পাশে বসে 'হাই' বল্লাম। সুন্দরী পার্টনার একটুকরো হাসি ও দিল না, হাই ও বলল না। শুধু একটা চিরকুট ধরিয়ে দিল 'did u forget, we were chosed for 2day seminer?' রেগে যেতেই পারে, বেচারী আবার প্রজেন্টেশন দিতে শুরু করলে সব এলোমেলো করে ফেলে, আর যদি তাকে হল ভর্তি ছেলেমেয়ের সামনে একা প্রেজেন্টশন করতে দেয়া হয়, আমার ধারণা তার মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হবে না,টেনশনে বেচারীর মুখ লাল হয়ে আছে । যাই হোক গোমড়া মুখীকে নিয়ে সেমিনারে প্রজেন্টশন দিলাম। ভাল-ভালই সেমিনারে পার করলাম।
সেমিনার শেষে সে বলে তোমার সাথে আমি নাই। বল্লাম ঠিক আছ ,যাও। বলে ঠিক আছে কি, আমি এখনি প্রফেসরের কাছে যাব, তোমার সাথে গ্রুপ ওর্য়াক করব না, তোমার নামে রিপোর্ট করব। বলে কি........বল্লাম দেখ আমাদের গ্রুপের মানে তোমার-আমার কম্বিনেশন খুব ভাল (সে ভাল রিপোর্ট লেখে, আর আমি তা নিয়ে একটু চাপাবাজী করি ), আমাদের বোঝাপড়া ভাল, লাস্ট দুটি সেমিনারেও আমরা হাইপাশ পেয়েছি, শুরু করলাম ভুজুং-ভাজুং দেয়া। দশ-পনের মিনিট চাপাবাজীর পর সে বলল পরে জানাবে।
আবারও ক্লাস শুরু। ক্লাস না, সিমুলেশন ল্যাব , ৪ ঘন্টা । দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ৪ টা বেজে গেল। ক্লাস থেকে বেড়িয়ে বল্লাম 'ক্যামেলিয়া, তুমি কি প্রফেসরের সাথে দেখা করবে'। বলে 'তোমাকে প্রমিজ করতে হবে এরপর প্রজেন্টশন থাকলে দেরি করবে না'। আমি বলি অবশ্যই, শুধু মাত্র সকাল ছাড়া, তোমার এই শীতের দেশে এত ভোরে আমি উঠতে পারি না। বলে ঠিক আছে এরপরে আমি তোমাকে কল দিব সকালে। বাংলায় বল্লাম এক কাজ কর আমার রুমে চলে আস তাহলে আর কল দিতে হবে না। বলে কি বল্লা। চাপা দেই, ....বল্লাম..... তুমি খুবই খুবই ভাল একটা মেয়ে। বলে কি জানেন....আমি শিউর তুমি অন্য কিছু বলছ। কি বলি এখন....হটাৎ জ্যাকেটের পকেট থেকে মোবাইল বের করি..দেখি ৭ টি মেসেজ.. ৯ টা মিসড কল। তাকে মোবাইলের স্ক্রিন দেখিয়ে বলি আমার জরুরি কল করতে হবে......'হেইডো' (শুভ বিদায়) দিয়ে কেটে পড়ি।
মোবাইল মেসেজ বক্স ওপেন করে দেখি সব একই মেসেজ, ঈদের বার্তা। সারাটা দিন সেমিনার আর ল্যাবের চিপায় পড়ে ঈদের কথা প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম। প্রবাসে যা হয়, চলে গেল আরেকটা সাদা-কালো ঈদ।
০৯,১১,২৯
ব্যলকনি।
ছবি সূত্র: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৭