নানা বাড়িতে ভোরে ঘুম ভাঙত নানুর সুপারি কাটার শব্দে। প্রতিদিন আধা কেজির মত শুকনা সুপারি লাগত নানা- নানুর। নানা-নানী পান খেতেন অনেকটা পাল্লা দিয়ে। পান চিবুতে পারতেন না নানা। প্রায় সব দাঁতই পড়ে গেছিল তার। তারপরও পান চিবানো বন্ধ হয়নি । উনার পান মিহি করার একটি যন্ত্র ছিল।সেটি দিয়েই পান-সুপাড়ি ছেচতেন তিনি। আমরা তাকে পান ছেছে দিয়েছি কত। তারপর সেই গুড়া করা পান সুপাড়ি একটি ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে যেতেন বাজারে।
আমার ছোট বেলার নায়ক নানা এখন আর বেচে নাই। তবে তার সেই যন্ত্র খানির কাজ এখনো চলছে। আমার নানী তার স্বামীর যন্ত্রখানি অতি উত্তমরুপে ব্যবহার করছেন। তিনিও নানার সেই অভ্যাস ধরে রেখেছেন।
নানা বাড়ির চারদিকে বিশাল বিশাল সুপারি বাগান। প্রতিটি বাগানে অসংখ্য সুপারি গাছ। নানা-নানির পান-সুপাড়ি খাওয়া দেখেই হয়ত অনুপ্রাণীত হয়েছেন আমার মা খালা মামারা। সবাই সারদিনই পান চিবান।
পান-সুপাড়ি জর্দা খাওয়ার কারণে আমার মা খালা মামাদের সবার দাঁতই কালো কুচকুচে। এই দাঁত যে কোনকালে সাদা ছিল, তা মনে হয় তারা নিজেরাও ভুলে গেছেন। আমার আম্মা একবেলা পান সুপাড়ি না খেলে বলেন দিনটা কেমন খালি খালি লাগছে.......
আমার জানা ছিল না সুপাড়ি ক্যান্সার ডেকে আনে। তাদের বলব সুপাড়ি খাওয়া ছেড়ে দিতে .