
শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। নির্বাচনের নামে পুতুল খেলেছেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে হটিয়েছে মেধাবীরা। এর নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদেরকে আমরা আদর করে সমন্বয়ক ডাকি। শেখ হাসিনা সরকারের লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, শত শত মানুষকে গুম করেছে, দেশটাকে বেচে দিয়েছে। সেই ডাকাতদের হাত থেকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করেছি।
কিন্তু তারপরও দেশ থেকে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। এগুলো কারা করছে? আওয়ামী লীগের লোকেরাই করছে। মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমে বললেন, আগে এক লাখ টাকা করে যেখানে ঘুস দেওয়া লাগত, সেখানে ৫ লাখ দেওয়া লাগছে। মিডিয়াগুলো যদিও বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাই বলছে, কিন্তু আমরা তো জানি এগুলো অপপ্রচার। বিএনপি ফেরেশতাদের দল। তারা এসব কাজ করতেই পারে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ লুকিয়ে এসব করে বিএনপির ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলছেন, দেশে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান ঘটছে। আওয়ামী লীগের অবর্তমানে কারা বিরোধীদল হতে পারে- এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেছেন জামায়াত, এনসিপি, ইসলামি আন্দোলন হতে পারে। দুষ্টু লোকেরা বলছে, উনি দক্ষিণপন্থিদের উত্থান নিয়ে চিন্তিত অথচ জামায়াত, ইসলামি আন্দোলনকে বিরোধীদলে চান? স্ববিরোধীতা হয়ে যায় না? উনার মতো সজ্জন লোকের এমন দ্বিচারি মনোভাব মানায়? দুষ্টু লোকেরা বোঝে না রাজনীতি করতে হলে এমনে বলতে হয়।
দুষ্টু লোকেরা মির্জা সাহেবের মেয়ের জামাই ফাহামকে নিয়েও ট্রল করছে। উনি বলেছেন, তারেক রহমানের আয় নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার কারও নেই। ঠিকই তো প্রশ্ন করবেন জয়ের উপার্জন নিয়ে, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে, শেখ হাসিনার নির্মমতা নিয়ে। দেশনায়ক তারেককে নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। জিয়ার সময় বিদ্রোহ হয়েছে, শত শত সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, একাত্তরে জামায়াত পাকবাহিনীর দোসর হয়ে লাখ লাখ মানুষ মেরেছে- সেসব নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। বিদ্রোহ করলে ফাঁসি হয় জানা কথাই। পাকিস্তান ভাঙার চেষ্টা করলে দেশপ্রেমিক জামায়াত কি বসে থাকবে? দোষ দিতে হবে শুধু শেখ হাসিনাকে। কোটা সংস্কারের নামে সরকার পতনের আন্দোলন করলেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। জিয়া বা জামায়াত কী করেছে সেসব ভাবলে হবে না। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ মানেই বাকশাল। আর স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়াই হলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। কথা বলতে হবে শুধু আওয়ামী লীগের অপকর্ম নিয়ে।
আপনাকে বুঝতে হবে শেখ মুজিব দেশপ্রেমিক ছিলেন না। দেশপ্রেমিক ছিলেন গোলাম আজম। যদিও লোকজন বলে উনি সাতবার সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে। উনি চাননি পাকিস্তান ভাঙুক। তাতে কী? উনি চাননি দেশটা ভারতের হাতে চলে যাক। আপনাকে বারবার বলতে হবে শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।
রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাদের আটক করেছে শেখ হাসিনার সময় রেখে যাওয়া পুলিশ। তারা বলছে, সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। বখশিশকে চাঁদা বলছে এরা। এদের ট্রস ট্রস করে মারা উচিত না?
ফ্যাসিস্ট শাম্মী পলাতক থাকায় তাঁর স্বামীর কাছে এই বখশিশ দাবি করা হয়। কয়েক দিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। আজ রাত ৮টার দিকে তারা আবার ওই বাসায় যায় স্বর্ণালংকার আনতে। সে সময় বাড়ির ফ্যাসিস্টের অনুসারী লোকজন পুলিশে খবর দিলে সেখানে গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। আটক হওয়া সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। কত বড় সাহস? ওই সমন্বয়কদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, এনসিপি প্রধান নাহিদসহ বড় বড় লোকের সাথে ছবি আছে, তাও কেন তাদের আটক করা হবে? তারা দেশ স্বাধীন করেছে না? তাদের কি এসব সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য না?
সবশেষে খবর অভিযুক্ত সবাইকে বৈবিছা ও বাগছাস থেকে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কত বড় নিমকহারাম বাঙালি। ভাবা যায়?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



