
পিনাকী ভট্টাচার্য। দেশের উদ্ধারকর্তা। একসময় গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন, যোদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গলা ফাটিয়েছেন। পরে ওষুধ কেলেঙ্কারীসহ নানাবিধ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এখন ফ্রান্সে নির্বাসিত। সেখানে বসে তার প্রথম কাজ হলো আওয়ামী বিরোধিতা আর মুক্তিযুদ্ধকে অপদস্থ করা। আওয়ামী বিরোধিতা করে মোটামুটি সফল। এখন ইতিহাস রচনায় মন দিয়েছেন। আগে এক মন্তব্যে বলছিলেন একাত্তরে শহিদ সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার। আজকে বললেন, দুই হাজার। পীর সাহেব যেহেতু বলেছেন, ঠিক বলেছেন। রাহবারের মন্তব্যে মুরিদরা উল্লসিত। আরও হাজার কমালে আরও খুশি হতো।

গত বছরের জুলাইতে মোটামুটি দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। প্রত্যেকটা মৃত্যুই কষ্টের। তবে একাত্তরের ওই দুই হাজারই যদি ধরি, সেটা কেবলই সংখ্যা। যদিও একাত্তরে এক চুকনগরেই ১২ হাজার+ শহিদ হয়েছিলেন, আর ২৫ মার্চ কালরাতে ৩০ হাজারের কাছাকাছি। আওয়ামী লীগ যেহেতু ওসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল না, তাহলে ওসব হত্যা নিয়ে যা খুশি বলাই যায়। পাকবাহিনী আর তাদের এ দেশীয় দোসর জামায়াতকে নিয়েও কিছু বলা যাবে না। আলোড়িত হতে হবে গত বছরের জুলাই হত্যা নিয়ে।
আরেক পীর ইলিয়াস একাত্তরের যুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলেন,

আওয়ামী লীগের সময় শুনতাম দলটি মুক্তিযুদ্ধকে কুক্ষিগত করেছে। এখন ভালোমতোই দেখা যাচ্ছে ওই সমালোচকরা কেমন ধারণ করেন মুক্তিযুদ্ধকে। আওয়ামী লীগের পতন না হলে অনেককিছু জানাই হতো না।
নতুন স্বাধীনতায় জাতীয় সংগীত গাইলে সমস্যা, জাতীয় পতাকার পক্ষে কথা বললে সমস্যা, একাত্তরের পক্ষে কথা বললে সমস্যা, পাকিস্তানের সমালোচনা করলে সমস্যা, রাজাকাররে রাজাকার ডাকলে সমস্যা, দেশের যেকোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, আলোচনা-সমালোচনা করলে সমস্যা, বর্তমান শাসন ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে সমস্যা, আদিবাসী, হিন্দু বা অন্য সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বললেও সমস্যা।
বিএনপি নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। পিনাকীর এই পোস্টের পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানার খুব ইচ্ছা আমার।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



