somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আরিয়ান স্ট্যালিন
আমি একজন সাংবাদিক। সততার সাথে কাজ করি। উচিত কথা বলার জন্য অনেকের চোখে আমি একজন উগ্র মানুষ। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গনযোগাযোগ এ অনার্স এবং এমএ পাশ করেছি।

বাংলাদেশী টেলিভিশনগুলো থেকে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কেনো…? সয়ং বিচার করুণ….?

১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অস্ত্র তো অনেকেই কিনতে পারে, তবে তা চালানোর জন্য সাহসের প্রয়োজন। প্রয়োজন মেধার, প্রয়োজন অভিজ্ঞতার, এবং বিচার করার। তেমনি সব ক্ষেত্রেই এ কথাটি মুল্যবান, আপনি যা করছেন, তা কি মানুষের ভালোর জন্য না ভাড়ামীর জন্য। এখন দেখা যায় বেশির ভাগ টিভি চ্যানেল থেকে টাকার কারনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বার করে দিয়ে, সেই টাকা দিয়ে অনভিজ্ঞ চার পাঁচ জন ফ্রেসার দিয়ে কাজ করানো হয়। যাদের অন্তত নিম্ন জ্ঞানটুকু থাকেনা, তারা কি করবে? আপনারা পাশের কোলকাতার দিকে তাকান, তাদের কর্মচারী মোট ৩০ থেকে ৫০ জন।আর বেশি হলে ৭০। তাদের দিয়ে কাজ করিয়েই লাভজনক হয়ে উঠছে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে একজন মার্কেটিংয়ের লোক হয়ে যায় নিউজের কর্ণধার। একজন ব্যবসায়ীর হাতে ছেড়ে দেয়া হয় টিভি চ্যানেলগুলো। আর নিউজের ক্ষেত্রে এমনও দেখেছি, মালিকের দৈনিক কর্মসূচির ওপরও একজন রিপোর্টার, ক্যামেরা ম্যানকে রাখা হয়।
আপনি একবার টিভি স্ক্রিণ এর ওপর তাকান, দেখুন বিজ্ঞাপনের কি ছড়াছড়ি। কোলকাতার চ্যানেলগুলো দেখুন, কতটা ফ্রেস। এখানে খবরেও থাকে বিজ্ঞাপন, মাঝে মধ্যে তা আবার নিউজের ছবিটাকেও প্রায় ঢেকে দেয়। আর স্ক্রলের কথা কি বলবো, তিন স্তর বিশিষ্ট। আপনি খবর বা নাটক দেখবেন, না স্ক্রল দেখবেন ? মাথা মোটা লোক দিয়ে কি জাতীর ভবিষ্যত গড়া সম্ভব। এখানের সব টিভি চ্যানেলগুলোর মালিক ব্যবসায়ী, তাই সব চ্যানেলেই টাকা পয়সা তো বাড়ায়ই না, আবার বেতনের ধির গতি বিদ্যমান। এমনও হয় মাঝে মধ্যে, দু থেকে ছয় মাস পর্যন্তও দেরি হয় বেতন দিতে । সংবাদের গ্রহন যোগ্যতা যে থাকবে তারও তেমন কোনো অবকাশ নেই। কারণ মালিক ও তার সুযোগ সুবিধাবাহী আজ্ঞাবহ সংবাদকর্মী ও প্রগ্রামকর্মীদের দারা তৈরি হয়, যা সবার গ্রহন যোগ্যতা পায়না বলেই মনে করি। ইতো মধ্যে বাংলাদেশের অনেক বিজ্ঞাপনতো ভারতের টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। এমনও দিন আসবে যখন আর বাংলাদেশের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি হবেনা। সবার জন্য নিয়ম থাকলেও এসব মিডিয়ার জন্য কোনো নীতিমালা নেই। আর যখন তখন ছাটাই তো আছেই। আপনি নিজেও জানবেন না, আগামী কাল যখন সময় মত অফিসে যাচ্ছেন, গেট থেকে জানানো হলো আপনার চাকরী নেই। আপনি প্রতিবাদ করার সময়টুকুও পাবেন না। প্রশ্ন করলে বলা হবে, উপরের নির্দেশ, সেই উপরটা যে কোন তলায় অবস্থিত, তা আপনি ইহ জন্মেও খুঁজে পাবেন না। আপনারা যারা মিডিয়ার বাইরে, তারা বুঝতেই পারবেন না মিডিয়া কর্মীদের সাথে কি ঘটনা ঘটে চলছে অহরহ। এর মধ্যে একজন মিডিয়া কর্মীর একটা প্রতিবেদনে দেখলাম, তিনি লিখেছেন, গার্মেন্টস কর্মীদের নালিশ করার জায়গা আছে, সংবাদ কর্মী বা মিডিয়া কর্মীদের তা নেই। আমি নতুন প্রজন্ম সহ অনেককেই জিজ্ঞাসা করি বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পর্কে, তাদের উত্তরটা হয়, দেখিনা। কবে দেখেছে, তাও মনে করতে পারবেনা। এমনকি বেশিরভাগ অভিনেতা-নেত্রীকে তারা চেনেও না। আর সংবাদ কর্মীদের নামও বলতে পারেনা। সেই ২১শে টেলিভিশনের মুন্নি সাহা, জই মামুন, নাজমুল আশরাফ, ডালিম,সুপন রায় ছাড়া আর কাউকেই চেনেনা। চিনবে কি করে, টিভির রিমোর্টের বাটমে বাংলাদেশী চ্যানেল থাকলেও কোনো অনুষ্ঠান এখন আর দর্শকের চোখ ছুঁয়ে যায়না। একটু আশে পাশে চোখ মেলে তাকালেই বুঝতে পারবেন। বেশি দুর যেতে হবেনা। মিডিয়ার এই দূর্দিনে এখনও সময় আছে, আপনারা দয়া করে অভিজ্ঞতার মুল্যটুকু খুঁজুন না হলে বাংলাদেশের মিডিয়া বলতে কিছুই থাকবেনা। দেখছেন না কেমন ধস নেমেছ, চলচ্চিত্র, নাটক, অডিও শিল্পে । চোখের সামনে আপনাদেরও পতন দেখতে হবে আগামীতে। অতএব সাধু সাবধান।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×