পাকিস্তানের সাথে পরাজয়ে এই ছেলেটার কান্না কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। এইটুকুন একটা বাচ্চা অথচ কতটুকু মমত্ববোধ থাকতে পারে দেশের ক্রিকেটে টিমের প্রতি। ক্রিকেট টিম তো দেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ আমরা দুঃখের সাথে খেয়াল করলাম কিছু কিছু মানুষ কট্টরভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করল। এমনকি বাংলাদেশের পরাজয়ে উল্লাস প্রকাশ করল। একজনকে জিগ্যেস করলাম, কেমনে সম্ভব?
সে বলল, আমি তো জন্ম থেকেই পাকিস্তানকে সমর্থন করি।
বোঝাই যায় জন্মে সমস্যা আছে।
যারা বাংলাদেশী হয়েও পাকিস্তানের সমর্থক তারা হয়ত জানে না পাকিস্তানে বাঙালিদের কেমন চোখে দেখা হয়। ৮০ এর দশকে ইমরান খান একবার বাংলাদেশে এসে বিমানবন্দরে সালামের বদলে নমস্কার দিয়েছিলেন। ওনাকে এবং ওনার টিমকে বেইজ্জতি করা হয়।
এই ইমরানদের পূর্বপুরুষগণ বাঙালি মুসলমানদের মুসলমান মনে করত না।
তাই তো তারা একাত্তরে বলেছিল এই বাঙালিদের সাচ্চা মুসলমান বানাতে হবে। এদের আদল বদলে দিতে হবে।
বাঙালিদের এখনও নীচু চোখে দেখা হয়। পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালিদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিলে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। এমনকি ভারতের মুসলমানরাও বাংলাদেশি মুসলমানদের ভালো চোখে দেখে না। এদের বৃহদাংশ একাত্তরে পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল। এরা বাংলাদেশে বসবাসকারী পাকিস্তানপন্থিদের মতোই। ভারতে বসবাস করলেও ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস করে। এই কারণে তো একটা মেডিকেল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারও করা হলো।
নিজের দেশের বিপক্ষে অন্য দেশকে মানুষ কীভাবে সমর্থন করতে পারে?
বাংলাদেশের বিহারীদের পাকিস্তানে ফেরত নেবে না, তবুও তারা মনেপ্রাণে পাকিস্তান করত।কিন্তু এই যে যারা এখনও নিজের দেশের বিপক্ষে পাকিস্তানকে সমর্থন করা বাঙালিরা; এরা আসলে কী চায়?
যে ধর্মের কারণে ওদের সমর্থন করে, তার মূল্যায়ন তো করা হয় না।
বিসিবির সমালোচনা আছে। এরা ক্রিকেটের জন্য তেমন কিছু করতে পারে নি। এদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কি নিজের নিজের দেশের দলের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে?
যদিও যারা বলে বিসিবির প্রতিবাদেই বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়া, তারা স্বার্থান্বেষী। আগেও পাকিস্তানকেই সমর্থন করত। এখন একটা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে মাত্র।