কতগুলো অসামাজিকতা , মানুষ হিসেবে যা মেনে নেয়া কষ্টকর তাকে খুব সুন্দর ভাবে বৈধ করার প্রক্রিয়া চলছে। ধর্মের তরবারীকে খাপবন্দী করে প্রগতীশীলরা উদারনীতির বুলি আওড়িয়ে যে সংস্কিৃতিকে আমাদের জাতিকে অভ্যস্ত করে তুলছি তা অপর কোন রাষ্ট্রের পুজিঁবাদী অর্থব্যবস্থার স্বার্থান্বেষী চিন্তা মাত্র।
আর এতে আমরা সায় দিয়ে তাদের তৈরী করা সংস্কৃতিসূত্রে শুধুমাত্র বন্দীই হয়ে চলেছি।
এর ফলে সমাজে সামাজিক সদস্য হিসেবে নারী- পূরূষ নির্বিশেষে যেসব মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন পাবার কথা, তা না হয়ে অর্থ বিত্তের পূজা করা হচ্ছে মাত্র। নারীরা হচ্ছে এসব নীতিতে পণ্য।
ভোগবাদী এ সংস্কৃতি দিনেদিনে যে পথে চলেছে তাতে আমরা শুধু বিকৃতি দেখতে পাই।
ধর্মকে এমনভাবে গলাচাপা দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে, এর পক্ষে কেউ কথা বললেই তাকে ধর্মান্ধ বা মৌলবাদী বলা হয়। যে সমাজ গঠনের জন্য ধর্মের আবির্ভাব তাকে আমরা ব্যক্তিগত ব্যাপার বলতে কুন্ঠাবোধ করিনা।
মানুষের মূল্যবোধ, সামাজিক বন্ধন ও সমাজ রক্ষার কথা ধর্মে যেভাবে আছে তা দেখার কোন চেষ্টাই আমাদের নেই। ভেড়ার পালের মত যেদিকে এসব ভোগবাদী সংস্কৃতি আমাদের নিয়ে যাচ্ছে আমরা সেদিকেই চলছি। মানুষ নামক অর্থবোধ আমাদের মাঝে নেই। আমরা একেকটি যেন অবুঝ পশূতে রুপ নিয়েছি, নিজস্ব বিবেক আর মূল্যবোধ যেন কল্পকথার কোন অভিধানের শব্দ!! আমাদের বিবেক , মূল্যবোধ এতটাই হৃাস পেতে শুরু করেছে যেন আমরা একেকটা শুধু শরীর সর্বস্ব প্রাণী।।
আমাদের যদি একটু বিচার করার মানুষিকতা থেকে থাকে, তবে আসুন ভাবি আমরা কোন পথে চলেছি???
এর শেষ কি সৃষ্টিকর্তার অহীর বর্ণিত গজবে ?? সময় ফুরোবার আগেই আমাদের সাবধান হওয়া একান্ত জরুরী বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১০ ভোর ৬:০৫