১২ টার বেশি বছর গেল,
তুই হয়তো গেছিস তার চেয়ে দূরে,
আজও তোকে লিখি, তোর কথা আঁকি।
জানি না,
চিঠিটা কি পৌঁছবে?
মনে কি পড়বে তোর?
ওরা বলে তুই নাকি চলে গেছিস সময়ের পরে
কালো কোন এক শুন্যস্থানে, আমি বলি অন্তহীন গতকালেই ছিল
আমাদের কত অগণিত বসন্ত মেলা।
আচ্ছা তোর কি মনে পড়ে সেই শতবর্ষী বট গাছটা, সেই বেঞ্চটা,
আমি আজো ওখানে বসে, জোনাকির সাথে।
মেঘ-মন্দিরের আমগ্ন দেবতা, তারও ধ্যান যায় ছুটে
ঐ ভয়ংকর রূপালী চাঁদের টানে, আর তুই? দেখতে পাস
সপ্তর্ষির কোন এক তারা থেকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পূর্ণিমা।
আচ্ছা তোর ওখানেও কি আছে জোছনার গলি,
দোতালার রেলিঙ,
আর ঐ দোলনাটা,
যুগলবন্দী পায়রার স্বপ্নটা।
সেখানেও কি আছে রোদ্দুর,
নীল সমুদ্দুর,
স্বচ্ছ আকাশকে এলোমেলো করা ঝোড়ো মেঘদল।
তুই কি পারবি আলোকবর্ষ পেরিয়ে
রাস্তা খুঁজে আবার ফিরে আসতে,
না হয় আমি রঙ্গিন ফানুস ঝুলিয়ে দেব
সারাটা আকাশ জুড়ে।
একবার ঐ বট গাছটা হয়ে গেল মৃতপ্রায়, তোর মনে আছে?
এক রাতে গিয়ে দেখি তার কঙ্কাল শরীর সাজিয়েছিল
নক্ষত্রেরা, যেন এক উৎসবের চাঁদোয়ায়
জড়িয়ে ছিল আমাদের সুখাশার অম্বুরি...........
.........লিখতে আর পারি না অলকা ।
বল , কেন আমাদের বাসর
থেকে ঝরে যায় ঝিলমিল সব রাত্রি,
কেন কর্পূর মত উড়ে যায়-
দেহের সব সুখ-সাধ-সংসার।
০৯,১০,৩১
ব্যলকনি,৩০৫।
ছবি সূত্র: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৫৩