'এই ছোকরা যা বলছি , আমি নেব না ' ঘুরে দেখি তুমি বেশ উচ্চস্বরে বস্চা করছ, তুমি কিছুতেই নিবে না, আর ফুলওয়ালা যেভাবে হোক দিবেই দিবে। তোমাদের সংলাপ ভালোই লাগছে, আমি তাকিয়ে থাকি, শুনি। তুমি একবার তাকালে এদিকে, আবারও। 'আচ্ছা আপনার প্রবলেমটা কি, এভাবে এদিকে তাকিয়ে আছেন কেন?' আমি কিভাবে যেন তোমার চোখের ভাষা পড়ে ফেলি। শেষ পর্যন্ত তোমাদের দফা-রফা হল। ১০ টাকা করে তিনটি লাল গোলাপ কিনলে।
আমি বলি 'তুমি কে ? ' চোখে চোখে কি বল্লাম সেটা না বোঝার ভান করলে।তোমার সবুজ চোখ দেখে মনে হল এই বর্ষার বৃষ্টিতে তোমার সাথে ভিজি ।বলতেই 'অসভ্য, তোমার সাথে? অসম্ভব, চেনা নেই জানা নেই' আরও কত কি বলে ভর্ৎসনা করলে আমায়, আমি দমে যাই,আগ্রহ হারিয়ে আবারও ফিরি নদীর স্রোতে।
ঝড়ো হাওয়া বাড়ে, সাথে ঝিরঝির বৃষ্টিও । আমি স্থির, দাড়িয়ে থেকে ভিজি। তুমি গাছের তলায় হুটোপুটি খাও,ব্যস্ত নিজেকে আড়াল করতে। বাড়তে বাড়তে থেমে আসে ঝড়। ফিরে দেখি অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে তুমি। না, আমার বুকের বাঁ দিকে তাকিয়ে আছ। আনমনে হাত চলে যায়, উঠে আসে শার্টে লেপ্টে থাকা ভিজে তিনটি গোলাপ পাঁপড়ি। আর তোমার হাতে নেই একটিও গোলাপ। আমি বলি 'নেবে' । তুমি চোখে চোখে বল ' হুম, তাড়াতাড়ি এসো, আবারো না ঝড়ে উড়ে যায় শেষটুকু'। পা বাড়াই, সম্মুখে, তোমার দিকে.........
পিছন থেকে ফুলওয়ালা ছোকরা চিৎকার করে 'ভাইজান সামনে আর যাইয়েন না, কাইল নদীর বানে গাছটা ভাইস্যা গেছে , কিনারায় মাটি নরম.........'
০৯,১০,২১
ব্যালকনি,৩০৫।
বি.দ্র: সংশোধিত। আজকাল কি যেন হইছে, ভুলে 'র' কপি দিয়েছিলাম গতকাল।তাই..........
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:১৫