সাজিদের সাথে তার দেখা।একটা দুটা করে কথা বাড়ে। কথা হয় প্রায়ই।ছেলেটা হাসে, মেয়েটা জ্যোৎস্নায় ভাসে। তবুও ছেলেটা বুঝতে পারে না , মেয়েটা বোঝাতে পারে না।
২.
তার সাথে তনির কথা হয় না ইদানিং। এক,দুই করে....... বছর ঘুরে। মেয়েটাকে ছেলেটার মনে পড়ে না। তবে ছেলেটা আজকাল আবোল-তাবোল লেখে-
৩.
মেয়েটার মর্নিং স্কুল,ছেলেটর দুপুর অবধি ঘুম,
ছেলেটার চাঁদর ভরা স্বপন,মেয়েটা ভুলেই গেছে কখন।
মেয়েটা দুপুর-ঘুমে কাতর, ছেলেটা বিকেল-ভীড়ে সচল,
মেয়েটার বৃষ্টি ভেজা পথ,ছেলেটার সব কবিতাই জল।
মেয়েটার কেমন করা বিকেল, ছেলেটা গোধূলীর আঁকে-বাকে,
ছেলেটার কথার মেঘ জমে, মেয়েটার জানালা ফিরে নীড়ে।
মেয়েটা সন্ধ্যা তারা গুনে, ছেলেটা চাঁদের আলোয় ডুবে,
মেয়েটার ছোট্ট স্বপ্ন-কুটির, ছেলেটার যোজন দুরে তরী।
৪.
তাদের আর দেখা হবে না।আর কথা হবে না। দেখা বা কথা বলার কোন কারণ নেই-বলা যায় কোন অপশন নেই। হবে না আর দাঁড়িয়ে থাকা- দুজন দুজনার জন্যে- বৃষ্টিভেজা অপেক্ষা ।
৫.
ছেলেটা জেনে যায় রুঢ় সত্যটা........
৬.
ছেলেটা তবুও প্রশ্ন করে,
প্রশ্ন:
আজ শহরটা কেমন আছে?
ছাত্ররা কি বেশী দুষ্টুমী করেছে?
ডাক পিয়ন কি আজও ভুল করে পাশের বাসার চিঠি দিলো?
ছাদের কার্নিশে কি এখনও বিকেলের রোদ পরে?
ভয় পেলে কি ঐ কালো বেড়ালটা দেখে?
তোমাদের গলিটা-
সেই চায়ের দোকানটা, এখনও কি বাকী দেবে আমাকে?
আর তুমি- মিথ্যে করেও দিলে না একটু ছোয়া।
উত্তর:
শহর-টা আজ বিবাগী ,
ইস্কুল- দিয়েছি সব তালা ঝুলিয়ে-
ডাক পিয়ন সে কবে বদলি হয়ে গেছে।
ছাদটা এখন বন্দী শালা।
আমাদের গলি হয়ে গেছে কর্পোরেট পাড়া,
চায়ের দোকান-সেতো এখন এক বড় কনফেকশনারী।
আর কালো বেড়ালটা-
সেতো আমার সাথে গাড়িতে চাপা পড়ে বছর আগে।
৭.
ছেলেটা রাতের ক্লান্ত ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গী, তার ভোরের আকাশে ঝুলে থাকে দু-একটা যাযাবর তারা ........................................................
ব্যলকনি ৩০৫,
১০,০৫,০৬।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮