পরথমে দেখলাম, পত্রিকাওয়ালারা কইল ডিডু কেন এত আলু ভালু খেলোয়াড় বাদ দিল - এই নিয়া ত্যানা প্যাচাইতে শুরু করল সক্কলে । সেই ত্যানার প্যাচে পইরা আমগো সাল্লু কমিটি তারে পুরা সাইজ কইরা দিল । তোরে স্বাধীনতা দিছি বইল্লা তুই ডিডু এইসব পাগলামী শুরু করছস। পুরান পাগলে ভাত পায় নি, আর নতুন পাগলের আমদানী, দে চালান কইরা , যা ব্যাটা ফোট। জাতির মান-সম্মানের প্রশ্ন বলে কথা।
বিশাল একখান কাম কইরা সাল্লু কমিটি যেই ঢেকুর তোলা শুরু করছে। অমনি পত্রিকাওয়ালাগো আবার ঘ্যান-ঘ্যান শুরু করল। কয় সভাপতি সাব কামডা কি ঠিক করলেন। সভাপতি সাব কয় এগুলা ডাইল-ভাত ব্যাপার। ধনিয়া-মিষ্টি জর্দা দিয়া দুইটা খিলি পান খান, আমারেও দেন।ভাল করে হজম করেন, টয়লেটে যান-সব ভুইল্লা যাইবেন এক্কেরে ১০০ পারচেন্ট গ্যারান্টি। আরেক সভাপতির কাছে প্রশ্ন করে স্যার এইডা কি আমগো বাঙ্গালী জাতির প্রাচীন ঐতিহ্যের একটা অংশ। আপনার কি মত , ঝাতি জানবার চায়। হ্যায় কয়- কেন, আপনারাই তো আমগো গুতা মারলেন পয়লা, আপনারই তো জাতির আবেগ-অনুযোগ তুইল্লা ধরলেন, বড় বড় ফুটবল বোদ্ধা গো বিশাল বিশাল নেতিবাচক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছাপাইলেন। ওখন এক রাইতে ডিগবাজী দিয়া আলা-ভোলা সাজলেন। এই নিয়া শুরু হইল দুই পক্ষের গু ছুড়া-ছুড়ি।
পত্রিকাওয়ালা কয়, স্যার লোকজন কত কথা কয়, আমগো কাম সেগুলা প্রেসে ছাপানো আর আপনাগো কাছে পত্রিকা বেচা, এইটা হইল আমগো ব্যবসা। কথা সত্য, হেগোও তো পেটে-ভাতে বাচতে হইব। আগে পাব্লিকে কইছে ডিডু ঠিক কাজ করে নি, আর এখন কইতেছে আপনে ঠিক কাম করেন নাই।আমগো পত্রিকওয়ালার কি দোষ। পাব্লিকে তো কথা কইব, হেরা টিভি অন করে,হেরা টিকিট কাটে, খেলা দেখে। খেলায় জিতলে তালি দেয়, পিঠ চাপড়ায়, খেলায় হারলে চ-বর্গীয় কিছু গালি দিব , চান্স পাইলে আইট্টা মাকলা বাশ ও দিব। আর রাইতে পেট পুজা কইরা ঘুম দিব, সকালে সব ভুইল্লা আবার মাংগো পাব্লিক হইব। কিন্তু আপনারা তো স্যার দায়িত্ব নিছেন,কোনটা ভাল কোনটা মন্দ সেইটা আপনাগো চেয়ে কে ভালা বুজব। আপনারা ফুটবল খেলার মানের সিড়ি কই লাগাইবেন - বাংলাদেশ সাফ চাম্পিয়ান হইলে খুশি হইবেন, না এশিয়ায় ফুটবলের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বানাইবেন নাকি বিশ্বকাপ খেলার মত খেলোয়াড় বানাইবেন, সেইডা আপনারা ভালা জানেন। আমগো কথা শুইন্না কোন লাভ আছে।
এই সাল্লু কমিটি পরথম আইসা যখন কোটি টাকার ফুটবল টুর্নামেন্ট নামাইল। ভাব খান এমন ধরল যেন পেলে-ম্যারাডোনার পোনায় এবার দেশ ভাইস্যা যাইব। খালি জাল দিয়া ধরব, মাঠে ছাড়ব, আর ৫ টনি ট্রাক ভইরা দেশে ট্রফি আনব। কত কথা - হেন করঙ্গে,তেন করঙ্গে, পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল স্টেডিয়াম বানামু, বাঙ্গালী যে স্বাধীনতার সোয়াদ পায় নি কোচরে হেইডা দিমু। 'হামকো এক মওকা দেদো, হাম কারকে দেখায়গে । কিন্তু যেই ন্যালা-খ্যাপা ডিডু আগের ষাড়গুলার মত ফোঁস-ফাঁস শুরু করল- দিল ঘ্যাচাং কইরা ছুরি চালাইয়া.............
ছুডুবেলায় দেখতাম বাংলাদেশের লাল-নীল দল কোরিয়া গো হারাই দিত। আফসুস অহনও আমগো ফুটবল-দ্রষ্টারা দিবানিদ্রায় স্বপ্ন দেখে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ান কবে হইব । আবার কবে বিমানবন্দরে বত্রিশ পাটি দাত কেলায় সাফ ট্রফি হাতে ফুডু তুলবো । আবার কবে জাতির মান-ইজ্জত এক ইঞ্চি উপড়ে তুলব । আর শালা বেকুব আমি স্বপ্নে ৪২'' এলসিডি টিভিতে বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিলের বিশ্বকাপ খেলা দেখি ।
বন্ধু সাকিব কয় দোস্ত, হুদাই প্যাছাল পাইরা লাভ নাই। আদার ব্যাপারী হইয়া জাহাজের খবর নিয়া কি করবি। চল যাই গা...................
০৯,১১,১২
ব্যলকনি,৩০৫।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৫