জয়নাল হাজারী মারা গেলেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম বিএনপিমনা লোকজনও ওনার জন্য শোক প্রকাশ করছে।
কোনো রাজনীতিক মারা গেলে সচরাচর হাসাহাসি হয়। অথচ জয়নাল হাজারী একসময় ফেনীর ত্রাশ হওয়ার পরও লোকজন ওনাকে ভালোবাসছে। ওনার জানাজা ফেনীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ। জাতীয় পর্যায়ের অনেক নেতাও ওনার মতো জনপ্রিয় নন।
ওনি আর আগের মতো ছিলেন না। অথবা ওনার কর্তৃত্ব হারিয়েছিলেন। অথবা জনগণের অংশ হয়ে গেছিলেন।
ওনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন; এ কারণেও লোকজনের একটা সহানুভূতি আছে।
বিজুর সাথে তার বিয়োগান্তক প্রেম কাহিনি নিয়েও লোকজন উদ্বেলিত। কলেজে থাকা অবস্থায় যে বিজুর সাথে তার ভাব ছিল, যুদ্ধে যাওয়ার আগে যাকে বলে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন করে এসে বিয়ে করবেন; সে বিজু একজন রাজাকারকে বিয়ে করে। হাজারী চাইলেই জোর করে তুলে নিতে পারতেন তাকে। কারণ, ওনার নিজস্ব বাহিনী ছিল। সহযোদ্ধা ছিল। যখন জানলেন বিজু স্বেচ্ছায়ই রাজাকারকে বিয়ে করেছে, ওনি মনঃক্ষুণ্ন হলেন। তবে বিক্ষুব্ধ হলেন না। অভিমানী প্রেমিক তার প্রেমিকার কোনো ক্ষতি করেন নি। কোনোদিন তার সাথে কথাও হয় নি। তবে 'বিজুর বিচার চাই' লিফলেটে লিখে সারা শহর ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। অভিমানী প্রেমিক কার কাছে বিচার চেয়েছিলেন?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১