২।। যুদ্ধ করে ইংরেজ, আর না খেয়ে মরে বাঙালী; যে বাঙালীর কোন কিছুর অভাব ছিল না। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি যখন বাংরাদেশ দখল করে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায়, তখন বাংলার এত সম্পদ ছিল যে, একজন মুর্শিদাবাদের ব্যাবসায়ী গোটা বিলাত শহর কিনতে পারতো। (পেজ নং- ১৮)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান মিয়ানমার আক্রমন করলে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বাংলাতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৩৫০ বঙ্গাব্দে ( খ্রি. ১৯৪৩) এই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে এটিপঞ্চাশের মন্বন্তর বলে। এ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন লোক মারা যায়।
উল্লেখ্য, ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে(বাংলা ১১৭৬; ইংরেজি ১৭৭০) প্রায় এক কোটি লোক মারা যায়। ১৯৭৪সালের দুর্ভিক্ষ, অনাহার, অপুষ্টিতে কয়েক হাজার লোক মারা যায়।
৩।। ছাত্রদের আপদে বিপদে আমি তাদের পাশে দাড়াতাম। কোন ছাত্রের কি অসুবিধা হচ্ছে, কোন ছাত্র হোস্টেলে জায়গা পায়না, কার ফ্রি সিট দরকার, আমাকে বললেই প্রিন্সিপাল ড জুবেরী সাহেবের কাছে হাজির হতাম। আমি অন্যায় আবদার করতাম না। তাই শিক্ষকরা আমার কথা শুনতেন। ছাত্ররাও আমাকে ভালবাসত”
.. এই লাইনটি বঙ্গবন্ধুর কলকাতার বেকার হোস্টেলে ছাত্রজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। এখনকার ছাত্ররাজনীতির সাথে লেখাটা মেলাতে গেলে অবাক হই।
বই: অসমাপ্ত আত্মজীবনী
ISBN 978 984 506 195 7
ভার্সন- ফেব্রুয়ারি ২০১৬(দ্বিতীয় মুদ্রণ)
সহায়ক পোস্টঃ
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’: বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অসমাপ্ত উপাখ্যান
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫