আবারো জাহাজডুবি হলো সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে। এবার কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ। ১৯ মার্চ রাতে এই ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার তত্পরতা শুরু হয়নি। শুধুমাত্র কোথায় জাহাজটি ডুবেছে তা বের করেছে বিআইডব্লিউটিএ ও বন বিভাগ। কবে নাগাদ জাহাজটি উদ্ধার করা হবে তা শুধু অন্যান্য ইস্যুর মতো উপরওয়ালাই জানেন। কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন বিভাগ ও প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল এসে ঘুরে গেছেন।
শ্যালা নদী ও মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে গত কয়েক বছরে কয়লা, সারসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাই বেশ কয়েকটি নৌযান ডুবেছে। কিন্তু ওগুলো উদ্ধার করা হয়নি। বলা যায় উদ্ধার করা যায়নি। আরো স্পষ্ট করে বললে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টাই করা হয়নি। ডুবে যাওয়া ওই নৌযানগুলো বছরের পর বছর পানির নিচেই পড়ে আছে।
২০১৪ সালে ফার্নেস ওয়েল বোঝাই জাহাজ ডুবির ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে সুন্দরবনের অনেক সময় লেগেছিল। তেল নদীর পানির উপরে ভেসে বনের অনেক গভীরে চলে গিয়েছিল। এর প্রভাবে সুন্দরবনের জলজ প্রাণী, উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমাদের কার্যকর কোন কর্তৃপক্ষ না থাকলে কী হবে? আমাদের দেশে কিছু সাহসী মানুষ আছে, যারা কর্তৃপক্ষের আশায় বসে না থেকে সেবার ভেসে যাওয়া তেল তুলে এনেছিল। নইলে ক্ষয়-ক্ষতি আরো তীব্রতর হতো।
বলা হয় বাগেরহাটে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে বেশি গভীরতার জাহাজ চলাচল করতে পারে না বলে এগুলো শ্যালা নদী দিয়ে চলতে দিতে হচ্ছে। জানেন মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটিও পুরোপুরি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা যায়নি। ওখানকার লোকজন চ্যানেলর দুই পাশে খাল কেটে চিংড়ি চাষ করে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এগুলা দেখেও না দেখার ভান করে।
এবার কিছু সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন করব। উত্তর জানলে ভাল, না জানলে আরো ভাল
আইলা ও সিডর কি?
এগুলো কোথায় কোথায় তাদের পদধূলি ফেলেছিল?
কে ওই সময় বুক পেতে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিল?
রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র কোথায় হচ্ছে ?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯