somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওহাবী মতবাদ ও ইহার জনকের ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত-শেষ

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারী প্রলোভনে আব্দুল ওহাব-
একদিন আব্দুল ওহাব আমাকে বললেন যে ইসপাহানে অবস্থানকালে আব্দুল করীম নামে এক ব্যক্তির সাথে আমার বনদ্ধুত্ব হয় তিনি নিজকে একজন লেখক হিসেবে প্রচার করতেন। তিনি ইবন আব্দুল ওহাবের সাথে থেকে তার সমস্ত গোপনীয় তথ্য যেনে নেয়। তার সাথে সুফিয়াও কিছুদিনের জন্য ইসপাহানে আসে এবং আব্দুল ওহাব তার মুতয়ার মেয়াদ দু মাসের জন্য বাড়িয়ে নেয়। সিরাজ এলাকা সফরের সময় আব্দুল করীম তার সাথে ছিল এ সময় আব্দুল করীম আব্দুল ওহাবের জন্য সুফিয়া থেকেও আরো সুন্দরী মেয়ের ব্যবস্থা করে দেয় তার নাম ছিল আসিয়া। আব্দুল করিম ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পুনর্বাসন এলাকার মন্ত্রনালয়ের কর্মচারী ছিল।
মোটকথা আব্দুল করীম, সুফিয়া, আসিয়া ও হামফ্রে মিলে দিনরাত চেষ্টা করে আব্দুল ওহাবকে ব্রিটিশ মন্ত্রনালয়ের ইচ্ছামাফিক প্রস্তুত করে নেয়।

ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপসমূহ-
ব্রিটিশ সরকার আব্দুল ওহাবকে সাহায্য করার পুর্ন আশ্বাস দেয়ার পর জযীরাতুল আরবের অন্তর্গত নজদের নিকটবর্তী এলাকায় তার নেতৃত্বের প্রথম পদক্ষেপ সূচিত হয়।
আব্দুল ওহাবের প্রথম পদক্ষেপগুলো ছিল-
১। আব্দুল ওহাবের মাযহাবে যারা শামিল হবেনা তাদেরকে কাফের বলা, তাদের মাল সামানা ইজ্ঝত সম্মান বিনষ্ট করা বৈধ মনে করা
২।মুর্তি পূজার বাহানায় যথাসম্ভব ক্বাবা ঘর ধংস করা আর হাজীদের মাল লুন্ঠনের জন্য আরব উপজাতীদের উত্তেজিত করা
৩।রাসুল (স) এবং তার খলিফাদের এবং বিশেষ করে মহৎ ব্যক্তিদেরকে অবহেলার দোহাই দিয়ে এবং এমনি ভাবে শিরক ও মুর্তিপুজার চিন্নসমূহ বিলাপের বাহানায় মক্কা, মদীনা ও অন্যান্য শহরে যতটা সম্ভব মাজার ও কবরগুলো ধংস করা
৪।যতটুকু সম্ভব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে ফিতনা ফাসাদ ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়ানো
৫।কোরানে হ্রাস বৃদ্ধির উপর সাক্ষ্য হাদীস রেওয়াতের দিক দিয়ে এক নতুন কোরান প্রচার করা

নতুন মতবাদ প্রচার-
আমাদের পুর্ব পরামর্শ অনুযায়ী নজদের লোকেরা আমাকে ইবনে আব্দুল ওহাবের গোলাম মনে করত। আব্দুল ওহাবের দাওয়াতী পরিবেশ তৈরী করতে আমদের দুবছর সময় লেগেছে।১১৪৩ হিজরী সনের মাঝামাঝি সময় আব্দুল ওহাব জযীরাতুল আরবে নতুন ধর্মমত ঘোষনার জন্য চূড়ান্ত ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং তার মতাদর্শী ও সাহায্য কারী লোকদের একত্রিত করেন। প্রথমে তিনি শুধু নিজের লোকদের মধ্য অস্পষ্ট ভাষায় সংক্ষিপ্তভাবে দাওয়াতের সূচনা করেন, কিছুদিন পর নজদের সব চিন্তাবিদ লোদেরকে বড় বড় দাওয়াতনামা পাঠানো হয়। ধীরে ধীরে অর্থের বিনিময়ে আব্দুল ওহাবের পক্ষে একটি বড় জন গোষ্ঠিকে একত্রিত করতে থাকি। একথা উল্লেখ্য যে দাওয়াত প্রচারের শুরুতে তার বিরোধীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে, এতে আব্দুল ওহাব পিছিয়ে যেতে চাইলে তাকে আমরা সাহস দেই। আমি তাকে বলি" নবুয়তের প্রাথমিক দিনগুলোতে রাসূল (স) এর দুশমণ আপনার চাইতে বেশী শক্তিশালী ছিল, এ কষ্ট, অপবাদ সহ্য করা ছাড়া কোন দীর্ঘ পথ ও মর্যাদা লাভ করা সম্ভব নয়।
আমার সফলতার অন্য দিক হলো একবার তার বিরোধিতাকারি ১২৬ ব্যক্তি তাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহন করে এবং আমি তা নস্যাৎ করে দেই।

অবশেষে ইবনে ওহাব আমাকে বললেন যে পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দেয়া ৫ দফাকে কার্যকরী করার জন্য নিজের পূর্ন চেষ্টা অব্যহত রাখবেন। তবে দুটি বিষয়ে তিনি কোন আশ্বাস দেন নি প্রথমটি হলো-মক্কা বিজয়ের পর কাবা ঘর ধংস করা কেননা মুসলমাংন এত তাড়াতারি রাজি হবেনা। আর দ্বিতীয়টি ছিল তার সাধ্যের বাইরে তা হলো নতুন কোরান লিপিবদ্ধ করা। তিনি এটা করতে রাজি ছিলেন না। এছাড়া তিনি মক্কা ও ইস্তামবুলের শাসকদের খুব ভয় করতেন। আমি তার কৈফিয়ত যুক্তিযুক্ত মনে করলাম।

ইবনে ওহাবের দাওয়াতের কয়েক বছর পর যখন ৫ দফা সফলতার চরম মনযিল পার করল, তখন ব্রিটিশ সরকারের পুনর্বাসন মন্ত্রনালয় ইচ্ছা প্রকাশ করল যে, রাজনৈতিকভাবে জযীরাতুল আরবে কিছু করা প্রয়োজন। এ কারনেই নিজ কর্মচারী মোহাম্মদ ইবনে সউদকে ইবনে ওহাবের সাথে কাজ করার জন্য প্রেরন করা হয়। তিনি সউদি বংশের প্রথম বংশধর ছিলেন। তিনি ১১৪৭ হিজরীতে ওহাবী মাযহাব গ্রহন করেন। আর তিনি ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ হতে নজদের শাসনকর্তাও ছিলেন।তিনি ১১৭৯ হিজরীতে ইনতিকাল করেন। এ কাজ সমাধা করার জন্য মোহাম্দ ওহাবের নিকট গোপোনে একতি সাক্ষাৎকারী দল পাঠানো হয়। তারা মোহাম্মাদী দ্বীনের ( ওহাবী মতবাদের) কাজে অংশগ্রহনের উপর জোর দেয় এবং তাকিদ দেয় দ্বীনী বিষয়ে ফয়সালার ভার পুরোপুরি ওহাবের হাতে থাকবে কিন্তউ রাজনৈতিক বিষয়ের ফয়সালার ভার ইবনে সউদের জিম্মায় থাকবে। এরা উভয়েই নজদের নিকট 'দরইয়াহ' শহরকে নিজেদের কর্মস্থল করে নেয়। এভাবে কেন্দ্রীয় সরকার (ব্রিটিশ সরকার) সমস্ত আরবে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:২৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×