একটি অখাদ্য পোষ্ট - "২০১২" মুভি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মেজাজটা খুবই খারাপ হলো কাল রাতে।
অনেক সুনাম-দুর্নাম শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে শেষমেষ নিজেই দেখতে বসলাম "২০১২" মুভিটি। এমনিতে বোধহয় দেখতাম না। এইরকম টাইপের মুভি দেখতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না। তবুও পরিচালকের নাম রোল্যান্ড এমেরিখ জন্যেই দেখতে বসেছিলাম। এই টাইপের মুভি ভালো না লাগা সত্বেও এককালে দেখেছিলাম "ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে"। সেটা মোটামুটি ভালোই ভালো লেগেছিল। তো ২০১২ এর মহাবাণী, মহাকথা শুনে একটু খোঁজ নিলাম। দেখলাম, এই মুভিটির পরিচালকও রোল্যান্ড এমেরিখ। তাই ভাবলাম, আর যাই হোক খারাপ হবে না।
তো গতকাল দেখতে বসলাম। দেখতে দেখতে উপলদ্ধি করলাম, মুভিটার কাহিনী শুরুর দিকে একটা ধারায় ছিল। এরপর খাপছাড়া হয়ে গিয়েছে। হুট করে লাফ দিয়ে এক কাহিনী থেকে আরেক কাহিনীতে চলে যাচ্ছে। ডিজাষ্টার মুভি আরও অনেক আছে। ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে'ও একটি ডিজাষ্টার মুভি। কাহিনী বিশ্বাসযোগ্য না হলেও মুভিটিতে ঘটনা এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়, যাতে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে হয়। কিন্তু কথায় আছে না, বেশি চিপলে তেতো হয়ে যায়? ২০১২ মুভিটিতে ঠিক তাই ঘটেছে। বেশি চিপা হয়েছে। চিপতে চিপতে সব নষ্ট করে ফেলেছে।
বেশিকিছু বর্ণনা দেওয়ার ধৈর্য্যটুকুও আমার নেই এখন। মেজাজ এখনও খুব খারাপ হয়ে আছে।
কথা হলো, মায়ান ক্যালেন্ডার ২০১২ তে শেষ হচ্ছে জন্যে অনেক জল্পনা-কল্পনার উপর নির্ভর করে এই মুভিটা বানানো হয়েছে। কথা হল, মায়ান ক্যালেন্ডারের সাথে ক্রিশ্চিয়ান ক্যালেন্ডারের কোন সম্পর্ক আছে কি? রাত থেকেই এখন অব্দি অনেক খোঁজাখুজি করেও পেলাম না কোথাও। দুটো পুরোই ভিন্ন জিনিস। মায়ান ক্যালেন্ডার যে সময় শেষ হলো, সে সময় পৃথিবীতে সবকিছু উল্টে গেলো। ধ্বংস হয়ে গেলো সব। সব ডুবে গেলো। এরপর আবার নতুন করে জীবন শুরু হলো। বছর কাউন্ট করা হলো নতুন করে, ০০০১ থেকে। কেন? বছর যদি কাউন্টই করা হয় ০০০১ থেকে নতুনভাবে, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গিয়ে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য, তাহলে মানুষগুলো তো এখনও আছে? নাহয় সবকিছুই ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু মানুষগুলো এখনও থেকে তো প্রমাণ করছে যে পৃথিবী আছে। তাহলে কেন নতুন করে ০০০১ থেকে কাউন্ট করা হবে? মানুষগুলো তো ২০১২ এর পূর্বের!
যাকগে, যুক্তিহীন কিছু কথা বললাম। তবে আমার সর্বশেষ কথা, মায়ান ক্যালেন্ডারের জন্য তো ক্রিশ্চিয়ান ক্যালেন্ডার শেষ হতে পারে না? দুটো তো আর এক জিনিস নয়?
মোদ্দাকথা, মুভিটি আমার কাছে খুব খাপছাড়া লেগেছে। রোল্যান্ড এমেরিখের কাছ থেকে এমন মুভি আশা করিনি। তবে মুভির স্পেশাল ইফেক্ট ছিলো এককথায় অসাধারণ। ভুমিকম্প দেখে মনে হয়েছিল, একদম বাস্তব! কিন্তু একটা পুরো শহর ঠিক একটা জাহাজের মত করে পানিতে ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটা দেখে কেমন যেন লাগলো। ঠিক মানাচ্ছিলো না। মাটি কি নৌকার মত? জাহাজ যেভাবে ডুবতে শুরু করে, ঠিক সেইভাবেই ধীরে ধীরে একপ্রান্ত ডুবে গিয়ে তারপর পুরোটাই ডুবে, এমন? কি জানি!!
অনেক কথা বলে ফেললাম। আসলে সইতে পারছিলাম না। উপরে বলা কথাগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। একই মুভি একেকজনের কাছে একেকরকম লাগে। অনেকের কাছে খুঊঊঊব ভালো লাগে। আবার অনেকের কাছে খারাপ লাগে। কেউ মনে কষ্ট না নিলেই খুশি হব।
ভালো থাকুন সবাই।
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন