somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমিও প্রতারিত

২৮ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমিও প্রতারিত

ভাব্বার অনেক লোক আছে বলেই আমরা নিজেদের সব ঝক্কি ঝামেলা থিকে দূরে রাখি এবং নিজেদের স্মার্ট আধুনিক মানুষ বলে দাবি করি। আপনি রাস্তায় বিপদে পরেছেন আপনার বপদ দেখেও পাসের পথচারি ভাবলেসহীন ভাবে আপনাকে পাস কাটিয়ে চলে যাবে।আপনি হয়তবা নিজের অসহায়তা যানাতে তাকে ডাকবেন “ও ভাই”। খুব সাহসি কোন মানুষ হয়তবা আপনার দিকে আসবেন।আপনি তাকে বললেন “আপনার মোবাইল টা দিবেন আমি একটা কল করব আমার মোবাইলটা হারিয়ে গেছে” মুহুর্তে মনে করেন আপনার গালে চড় বসে গেলো। “ছালার ভাই…বাইঞ্চোদ…আমারে হাদা পাইছো…কয় দিন যাবত এই কাম করছ ক? দেহি তোর কাছে কি আছে? এই ঘড়ি কোই পাইছোস? দেহি আর কি আছে?” এরি মাঝে আরো কিছু লোকের জমায়েত হবে…”কি হইছে ভাই” “হালায় ছিন্তাইকারি আমার মোবাইল চায়” উত্তম মদ্ধম জুটলে আবাক হবার কিছুই নাই।তাই সাবধান কারো কাছে মোবাইল চাবেন নাহ।

একটি আবেদন
আমাদের কাছে টাকার অভাব নেই। কিংবা টাকার প্রতি মায়া নেই।টাকাই ত….আসবে যাবে এইটাই নিয়ম।কিন্তু মহাশয় আমার টাকা বানানোর মেশিনটা পুরন।আগের মত টাকা আসে না। ভয়েও থাকি কখন জানি আবার নষ্ট হয়ে যায়। মেশিনের বয়সতো কম হল না।আর কত? এদিকে আমার পড়ালিখাটা শেষ হয়ে নি। নিজেযে একটা মেশিন কিনব তারও পথ খোলা নেই। আপনারা যারা বিশাল বিশাল টাকার মেশিনের মালিক আপানাদের কাছে আমার করজোরে আবেদন রিকশা ওয়ালা, কাচা বাজ়ার, কাপরের বাজার, শেয়ার বাজ়ার, কর্মস্থল এবং চাকরির বাজার এই যাগা গুলোতে আপানাদের টাকার গরম দেখাবেন নাহ। এমনিতে লোডসেডিং এর যুগ আমার বাসায় আই পি এসও নাই এসিও নাই তার উপ্র আপনাদের টাকার গরম এবং শরীর থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় রশ্মি আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে প্রতিনিয়ত।

সেকালেই রয়ে গেলাম

বাবা আমার মুজিব ভক্ত। মুজিব সাহেবের প্রতি আমার অভক্তি আছে তা নয়। লোকটার সাথে একটা বেপারে আমি কোন ভাবেই এক মতনই। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঠাল……আম নয় কেন? বাবার সাথে প্রতি বছর আমা কাঠালের মাসে আমার ঝগ্ড়া হয়।বুঝতেই পারছেন আমি আম ভক্ত। সুধু তাই ন্য় আম পাগোল ও বটে। এই বছর আম আমার কপালে ছিল নাহ। কি করে থাকবে বলেন? আম এর সাথে যে কার্বনেট ফ্রি দেয়া হচ্ছে তা ত আমি পছন্দ করি নাহ।উপরে শক্ত আম কাটলেই মদা গন্ধ।আমি মনে হয় সেকালেই রয়ে গেলাম। সবাই আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়া চলে আমি পারি নাহ। ভাবছি গ্রামের বারিতে আমের গাছ লাগাব।অই গাছ বড় হবে।তারপর আম ধরবে আমি আমার নাতি নাত জামাই নিয়ে ওই আম খাব।ওরা হয়তবা তখন বলবে দাদু তুমি সেকেলেই রয়ে গেছ। মদা গন্ধ ছারা আম খাওয়া যায়। কি যে খাও না তমি?

সপ্নের ঢাকা
-আর কয়েটা দিন যাক মা দেখবি ঢাকা শহর বদলে যাবে।
-কি করে বাবা?
-দেখবি ঢাকা আবার আগের মত হয়ে যাবে। রাস্তায়ে জ্যাম থাকবে নাহ, মানুষ থাকবে নাহ, উচু উচু দালান ও থাকবে নাহ ঢাকা আবার তার প্রান ফিরা পাবে।
-বাবা তুমি পাগলের মত কিযে বলনা।দিন যত যাচ্ছে তোমার পাগলামি ততো বারছে।
-আমার কথা বিশ্শাস করবি না তা আমি জানি। তবে আমি কাল রাতে সপ্নে দেখেছি।ঢাকা নিসঃগ হয়ে যাবে।আমি দেখলাম আমি তোর হাত ধরে দৌরচ্ছি। মাটি কাপছে।প্রচন্ড ভূমিকম্প।বড় দালান গুলো মাটিতে মিসে যাচ্ছে। গ্যাসের লাইন আর পওয়ার স্টেসন গুলোতে আগুন লেগে মৃত্য ফাদ একেছে। জীবন্ত মানুষ অই ফাদে আটকা পরে আর্তনাদ করছে। বৈদ্যতিক তার ছিরে ছিরে পরছে রাস্তায়।তুই আমার হাত খুব শক্ত করে ধরে আছিস। আমরা একটি খোলা মাঠে আশ্র্য় নিলাম।আমাদের সাথে কিছু কিছু মানুষও ছিলো।মুহূর্তের মধ্যে ৪০০ বছরের ঢাকা আদিম ঢাকায় রূপ নিলো।আরে কাদছিস কেন বোকা মেয়ে
-বাবা চল আমরা গ্রামে চলে যাই।

ভিখুনং ভিক্ষানং তপ
ভিখুকরা এখন একটা স্ট্যানডার্ড মেনে চলে।তারা নিজেদের মধ্যে মিটিং করে।ভিখুক নেতা ঠিক করেন তারা নুন্যত্ম ৫ টাকা ব্যতিত ভিক্ষয়া গ্রহন করবে না।আবার তারা সমবায় সমিতি করেন।নিজেদের আধিকার রক্ষায় আন্দোলন ও করেন মাঝে মাঝে।ভিখুকরা মানুষদের অভিশাপও দেন।খুব শীঘ্রই তাদের অশ্র সমেত দেখা যাবে বলে ধারনা করছি। ঘটনা সত্য আলামত পাইছি।
এক যুম্মাবার বাসায় দুপুরে ভিখুক আসেন।অই দিন আমাদের বাসায় ছোট মাছ আর ডাল রান্না হইছে। আম্মু তাকে দুপুরে খাবার কথা বলতেই
-কি দিয়া খামু
-আজকে তেমন কিছু রাধি নাই কাকা ছোট মাছ র ডাল
-মাংস নাই
-নাহ
-তাইলে আম দিয়া দুধ খামু
আম্মু খুব অপমান বোধ করল কারন বাসায় সেদিন কোন আম ছিলো নাহ।
-আম তো নাই কাকা
-ধুর হুদাই ৪ তালা বাইয়া উটলাম।
রাতে চা খাচ্ছি এক টং দোকানে। গোল মুখো কালো কুচ কুচে এক ছোট ছেলে। হাত ঘোষছে আর বলছে
-আমারে ১০টা টাকা দিবেয়য়য়য়ন
-কাহিনী কি ১ টাকা না ২ টাকা না ১০ টাকা দিয়া কি করবি।
-আমার বাপ নাই, মা আরো একটা বিয়া বইছে ১০টা টাকা দিবেন সারাদিন কিছুই খাই নাই
আমি তখন তাকে খাওয়ানর জন্য চা দোকান থিকে রুটি কলা নিচ্ছি
-না আমি রূটি কেলা খামূ নাহ আমারে অই ডিম কিনা দেন
-একটা চড়দিয়া তোমার সব গুলান দাত ফালাই দিবো……যা এখান থিকা।




অনেক দিন লিখব লিখব ভাবছি। সাহস পাচ্ছিলাম না। অলস মানুষের এই দোষ।এমন না যে আমার লিখার কিছু নেই।মাথায় হাজার হাজার আইডিয়া ঘুরা ঘুরি করে।তবে আলসামি কে জয় করে আমি আমার প্রথম লিখাটা লিখেই ফেললাম।আর এই ধারা বিরামহীন স্রোতে আপনাদের মোনের খোরাক যোগাবে এমনটাই আমার আশা আমার।
(বাংলা লিখায় অভ্রতে যুক্তবর্নের জটিলতা আমাকে কষ্ট দেয়। নতুন লেখক হিসাবে এ বেপারে সকলের সাহায্য চাই। আপনারাও কি একি জটিলতায়ে আছেন? নাকি এ সমস্যার বিকল্প ব্যবস্থা আছে?)

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×