বর্তমান দেশের অবস্থার সাথে আমাদের দু এক বছর আগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর মিল খুজে পাওয়া যায়। মোঃ জুয়েল রাজ, শব্দ শ্রমিক, Md Selim Khan, Robin Babu Islam, সহ আরো অনেকেই মিলে আমরা এক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতাম। মোঃ জুয়েল রাজ এর কাছে আমরা খুব অসহায় ছিলাম। কারন তার কাছেই টুর্নামেন্ট এর সকল অর্থ গচ্ছিত ছিলো। আবার আমাদের কাছে খুব অসহায় ছিলো টুর্নামেন্ট এর দলগুলো। একটি দলের এক ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পরই একটু শান্তিতে ঘুমানো যায়। পরের ম্যাচ গুলো তাদের এমনিতেই খেলতে হবে। তা না হলে তাদেরই ক্ষতি। এছাড়াও টুর্নামেন্ট ফি জমা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে আমাদের ইচ্ছে অনুযায়ীই খেলা হবে। কেউ আমাদের নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে তাদের খেলা ও দল বাতিল ঘোষনা করে দেওয়াই ছিল আমাদের প্রদান কাজ। এতে আমাদেরও লাভ ছিলো। শেষমেষ আমরা আমরাই ফাইনাল ম্যাচ খেলতাম। আবার এমনও টুর্নামেন্ট আছে, ৩/৪ বছর হয়ে গেছে যার ফাইনাল খেলা এখন অনুষ্ঠিত হয় নি। প্লেয়ার, আম্পায়ার, Saddam Hossain, আহমেদ সোহেল, Abu Taleb, Imran Khan ভাই কাকারা কেউ কেউ দেশের বাহিরেও চলে গেছে।
এটা না হয় গ্রা্ম্য কালের ত্রিুকেট খেলা, চলুন না ঘুরে আসি ঢাকায় মাঠবিহীন ভোগান্তির খেলা থেকে।
ঢাকার সাথে পরিচয় বেশী দিন না হলেও এমন কোন দিন বাদ নেই যে,একবার হলেও মতিঝিল, শাহবাগ, ফার্মগেট, ধানমন্ডি,মিরপুর এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল না হয়। শুনতে খুব ভালো লাগে, মানুষের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত। এক ধরনের টক শো। কোন ক্যামেরা নেই সামনে। তবুও মানুষ বলে যায়। সরাসরি দ্বায়ী করে যায় সরকার কিংবা বিরোধীদলকে বা জামায়ত, এরশাদপন্থীদের। এখানে সুশীল সমাজরা কিন্তু নাই। এরা থাকলে বাসে-ঘাটে রক্তের বন্যা বয়ে যেত, কথায় বলে যে, বাঙালী মারমুখী। কারন সুশীলরা ক্যামেরার সামনে বসে ফেয়ার লাভলী মুখে দিয়ে শুধু গীত গেয়ে যায়। জনগন বা এ বাসের টক শো কারীদের জন্য কিছু করতে পেরেছে বলে মনে হয় না।
সকালে দেখলাম মিরপুর-১ ঢাকা চক্ষু হাসপাতাল থেকে ক্যাপিটাল মার্কেট এর শেষ মাথায় পর্যন্ত ছিলো মানুষের লম্বা লাইন প্রায় ৫/৬ ছয়টার মত। তার উপরে ছিলো হাজারও মানুষের আনাগোনা। সবাই দাড়িয়ে আছে বাসের অপেক্ষায় অফিসে বা নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। এমনটা প্রতিদিনই ঘটনা। কিন্তু নতুন করে বাড়তি যোগ হয়েছে কিলোমিটার প্রতি বাড়তি বাস ভাড়া। গত ১ অক্টেবর থেকে এ ভাড়া কার্যকর হলেও সাধারন মানুষ তা মেনে নিতে পারছে না। চলছে তর্ক-বিতর্ক বাস চালক ও পাবলিকের মাঝে।
এতে ভূললে চলবে না যে, আমাদের দেশেও সরকার আছে যারা দেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের পক্ষেই ছিলো। অথচ তারা আজ দেশে ক্ষমতা থেকেও দেশের জনমানুষের সুবিধা-অসুবিধা বিচার বিশ্লেষন না করে নিম্নবিত্ত একটি দেশকে বিশ্বের ধনী দেশ হিসাবে ঘোষনা দিয়ে দেয়। অর্থমন্ত্রী এ ঘোষনা দিলেন যে, বাংলাদেশে কোন ভিক্ষুক পর্যন্তও নাই। মিল টা আমাদের টুর্নামেন্ট এর মতই। আবার যেমন খুশি তেমন সাঝো। সরকার টুর্নামেন্ট এর মত আমাদের যেমন খুশি তেমন নাচাচ্ছে। আমরা যখন একবার এক দলের প্রথম ম্যাচ শেষ করতে পারি, তারপর থেকে যখন খুশি তখন পরবর্তী খেলা দিতাম, তেমনি সরকারকে যখন আমরা একবার ভোটে নির্বাচিত করে দিয়েছিই, তখন সরকারও আমাদের কে যেমন খুশি তেমন চালাবে। আমাদের কষ্ট-দুর্ভোগ- ভোগান্তির কথা সরকার ভূলেও ভাববে না। আর ভাবলে এভাবে জনগন কে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কষ্ট দিয়ে যেত না।