আন্দোলনের তুচ্ছতা, তুচ্ছতার আন্দোলন
আমার কথা হলো, জেনারেলরা কেন এভাবে পথ তৈরি করবেন? কি জন্য? তাহলে কি, সরকারের সাথে সেনাবাহিনীর দুরত্ব তৈরি হচ্ছে? জেনারেল মঈন আর উপদেষ্টা ফকরুদ্দীন সাহেবের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে? আমার চিন্তা হলো, কেন?
সেনাবাহিনীকে যাতে কোনোভাবে বিতর্কিত না করা হয়, এর আগে এ নিয়ে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া নানান কথা বলেছেন!
দেশে যখন অনিশ্চয়তা, জাতি যখন অসহায় ঠিক সেই মূহুর্তে সেনাবাহিনীর আগমনকে সবাই স্বাগতম জানিয়েছে। সেনাবাহিনী বির্তকিত হবেনা, জাতির কল্যাণ সাধনে নিয়োজিত হবে সবাই সেটাই চেয়েছিলো!সরকার সেনাবাহিনীর সহয়তায় ইতিমধ্যে একটি এন্টি করাপশন ইমেজ গড়ে তুলেছে। আমরা কি সেটা অস্বীকার করবো? কিন্তু ঢাবিতে খেলা দেখা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে অন্য চোখে দেখার চেষ্টা করা কতোটুকু বাস্তবসম্মত। অনেকে এমনও বলেছেন, সরকারতো কাইত! আমি তো মনে করি, সরকার অনেক স্মার্ট। আন্দোলোন করলো, ছাত্ররা, বিজয় হলো সরকারের! কিভাবে?
সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছে, এবং সেনাবাহিনী তাদের ক্যাম্প সরিয়ে নিচ্ছে! এরপর আর আন্দোলনের কিছু থাকে!! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নানান সরকার এসে নানান ভাবে নাজেহাল করেছে। ছাত্ররাজনীতির আড়ালে চলেছে নানান কূট নীতি! আমাদের শাদাদল, নীলদল মার্কা শিক্ষকেরা ছাত্রদের এসবে সঠিক পথ দেখাতে পারেনি, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছে! কিন্তু, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে যদি "সরকার কাইত" জাতীয় দুরভীসন্ধিমূলক সাফল্যের সাথে মেলানোর অপচেষ্টা করা হয়, তাহলে দুঃখ জনক।
বড়ো আন্দোলনের জন্য বড়ো ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার। যদিও ছোট অনেক ঘটনা থেকে বড়ো সাফল্য চলে আসতে পারে। দেশে অনেক বছর ধরেই আমাদের আষ্টে পৃষ্টে বাধা আছে সমস্যা। গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার আমাদের জন্য কি করেছে , আমরা জানি। তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিলো, কথায় কথায় ধর্মঘট, হরতাল। আমরা চাইনা গণতন্ত্রে এ সংস্কৃতি ফিরে আসুক। আমরা চাইনা, আমাদের বারবার ব্যবহার করা হোক! এ সরকার চলে একদিন যাবেই, কিভাবে যাবে সেটা বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু কথায় কথায় কারো প্ররোচনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে আমাদের ঝাপিঁয়ে পড়াতে সাফল্য অন্য কোথায় চলে যেতে পারে! আমরা যদি আবার পুরনো সংস্কৃতিকেই জায়গা করে দিই, তাহলে নতুন করে স্বপ্ন দেখবো কি করে, সেই পুরানো স্বপ্নটিই বার বার দেখে যেতে হবে।
বর্তমানে সরকারের সমালোচনা আমরা করছি, পাশাপাশি সরকার যে , এন্টি করাপশন ইমেজ গড়ে তুলেছে ,তাকেও আমরা সাধু বাদ জানাচ্ছি। আমাদের চাওয়ার সাথে , আমাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের যাতে বৈষম্য না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা বড়ো কোনো পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ছাড়া আন্দোলন করে আবার জঙ্গলে ফিরে যেতে চাইনা!
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
হাঁআআআচ্চুউউউ! :) :D ;)
হাঁচতে নাকি জানে না কেউ,
কে বলেছে বোন
এই দেখোনা কত্ত হাঁচির
ওজন শত টন।
কিম হাঁচে বাড়া ভাতে,
বাইডেন হাঁচে তার সাথে সাথে,
লালচে চীনের জোরসে হাঁচি,
কাঁদে সবুজ ঘাস।
মাদার রুশের হাঁচি দেখে
হয় যে বনবাস!!
বনবিবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেইন্ট মার্টিন ও কোক ইস্যু
বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়, কোকের বয়কট ও গত দুই দিন ধরে সেইন্ট মার্টিন মায়ানমার দখল করে নেয়ার খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্রিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, মায়ানমার সেইন্ট মার্টিন দখল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গান গাইলাম (সাময়িক)
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আমি আদর করে 'আই' ডাকি। আইকে দিয়ে অনেক কাজই করাতে হয়। এবারে, আমাদের ৫ ভাইদের নিয়ে একটি গান বুনেছি। আমরা ৫ ভাই অনেক দিন একসাথে হই না। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ
ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার
১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন