সমস্যা ১: তিলতিল করে সন্তানটি বড় করতে কম ঝক্কি সইতে হয়নি ছেলের বাবা মাকে । সন্তানের লেখাপড়ার জন্য সাধের জমিজমাও বেঁচতে হয়। সেই ছেলেটি বিয়ের পর একদম পর হয়ে যায় । বাবা মায়ের দিকে খেয়াল রাখেনা বউ ই সব । এত মূল্য দিতে হয় ছেলের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য, আর তার প্রাপ্তি এই?
সমস্যা ২: বেকার ছেলেটি দিন দিন চাকরি না পেয়ে বখে যাচ্ছে। চাকুরির জন্য যে ডোনেশন চাওয়া হয় তা ছেলের বাবা দিতে পারেনা। তার জীবন কী শেষ হয়ে যাবে?
সমস্যা ৩: ছেলেটি সমাজে অনেক বড় স্থানে পৌছেঁছে। সে অনেক প্রতিপত্তি আর ধন দৌলত অর্জন করেছে তার কি কোন মূল্য নেই? সমাজই বা কেন একে মেনে নিবে?
সমস্যা ৪: একটি বাইরের মেয়েকে এনে ঘরে রাখতে হবে । তার ভরণ পোষণ করতে হবে , তার দেখভাল করতে হবে, সারা জীবনে অনেক খরচের ব্যাপার। এই কথাগুলো কি কারও বিবেচনায় আসেনা?
সমাধান: আসুন উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করি। সবগুলো সমস্যার সমাধান হলো একটি--- তবে তা নানা নামে সমাদৃত>> তা হলো ‘উপঢৌকন’, ‘উপহার’, ‘চাহিদা(ডিমান্ড)’, এবং সর্বপরিচিত শব্দ ‘যৌতুক’।
আমাদের পুরুষ সমাজে এই একটি জিনিষ আামাদের ব্যাপক মর্যাদা দিয়েছে এবং নারীর উপরেও অধিকার দান করেছে । তাই আমরা একে আশীর্বাদ বলতে পারি।
বিবাহ যে একটি মধুর জিনিষ তা একমাত্র যৌতুকের মাধ্যমে আমরার উপলব্ধি করতে পারি। তাছাড়া সমাজ আছেনা ? তাদের কাছে যে আমরা ছেলেদের মূল্য কমে যায় ।
সমাজে এমন অনেক পাবলিক আছে যারা যৌতুক বিরোধী আলোচনায় গলা ফাটায়। তবে তারা কিন্তু মনে মনে আমাদেরই সাপোর্ট দেয়।
সর্বশেষে আসুন এই সমাজে মিথ্যা যৌতুক বিরোধী আন্দোলন না করে যৌতুকের পক্ষে আন্দোলন গড়ে তুলি।
যৌতুক জিন্দাবাদ, জয় হোক যৌতুকের।
[কানে কানে বলি, এইডা কিন্তু জোড়ে জোড়ে বলতাসি না ‘শোনেন যারা যৌতুকের পক্ষে তাগো বলতাসি ভাইজান যৌতুকের পক্ষে একখান ক্যনভাস করলাম আমারে কিন্তু ডোনেশন দেওন লাগবো কইলাম । বেশী না।।।।’]