সব চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তন হলেও রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসটা সহজে বদল হয় না। আপনার চেয়ে ১০-১৫ বছর বয়সের ছোট একজন আত্মবিশ্বাসের সাথে তার মতামত প্রকাশ করে যাচ্ছে। আপনি যখন বললেন, তোমারটা ভুল। তখনও তার ভ্রুক্ষেপ নেই। সে তার কথাতেই অবিচল। এমনকি সে আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করছে। আপনার কী করা উচিত, কী করা উচিত না; সেসব নিয়েও জ্ঞান দিচ্ছে। যদিও তার রসদ বেশি না। সে বড়জোর একটা রাজনৈতিক দলের শাসন দেখেছে, অথবা একটা ধর্ম সম্পর্কেই অবগত। অথচ আপনি তিন-চারটা সরকার দেখেও, ১৫-২০ টা ধর্ম সম্পর্কে জেনেও তার চাপার কাছে টিকতে পারছেন না। ইঁচড়েপাকাদের সাথে পারার কথাও না।
রাজনৈতিক কারণে হত্যা নতুন কিছু না। অহরহ হচ্ছেই। হত্যাকারীরা জানে তারা পার পাবে না। একদিন না একদিন ধরা পড়বেই। তবু কেন এমন করে? আমরা কি প্রদীপের পরিণতি দেখি নি? মিন্নির পরিণতি দেখি নি? একটু সেফ জোনে থাকলে কী হয়? এত এত প্রভাব-প্রতিপত্তি দিয়ে কী হবে যদি বিপদে না কাজে আসে? অর্থসম্পদ কি এরশাদ শিকদারকে বাঁচাতে পেরেছিল?
যখন শোনা গেল অমুক তো ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে। কী বলল, তা জানার দরকার নেই। হামলে পড়ছে একজনের ওপর। অথচ সে লোকের কোনো দোষ নেই। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদি সে কটূক্তি করেই থাকে, তার শাস্তি কি হামলা করা? এতে কি কটূক্তিকারীর মধ্যে সংশোধনী আসবে? আসবে না। বরং সে আরও সংক্ষুব্ধ হবে। ভালো লোক হামলে পড়লে না হয় মেনে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার, হামলাকারী ভালো লোক নয়। সে জীবনে ধর্মের পথে চলেনি। সে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
কত রকমের মানুষই না আছে দুনিয়ায়। তবে জ্ঞানী লোকদের বিবেচনা অন্য রকম। তারা বয়স দিয়ে নয়, কাজ দিয়ে লোকের মূল্যায়ন করে। নিজের ভুল হলে মেনে নেয়। পাকনারা তা তো করেই না, বরং সেটা আরও ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আরও এগিয়ে নেয়। এতে হিতের বিপরীত হয় বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯