এই যাই যাই করেও এবছর আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি #বানিজ্য মেলায়। সে দু:খ আর কারে দেখাই। ভাবলাম প্রেস্ট্রিজ আছে না! কেমনে মাইনসেরে কই এই মস্ত বড় ঘটনা?
মনের ঈশাণ কোনে আশা পুষে রাখিয়াছিলাম, বইমেলায় গিয়া সে বেদনার ক্ষতে মলমের প্রলেপ লাগাইয়া দিব।
তা মস্ত বড় একটা সুযোগও চলিয়া আসিয়াছিল গত মাসের ২৪ তারিখে। অফিসের কাজে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে গিয়াছিলাম কিন্তু, বইমেলার ভিতরে প্রবেশ সম্ভব হয়নি।
কারন, এই অসময়ে সেদিন সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বন্যা হয়েছিল!! ফায়ার বিগ্রেড কর্মীদের পানে তাকিয়ে মনে হইয়াছিল যেন তারা আমার বইমেলা ভ্রমণের কথা ভেবে প্রাণপন চেষ্টা করেছিল পানি নিষ্কাষনের । দূর্ভাগ্য আমার, তা আর ফলপ্রসু হয়নি।
গতকাল আবারও মনে বান ডাকল-যত কিছুই হোক, বইমেলায় একটা ঢ়ু মারতেই হইবে। যথাসময়ে বের হইলাম Atiq Rahman ভাইকে সঙ্গে নিয়া। কি মুশকিল, রিকশায় উঠিয়া মনে হইল তার চাইতে হাটাই উত্তম পন্থা। “গাড়ি চলে না, চলে না” ছাইরা “রিকশা চলে না, চলে না গান ধরিলাম”

দীর্ঘ যাত্রা শেষে প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ পৌছাইলাম টিএসসিতে। তার পর সেই বিশাল লাইন ধইরা ভিতরে প্রবেশ করিতে আটটা পার হইল!
তবুও শান্তি। অমর একুশে বইমেলা-২০১৬ তে আমার পদচিহ্ন পড়ল। মনের অজান্তেই গাহিয়া উঠিলাম রবিন্দ্র সঙ্গীতের সেই লাইন খান-
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না,,,,, আমি বাইব না মোর খেয়া তরি এই ঘাটে গো....যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে............
কিন্তু, একি? সাহিত্যমনা আমি দু-খানা পুস্তক ক্রয় না করিতেই নিষ্ঠুর, নির্দয়, পাষন্ড মানুষটি বিজলী বাতিগুলির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দিল। অন্ধকার নামিয়া আসিল পুরো উদ্যানে সাথে সাথে আমার মনে ও............
(বি:দ্র: দূষনীয় ভাষা শ্রুতিমধুর নয়। আমার এই গদ্যখানা পড়তে গিয়ে দাঁতও ভাংতে পারে

