
২০১২ সাল থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ৩,৯৫০ মেট্রিকটন রপ্তানি করার কথা। ইতোমধ্যে দুটো চালানও চলে গেছে। এর মধ্যে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে, যেখানে দেশের অধিকাংশ মানুষ ইলিশ খেতে পারে না, সেখানে ভারতে রপ্তানি কেন?
ভারত থেকে প্রতি বছর পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়। ইদ মৌসুমে বাংলাদেশের ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে কলকাতার মার্কেট। এসব নিয়ে কথা হয় না, কথা উঠল কেবল ইলিশ রপ্তানি করা নিয়ে।
এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ তো গরু-ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভারত বা অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন হয় না। তাও কেন এসবের দাম কমে না? কত শতাংশ মানুষ গরু-খাসির মাংস খাওয়ার ক্ষমতা রাখে?
ভোক্তা অধিকারের ডিজি সেদিন বললেন, পেঁয়াজ পঁচে তাও ব্যবসায়ীরা কম দামে বেচে না৷ আমাদের সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে, এর ভিত খোদ সরকারও নড়াতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্মোৎসবে জিনিসপত্রের দাম কমে অথচ আমাদের এখানে হু হু করে বাড়ে। এসব নিয়ে হৈচৈ হয় না। হৈচৈ হয় না সৌদিতে নারীশ্রমিক পাঠানো নিয়ে। কেন হয় না কে জানে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



