somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার গরিব মনের আম খাওয়া!

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রায় বছর দশেক আগের কথা। তখন আমি গার্মেন্টস এ নতুন চাকরিতে ঢুকেছি। বেতন ৫ হাজারের মত। এক হাজার বাড়িতে দেই, দুই হাজার যায় খাওয়া খরচ আর বাকি দুই দিয়ে সারা মাস কোন রকম চলি।
এর ভিতরে এলো আমের সিজন। গার্মেন্টস চাকরিতে ছুটি নাই তাই বাড়িতে গিয়ে আম খাওয়া হলো না। কিনে যে খাবো তাও বাজেটে মিলাতে পারি না। এ দিকে সিজেন প্রায় শেষ হয়ে এলো কিন্তু এখনও আমার আম খাওয়া হলো না। একদিন সাহস করে বিকাল বেলা গেলাম বাজারে। গিয়ে দেখি দেশী আমের সিজেন শেষ শুধু আমদানি করা রাজশাহীর আম আছে। এই আমগুলোর দাম যে বেশি হবে যানতাম। একটা দোকানে গিয়ে বললাম ভাই আম কত করে? দোকানদার বললো ৬০ বা ৬৫ টাকা কেজি। আমি বললাম কেজি টেজি বুঝি না, এই আমটার দাম কত হবে এ কথা বলে একটি সুন্দর সাইজের আম তার হতে তুলে দিলাম।
দোকানদার আমটি ওজন করে বললো ৩৫ টাকা। ৩৫ টাকা!... শুনে আমার আম খাওয়ার ইচ্ছা অনেকটা চলে গেলো। মনে পড়ে গেলো বাড়ি থাকতে কতো আম প্রতিদিন গাছ থেকে পেড়ে খেতাম, আর এখানে একটি আমের দাম ৩৫ টাকা!
যাই হোক সিজেন ফল কমপক্ষে তো একটা খাওয়া দরকার। মনে মনে হিসাব করে বললাম ঠিক আছে ৩০ টাকায় দেন। আমাকে অবাক করে দোকানদার বললো না ৩০ টাকায় দেওয়া যাবে না। শুনে আমার আম খাওয়ার ইচ্ছা আবার নিচে নেমে গেলো। দোকান থেকে চলে আসবো ভাবছি কিন্তু মনটা যে আসতে চাচ্ছে না। যাই হোক মনে মনে হিসাব করে বললাম যাই হোক একবারই তো! এই সিজেনে তো আর আম কানতে আসবো না, কিনেই ফেলি। অবশেষে দামাদামি করে ৩২ টাকায় আমটি কিনলাম।

কিনার পর ভাবলাম না আম নিয়ে রুমে যাও যাবে না। কারন রুমে থাকি তিন জন। তাদের না দিয়ে একা একাও খেতে পারবো না আবার এত কষ্টের দামী আম মাত্র ১/৩ ভাগ পাবো এতেও মনটা সায় দিচ্ছিলো না। ঠিক করলাম অন্য কোথাও বসে আমটা একা একা খাবো। গেলাম বাজারের পিছনে। একটু এগুতেই দেখি একটা টিউবওয়েল। টিউবওয়েলের পানিতে আমটাকে ভালো কারে ধুলাম। আর একটু এগুতেই দেখলাম একটি পুকুর। সেই পুকুর ঘাটে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে আম খাওয়া শুরু করলাম। আসে পাশে তাকিয়ে দেখলাম কয়েকজন রাজমিস্ত্রি কাজ করছে। মনে মনে বললাম তারা তো আর জানে না যে – আমি কলিগদের ভাগ না দিয়ে এখানে একা একা আম খাচ্ছি (অপরাধী মনের ভাবনা)।

আল্লাহর রহমতে আমটি বেশ মিষ্টি ছিলো। আম খেয়ে তৃপ্ত হয়ে মনটাকে বললাম “ জিহ্বাটা তে বান দে, এই সিজনে আর আম খাইতে চাইস ন্য ”
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×