি কাঁকড়ে আচড় লাগছে তাই তারা কিছুটা চুল্কানি প্রসমিত করার আনন্দে হাসছে। আহারে! আমার অন্ধ পর্যটক! যারা লোভ গাছের ফল খায়নি এরাম অল্প কিছু লোক সিড়ির দিকে এগিয়ে আসতে থাকল। হঠাত আধারের বাগান থেকে ধুসর রংয়ের একটা পাখি এল, পাখিটার নাম অলসতা। পাখিটা ওদের কে বলল, ওই বাগানে যেতে কত কষ্ট আর এই আধারের বাগানে কত আরামে যাওয়া যায়। শুধু সামনে দাড়ালেই হয়। তোমরা বোকা তাই সহজ রেখে কষ্টের পথে যাচ্ছ। তখনি আলোর বাগান থেকে একটা রঙ্গিন পাখিকে উড়ে আসতে দেখলাম, পাখির নাম পরিশ্রম। পাখিটা বলল, ওর কথায় কান দিও না। আধারের বাগানে শুধু যন্ত্রনা আর অতৃপ্তি। তৃপ্ত ও আনন্দিত হতে চাইলে ওই সিড়ি বেয়ে সোজা উপরে উঠে যাও। আমিই তোমাদের পথ দেখাচ্ছি। আমার সাথে আসো। অলস পাখির কথায় অনেক পর্যটক সায় দিল আর পরিশ্রম পাখির সাথে আসল মাত্র দুই জন পর্যটক! সেই দুইজন রেলিং ধরে অভিকর্ষ টান প্রতিহত করে ক্রমশ ধাপ অতিক্রম করতে লাগল। আর আধারের বাগান থেকে তখন চিৎকার ও কান্নার শব্দ এলো। দেখলাম চারজন পর্যটক আহত হয়ে টেনে হিচড়ে নিজেকে আধারের বাগানের ঢালু পথ বেয়ে উপরের দিকে টেনে আনছে। তারা কাতরাতে কাতরাতে উঠে আসল, লোভ বৃক্ষের ফলের দিকে তাদের মধ্যে তিনজন পুনরায় হাত বাড়াল এবং আবারো অন্ধ হয়ে নিচে গড়িয়ে পড়ে গেল। আরেকজন এই বৃক্ষের ফলের দিকে না তাকিয়ে সরাসরি সিড়ির দিকে চলে এল আর খুব ক্ষীপ্রগতিতে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করল। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।
ঠিক তখনি নিজেকে ঈশ্বরের সামনে আবিষ্কার করলাম।
--------

কন্ঠ- বালিকা, এবার কি তুমি স্বচ্ছ উত্তর পেয়েছ?

আমি- না, পাইনি।এখানে দেখেছি ভালো আচরন গুলো যারা গ্রহন করে তারা আনন্দিত ও তৃপ্ত কিন্তু বাস্তবতায়, ভাল মানুষদের দুখ যন্ত্রনাই দেখি। ভাল মানুষেরাই বেশী দুখী হয়। কিন্তু কেন? ভাল মানুষেরাই কষ্টভোগ করে বেশি, তাদের ভালমানুষির কি প্রতিদান আপনি দিয়েছেন? অথচ আপনি দাবি করেন আপনি ন্যায়বিচারক।

কন্ঠ- ন্যায় বিচার মানে কি আম গাছে জাম ফলানো? দেহ ও আত্না দুটি বিপরীতমুখী স্রোত। যে যেই স্রোতে নৌকা চালাবে সে সেই স্রোতমুখী গন্তব্য লাভ করবে। যেই মানুষ আত্নার তাগিদে দেহের লোভের তাগিদকে অতিক্রম করল সে তার আত্নিক সমৃদ্ধির ফলাফল নগদ পেয়ে গেল মানে আলোর দিকে গেল আর যে আত্নিক ত্যাগের তাগিদ কে অস্বীকার করে দৈহিক লোভের তাগিদ গ্রহন করল সে দৈহিক সমৃদ্ধিই পেয়ে গেল অর্থাৎ লোভ হিংসার সৃস্ট ঘায়ের চুল্কানি প্রশমন করতে ক্রমশ নিচে নামল আর আত্নাকে আধারে পতিত করল । দেহ অস্থায়ী আর আত্না স্থায়ী। তাহলে কোন সমৃদ্ধিই প্রকৃত সমৃদ্ধি? কে লাভবান? এভাবেই আমি ন্যায়বিচারক!

আমি- হ্যা এটা ঠিক ভাল কাজ করে দেহে সুখ পাইনা, মনে সুখ ও তৃপ্তি পাই। মন্দ কাজ করে দেহে সুখ পাই কিন্তু মন খচখচ, অনিরাপদ ও অতৃপ্তিতে আক্রান্ত হয়। তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়, এই শরীরের বাহক হিসাবে আমি আমার শরীর দ্বারা প্রভাবিত হবই আর হইও। শরীরি সুখের সাথে আত্নার কেন এত বৈরিতা। সব দেহগত আবেদন মন্দ নয় অথচ সেসব আবেদনের বৈধতা দিলে আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হত। যেমন- প্রেম ও কাম। দুটি চমৎকার মনোদৈহিক আবেদন। যা আমাদের খুব সুখি করে কিন্তু কারো ক্ষতি করেনা। অবাধ যৌনতা থাকলে মানুষের সামাজিক সম্পর্ক আরো উন্নত হতে পারত। মানুষের মানসিক চাপ কমে যেত। অথচ এখানে আপনি কতশত বাধা ও নিয়ম দিয়ে রেখেছেন। কেন? কেন শরীরের বাহক কে এত অত্যাচার করছেন?

কন্ঠ- তাহলে এই ভোজসভায় যাও।এই ভোজসভা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব তোমার। এখানকার খাদ্যের মান, স্বাদ ও ফলাফল সম্বন্ধে তোমাকে জ্ঞান দেয়া হল। তুমি এখানকার নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় থাকবে।

মুহুর্তেই নিজেকে একটা বিশাল বড় ভোজসভায় আবিষ্কার করলাম।অনেক টেবিল ও চেয়ার। টেবিলে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সাজানো।বিভিন্ন মানুষগুলো যেন খেয়ে শক্তি অর্জন ও ঘাটতি পুরন করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই খাবারে এই বৈচিত্র্য। যার যেখানে ঘাটতি সে সেই রকম খাদ্য যেন খুজে খেতে পারে তাই বহু টেবিলে খাদ্য গুলো সাজানো এবং খাদ্যের গন্ধ ও রং আলাদা। খাদ্যের রং ও গন্ধ মানুষকে নিজের প্রয়োজনীয় খাবার খুজে নিতে সাহায্য করবে। যার দেহে যেই উপাদানের অভাব আছে, সেই উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যই তাকে বেশি উদ্দীপ্ত করবে, ক্ষুধাকে তীব্র করবে আর তাতে ক্ষুধার্থ ব্যক্তি সহজে নিজের প্রয়োজনীয় খাদ্য বেছে নিতে পারবে আর সেই খাদ্য গ্রহনের মুহুর্ত কে আনন্দময় করতে জিহবাতে দেয়া হল স্বাদ। তারা স্বাদ আনন্দ নিয়ে নিজেদের পুষ্টি ঘাটতি পুরন করে স্থায়ী ভাবে শক্তিশালী হয়ে যাবে। আমি ভোজসভা দেখে মুগ্ধ হলাম আর ভাবলাম যাক এখানে যারা আসবে তারা সবাই নিজের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহন করে শক্তিশালী হয়ে যাবে। নিজ দেহের অভাব পুরন করতে পারবে। সেই মুহুর্তেই মানুষ আসা শুরু করল। তারা এত খাদ্য ও সমাহার দেখে দিশেহারা হয়ে গেল। প্রত্যেক টেবিলের সব পদই একটু একটু করে মুখে পুরতে শুরু করল, গন্ধ আর রং এর আবেদনকে কেউ গ্রাহ্য করল না, শুধু জিহ্বার স্বাদ মেটাতে ব্যস্ত অথচ এই জিহ্বা তে খাদ্য নির্বাচনের ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তাই প্রায় সবাই সঠিক খাদ্য বেছে নিতে ব্যর্থ হল। যেটা ভাল লাগে সেটা কিছুক্ষন খায় তারপর কৌতুহল মিটাতে পরের টেবিলে, আবার পরের টেবিলে...।ফলে ভোজসভায় অরাজকতা সৃস্টি হল। সবচেয়ে বড় কথা সব খাবারই চেখে দেখার দরুন তাদের পুষ্টি ঘাটতি রয়েই গেল, ক্ষুধা কমে গেল তাই রং আর গন্ধ দিয়ে সঠিক খাদ্য খুজে নেবার যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তা দুর্বল হয়ে গেল। ক্ষুধা পুরন হচ্ছে কিন্তু কারো পুষ্টি ঘাটতি পুরন হচ্ছেনা।অপ্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহন করে করে তারা স্থুলতা ও অসুস্থতায় আক্রান্ত হল। আমি কষ্ট পেলাম। কেউই শক্তিশালী হতে পারছেনা দেখে হতাশ হলাম। অতঃপর আমি নিয়ম করে দিলাম, কোন টেবিলের খাবার খেতে চাইলে আমার কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। তবে কেউ যদি ভুল করে ভুল টেবিলে বসে তার জন্যেও নিয়ম রাখলাম, টেবিল ত্যাগের নোটিশ আমাকে দিয়ে পছন্দের ভিন্ন টেবিল ব্যবহারের অনুমতিপত্র নিতে পারবে। আশা করলাম, তাতে হয়ত মানুষ রং ও গন্ধ দেখে নিজের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বেছে নেবার দিকে খেয়াল করবে। সব টেবিলের খাবারেই মুখ লাগাবেনা তাই ক্ষুধা ঠিক থাকবে। এই ক্ষুধাই উপযুক্ত খাদ্যের রং ও গন্ধে সবল ভাবে সাড়া দেবার মাধ্যমে ব্যক্তিকে সাহায্য করবে। এই নিয়ম প্রনয়ন করে আমি খুশী মনে ভোজসভার দিকে মনযোগ দিলাম, ওমা! একি! মানুষ এত অধৈর্য কেন? টেবিলের আকার দেখছে সবাই। টেবিলের আকার দেখে তারা টেবিল চয়েজ করছে, রং বা গন্ধ দিয়ে নিজের প্রয়োজনের দিকে তাকাচ্ছেনা। সবার মনে বড় টেবিলের বেশী খাবারের মালিক হবার ইচ্ছা। তাই তারা অনুমতিপত্র নিয়ে বড় টেবিল গুলোতে বসে খাবার খেল ঠিকই কিন্তু অপুষ্টি হেতু দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হল। তারা তখন আমার নিয়ম কে তাদের অপুষ্টির জন্য দায়ী করতে লাগল অথচ তাদের তখনো টেবিল ত্যাগ করে সঠিক টেবিল খুজে নেবার উপায় আছে!! আমি এই অবিবেচক খাদকদের উপর বিরক্ত ও রাগ অনুভব করলাম।ঠিক সেই মুহুর্তেই স্রস্টাকে করা প্রশ্নের উত্তর যেন পেয়ে গেলাম। আমি পুনরায় ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হলাম।

কন্ঠ- সৃস্টির চাকা সচল রাখতে বংশবৃদ্ধি অপরিহার্য কিন্তু একটা জীবন সৃস্টি ও তাকে গড়ে তোলা অনেক পরিশ্রম ও সাধনার ব্যপার। এই যন্ত্রনা নিতে তোমাদের অনাগ্রহ যেন না হয় তাই প্রজনন প্রক্রিয়াতে কিছুটা নেশা মিশিয়ে দিয়েছি যেন সন্তানের ভার তোমাদের জন্য কষ্টের না হয়। যেহেতু এখানে কিছুটা নেশা আছে তাই তোমাদের বিয়ে প্রথা দিয়ে নেশাকে সুনিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছি। তোমার সন্তানের সঠিক উপযুক্ত পিতা মাতা কে হবে তা বেছে নেবার জন্য তোমাদের চোখ, কান ও বুদ্ধি দিয়েছি। এই দায়িত্ব পালনের যাত্রা আরামদায়ক রাখতেই সঙ্গীর জন্য প্রেম ও ভালবাসার নেশা দিয়েছি। অবাধ যৌনতা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর।বিশেষ করে নারীদের জন্য। যেহেতু সন্তানের সৃস্টির দায়িত্ব ও তাকে বড় করতে নারীর ভুমিকা অনেক বেশি। ভোগী পুরুষ অবাধ যৌনতার স্রোতে ভেসে যাবে আর নারীদের কে একাই সন্তানের সব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আমি- নারীদের প্রতি কি অবিচার হয়ে গেল না? কামের আনন্দ দুইজনকেই দিলেন অথচ সন্তানের ভার শুধু মায়ের যা অস্বীকার করার উপায় নেই।
কন্ঠ- হ্যা আর তাই নারীকে জীব জগতে টিকে থাকতে পুরুষ অপেক্ষা অধিক উপযোগিতা দিয়েছি। আমার কাছে সৃস্টির বিকাশ প্রকাশই মুখ্য। জীবের সাথে যার প্রয়োজনের সম্পর্ক যত গভীর, সেই জীব জগতে তত বেশী টিকে থাকবে। এই সত্যকে উপলব্ধি করতে চাইলে জীব জগতের দিকে তাকাও। সেখানে সন্তান জন্মদান ও লালন পালনে যার ভুমিকা যত বেশি তার বেচে থাকার ক্ষমতা ও সুযোগ তত বেশী।
আমি- একারনেই কি বিভিন্ন জীবের জীবন চক্রে পুরুষ সদস্যকে নারীর সাথে প্রজনন করা পর্যন্ত আয়ু দিয়েছেন? প্রজনন শেষেই পুরুষ মারা যায় আর নারী সন্তানকে বাচিয়ে রাখার জন্যই বেশী বাচার সুযোগ পায়?
কন্ঠ- হ্যা। প্রকৃতিতে অপ্রয়োজনীয় কিছু রাখিনা। জীবেরা বেচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন তাই শুধু জীব জগতে থাকে।
আমি- তাহলে পুরুষকে যৌনতায় নারী অপেক্ষা অধিক আগ্রহী কেন করেছেন? এটা কি জীব জগতের প্রয়োজনে? এর ফলে তো মেয়েরা প্রতারিত হচ্ছে।
কন্ঠ- মেয়েদের উপযুক্ত সঙ্গী খুজে পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন সহজ করার জন্য এরাম করা হয়েছে। যেহেতু দায়িত্ব মেয়েদের বেশী তাই মেয়েদের সঙ্গী নির্বাচনের সুযোগ বেশী দিতেই পুরুষকে ওভাবে সৃস্টি করা।এখন মেয়েরা যদি নির্বাচনের মাপকাঠি ভুল ভাবে নির্ধারন করে তাহলে তো ক্ষতিগ্রস্থ হবেই।
আমি- তারমানে বলতে চাচ্ছেন, নারী নিজেদের কারনেই প্রতারিত ও অবহেলিত? পুরুষের জন্য নয়?
কন্ঠ- নারী সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয় কোন বিষয়ে তুমিই বল?
আমি- টাকা পয়সা, যেহেতু সন্তানের ভবিষৎ ও লালন পালনের ব্যপার এখানে জড়িত।
কন্ঠ- তাই তোমাদের সমাজে সব ছেলেই অর্থবিত্ত নিয়ে সচেতন। যেদিন থেকে তোমরা সুন্দর গুনাবলীকে সবার আগে মুল্যায়ন করবে সেদিন থেকে পুরুষেরা সেটাই চর্চা করবে। তোমরা প্রতারনার স্বীকার হবেনা। জীব যা চায় তাই জীবজগতে থাকে। আমি এভাবেই, তোমাদের ডাকে সবসময় সাড়া দিয়ে তোমাদের সাহায্য করছি।
আমি- আমি তো আপনাকে অস্বীকার করেছি, ডাকিনি। তাহলে সাড়া দিলেন কেন?
কন্ঠ- তুমি আমায় খুজেছো বলেই আমি এসেছি। তোমার ওই অস্বীকার মুলত আমাকে খুজে পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষার ফসল। আমি অন্তর্যামী। তোমার অন্তরেই বসবাস। তোমার তীব্র বিশুদ্ধ সত্যসন্ধানী ইচ্ছাই আমাকে এখানে এনেছে।
আমি- ওহ ঈশ্বর! আপনার উত্তর আমি মানছি। আপনাকে মানছি। একটা কথা জানতে চাই- এই পৃথিবি সুন্দর হবে কবে?
কন্ঠ- যেদিন তোমরা চাইবে, সেদিনই। তোমরা চোখ খুলে যেদিন জ্ঞানের আলো দিয়ে নিজের দুর্দশা দূর করতে চাইবে সেদিনই দুর্দশা দূর হবে। তোমরা আমাকে যেভাবে ডাক, আমি সেভাবেই সাড়া দিই। তোমরা যেভাবে শক্তি চাও সেভাবেই শক্তি পাও, যে বিষয়ে জ্ঞান চাও সেই বিষয়েই জ্ঞান পাও।
আমি অসীম তাই এই প্রশ্ন উত্তর চলবে অসীম পর্যন্ত। আমাকে জানার শেষ হবেনা কোনদিন।
এবার বিদায়।
-------------
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল পাখির মধুর কিচিরমিচির শব্দে। ঘুম থেকে উঠে নিজেকে দেখলাম আয়নায়। সেই গতকালের আমিই অথচ কত ভিন্ন, আমি আর সেই আমি নই!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×