বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ব্লগে শাহবাগের আন্দোলনের সাথে আমি জরিয়ে পড়েছি।
কি ভাবে ঢেউয়ের পর ঢেউ এসে এই চত্বরটাকে জনসমুদ্রের চেহারা দিয়েছে তা ব্লগ পড়তে পড়তে জেনেছি। শাহবাগ চত্বরটা কোথায় তাও জেনেছি। না আমি বাংলাদেশে কোনোদিন যাইনি - যাবার সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু ব্লগের লেখা পড়তে পড়তে নিজেকে আমি শাহবাগের একপ্রান্তে আবিষ্কার করি রোজ। লক্ষ কন্ঠের স্লোগানের গর্জন শুনতে পাই। লাকি আক্তার-কে দেখতে পাই মাউথপিস হাতে নিয়ে নিরন্তর স্লোগান দিতে- সেই স্লোগানে দুলে উঠছে লক্ষ কন্ঠ। অবাক হয়ে ভাবি- এই তরুণ-তরুণীরা এত শক্তি কোথায় পায়।
তরুণদের কথা না হয় বাদ দিলাম - হাজারো তরুণীরা এসে খোলা রাস্তায় দিন রাত্তির পার করে দিচ্ছে - ভাবতে অবাক লাগে। শুধু কি স্লোগান - বিশাল বিশাল জাতীয়পতাকা হাতে হাতে ঘুরছে - আমি দেখতে পাই - ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা সার সার প্লাকার্ড হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে - "রাজাকারের ফাঁসি চাই"। আমি আপ্লুত হয়ে যাই - নিজেকে এদের সাথে একাত্ম করে নিই রোজ। আমি শুনতে পাই হাজারো কন্ঠের গান - তারা দেশটাকে ভালবেসে রোজ গান গাইতে আসে। আমিও এদের সাথে গলা মেলাই প্রতিনিয়ত যেমন মেলাতাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় -"দি্যেছিতো রক্ত - "।
আমি প্রতিদিন ফিরে যাই ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের কালে - আমি তখন কলেজে পড়ি - আমাদের এই সীমান্ত শহরে আশ্রয়হীন মানুষের ঢল নেমেছিল । আমাদের সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল এই নিরন্ন মানুষগুলোর মুখে দু'মুঠো অন্ন যোগতে। আমি দেখেছি মুক্তিযোদ্ধাদের - তারা দিনের বেলায় আমাদের শহরের সীমান্তে বিশ্রাম নিতেন আর রাতের বেলায় খান সেনাদের সাথে যুদ্ধে করতে যেতেন । প্রায় প্রতিদিন সকালে দেখতাম একজন- দু'জন মুক্তিযোদ্ধাকে কমে যেতে - শুনতাম তারা শহীদ হয়েছেন। কি অবলীলাক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের বলতে শুনতাম শহীদ হওয়াটা কত গর্বের। আবারো দেখতাম কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেরা আসছে গেরিলা হয়ে - এরা গেরিলা যুদ্ধে দুরন্ত ছিলেন।
আমি চুড়ান্তভাবে অবাক হয়ে ভাবি - এই তরুণ-তরুণীরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি- মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছেন প্রবীনদের কাছে - শুনেছেন পিতা-মাতার কাছে - অথবা ইতিহাস পড়ে জেনেছেন - পড়েছেন গল্প উপন্যাসে- নাটকে-সিনেমায় দেখেছেন ।
সে যাক ফিরে আসি শাহবাগে - আমি নিজে সবার সাথে এক লাইনে দাড়িয়ে খাবার খেয়ে নিলাম - খাবার যে কোথা থেকে আসছে কেউ জানেনা। আমি বুঝতে পারছিনা বুকের কোন গভীরে লুকিয়ে ছিল দেশের প্রতি এদের ভালবাসা। কারণ এদেরতো এখন নিজেদের সফল ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার কথা। এদের ডাকে সাড়া দিয়েছে সারা দেশ ।
(ক্রমশঃ)
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।