somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

** বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য ও ভাস্কর্য এর অন্তনিহিত ইতিহাস : পর্ব - ০১ **

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


** ১. অপরাজেয় বাংলা :
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত, এবং তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিত্রায়িত করা এই ভাস্কর্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্হিত। এটি নির্মাণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটি তৈরি করা শুরু হয়। এর কাজ শেষ হয় ১৯৭৯ সালে। ৬ ফুট বেদীর উপর নির্মিত এর উচচতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।


১৯৭৩ এ নির্মীত অপরাজেয় বাংলার মডেল ভাস্কর্যের ছবি এটি। এর উচ্চতা ছিল তিনফুট। পরবর্তীতে এই ভাস্কর্যটি অবলম্বনে চারগুন বড় একটি ভাস্কর্য তৈরী করেন শিল্পী ও তার দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন চত্তরে।

১৯৭৩ তে যখন স্বাধীনতা ভাষ্কর্যের প্রাথমিক কাজটি শেষ হয় তখন সেকাজটির ওপর ২২ জুলাই ১৯৭৩ এ একটি উপসম্পাদকীয় লিখেন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী দৈনিক বাংলায়। শিরোনাম, 'অপরাজয় বাংলা'। মজার ব্যাপর হলো সেই থেকে লোকমুখে মুখে শ্রুত হতে হতে স্বাধীনতার এই ভাষ্কর্যটির নাম অপরাজেয় বাংলা হয়ে যায়।



নারী মূর্তিটির মডেল হাসিনা আকতার।


অপরাজেয় বাংলার রাইফেল হাতে মূর্তির মডেল সৈয়দ হামিদ মকসুদ। তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।


অপরাজেয় বাংলার মাঝের মূর্তিটির মডেল বদরুল আলম বেনু। তিনি শুধু একজন মডেলই ছিলেন না ছিলেন সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের একান্ত সহযোদ্ধা। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯পর্যন্ত সকল চড়াই উৎরাইতে শিল্পী আবদুল্লাহ খালিদের সাথে যে দুইজন সর্বান্ত ভাবে জড়িত ছিলেন তার এক জন হলেন তৎকালিন চারুকলার ছাত্র বদরুল আলম বেনু আর অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঢাকসু'র সাংস্কৃতিক সম্পাদকম. হামিদ।



১৯৭৯ এ অপরাজেয় বাংলার নির্মান কাজ করছেন ভাষ্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ও বদরুল আলম বেনু।


সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ

১৯৮৪ সালের একটি ছবি



** ২. শহীদ মিনার :
ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত।

ইতিহাস

১ম শহীদ মিনার

>>১৯৫২ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো কিছু স্কুল কলেজের ছাত্রদের সহায়তায় ১ম শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়।
>>সাঈদ হায়দার এর মূল পরিকল্পনা ও নকশাকারী।
>>কার্ফু চলাকালে ২২ শে ফেব্রুয়ারী মাঝরাতে মিনারটি তৈরির প্লান করা হয়, ছাত্রদের অনুরোধে পারূ সরদার সমস্ত খরচ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেন।
>>২৩ শে ফেব্রুয়ারী বিকালে কাজ শুরু হয় এবং মধ্যরাতে সম্পন্ন হয়।
>>মিনারটির নাম দেয়া হয় 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ'। এটি লম্বায় ছিল ১০ ফুট, চওরায় ৬ ফুট।


প্রথম শহীদ মিনার

২য় পর্যায়ে নির্মাণ

>>১৯৫৬ সালে হামিদুর রহমান নকশা প্রস্তুত করেন।
>>'দুপাশে দুই পতিত সন্তানকে নিয়ে মা দন্ডায়মান'।
>>১৯৫৭ সালের নভেম্বরে হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে কাজ মুটামুটিভাবে সম্পন্ন হয়।
>>১৯৬৩ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে এটি উদ্বোধন করেন শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম।
>>১৯৭১ সালে পাকিস্থানি বর্বররা এটি আবারো ধ্বংস করে ফেলেন।

বর্তমান শহীদ মিনার

>>হামিদুর রহমানের মূল নকশা একটু সংশধন করে ১৯৭৩ সালের ৫ ই মে কাজ শুরু করা হয়।
>>এরশাদ সরকারের সময় থেকে বর্তমান শহীদ মিনারের যাত্রা শুরু হয়।





তথ্যসূএ ইন্টারনেট থেকে।
চ ল বে ......(পর্ব - ০২ তে থাকসে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং জাতীয় সংসদ ভবন)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
১১টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×