এই পোষ্টটা আমার মত যারা কারো অন্ধ সমর্থক না তাদের জন্য। বিবেকবান মানুষদের জন্য। এই দুইটা ক্রাইটেরিয়া না থাকলে এখানেই অফ যান।
দয়া করে কোন ছাগু (জামাত সমর্থক) লাইক দিবেননা, গোলাম আযমরে বাচাইতে এই পোষ্ট দেইনাই। আপনা-গো দরদ দেখলে চেত উঠে, আপনারাতো এটাই চাইছিলেন।
আর সুশীলরা দূরে থাকেন মুখের মধ্যে একদলা থুথু আছে, খাওয়াইয়া দিমু ধইরা।
--------------
পরিবারের একজন ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠানো একটা প্রথা ছিল। আমাদের ধারণা ছিল, এরা আমাদের জান্নাতে পাঠাতে সাহায্য করবে। এমন পরিবারের সংখ্যা নেহাত কম বললে ভুল হবে।
এরপর আমরা সবাই সব ভুলে গিয়ে টাকার মেশিন হয়ে যাই। আর কেউ মারা গেলে খুঁজি সেই ছেলেটাকে যাকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে ছিলাম। দোয়া চাই।
কূলখানিতে মাদ্রাসার একদল ছাত্র এনে খাওয়ানোকে অনেক সওয়াবের কাজ মনে করি। এই এতিমদের খাওয়ানোর বিনিময়ে না জানি আল্লাহ আমাদের প্রয়াত বাবা বা মায়ের একটু গুনাহ মাফ করে।
ছেলে পরীক্ষা দিবে, হুযুরের কাছে দোয়া চাই। বাবা অসুস্থ, হুযুরের কাছে দোয়া চাই। বিপদে আছি, হুযুরের কাছে দোয়া চাই। নিজেও চাই কিন্তু আমরা জানি আমরা কি জিনিষ, নিজের দোয়াতে ভরসা নাই। তাই, হুযুরের কাছে দোয়া চাই।
এদেরই হত্যা করা হয়েছে, সংখ্যা কত জানিনা। কিন্তু ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছিনা। খুব কি দরকার ছিল আধার রাতের সেই অভিযান ? সেখানে কি সবাই শিবির ছিল? সবাই যুদ্ধাপরাধী ছিল?
ওদের বয়স কত ছিল?
এতিম আর গরীবের সন্তান ওরা, ওদের যদি মাদ্রাসায় না পড়াত, তাহলে ওরা কালা জাহাঙ্গীর হত, সোহেল রানা হত, হল মার্ক হতো। মেইন স্ট্রীম শিক্ষায় কয়টা এতিম পড়ে বলতে পারবেন ? বড় ভুল করে ফেললেন হুযুররা। ওভাবে এদের পাঞ্জাবী পড়ানোর উচিৎ শিক্ষাই আপনাদের দেয়া হয়েছে। ওদের বস্তিতে ছেড়ে রাখতেন, আজকে আমার বাসায় কাজের ছেলের অভাব হতনা।
আমি মরলে আপনি একাই দোয়া করতেন, এতো পোলাপাইনত দরকার ছিলনা। দরকার ছিল, রানাদের অথবা চা দোকানের পিচ্চিদের।