somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদ্গার করে গণতন্ত্রের কী উপকার হচ্ছে

১১ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদ্গার করে গণতন্ত্রের কী উপকার হচ্ছে বিষয়ে পাঠকের মতামত - জিয়াকে নিয়ে বিষোদ্গার সরকারের দেউলিয়া মানসিকতার পরিচায়ক


মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিরা যেভাবে বিষোদ্গার চালাচ্ছেন, তাতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন, শহীদ জিয়াকে নিয়ে বিষোদ্গার আর নাম পাল্টানোর সংস্কৃতি আওয়ামী প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।
জাতীয় নেতাদের টানা-হেঁচড়া না করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছেন, কাদা ছোড়াছুড়ি কখনই দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে না। দৈনিক আমার দেশ আয়োজিত গতকালের পাবলিক কমেন্ট বিভাগের প্রশ্নটি ছিল, ‘জিয়াউর রহমানের ওপর বিষোদ্গার করে গণতন্ত্রের কী উপকার হবে?’ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়া উত্তরদাতারা আশঙ্কা করছেন, আওয়ামী সরকার পঁচাত্তর সালের মতো আবারও একদলীয় শাসন জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার স্বপ্নে বিভোর। উত্তরদাতা মনে করছেন, উন্নয়নমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু না হলে দেশের গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়ে যাবে। পাবলিক কমেন্টগুলো গ্রন্থনা করেছেন জিয়াউদ্দিন সাইমুম, কাজী জেবেল এবং আসাদুজ্জামান সাগর

রহিমা আক্তার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, তেজগাঁও, ঢাকা : আমাদের বিগত অনেক দেশদরদী নেতা দেশের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা থেকে রেহাই পায়নি দুই নেত্রীও। তবে কথা হলো, জেলের ভেতর কার ওপর কতটুকু নৈতিক কাজ করা হয়। তারেক গ্রেফতার হলে কখনও গলায় ফুলের মালা নিতে পারবে না—এ ধরনের উটকো চিন্তাগুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা দরকার। না হয় ছোট ছোট পোকা জন্ম নিতে পারে। বর্তমান সরকার যদি তাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতার জোর না দেখান, তাহলে তারেক নিজকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে পারবে। কারও নামে খুনের মামলা দিলেই তো সে খুনি হয়ে যায় না, প্রমাণের একটা ব্যাপার থাকে। নিজের দোষ স্বীকার করার মাঝে লজ্জা নেই, গর্ব থাকাটাই শ্রেয়।
হারুন হাফিজ আর্টিস্ট, যশোর : জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা উচিত নয়। জিয়াউর রহমানের কারণেই হাসিনা দেশে ফিরতে পেরেছেন এবং আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। এ কারণে শেখ হাসিনার মন্তব্যটি স্ববিরোধিতার শামিল।
এম ইয়াসিন আরাফাত ছাত্র, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদগার করে সরকার দলীয় মন্ত্রী-এমপিরা তাদের ক্ষুদ্র মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এসব কিছু দেশের গণতন্ত্রের জন্য কখনও শোভনীয় নয়। কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া শুধু সফল রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। মন্ত্রী-এমপিদের এ রকম আচরণ কখনই জনগণ মেনে নেবে না।
মোঃ শহীদুল্লাহ আখন্দ চাকরিজীবী, লাউতলী, ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর : শহীদ জিয়ার নাম পাল্টানো বাকশালে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত। চারদিকে এখন ডিজিটাল সন্ত্রাস চলছে।
রেজাউল করিম চাঁদপুরী অধ্যাপনা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা : গণতন্ত্রের উপকার হোক বা না হোক, সরকার প্রধানের অন্তর্জ্বালা ঠাণ্ডা হচ্ছে। গণতন্ত্র থাকলেই তো তার উপকারের প্রশ্ন আসে। কাজেই গণতন্ত্রের উপকার হোক বা না হোক, সরকারের অন্তর্জ্বালা নির্বাপিত হচ্ছে।
মোঃ আবু তাহের ব্যবসায়ী, লাকসাম, কুমিল্লা : জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এখন যেসব বিষোদগার চলছে, তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। মুজিব-জিয়াকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া না হলে দেশের ভালো হবে। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম মানুষের মন থেকে মুছতে পারবে না। দিন বদলের সরকার যে এখন নাম বদলের সরকার হয়ে গেছে, এটা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
এমজেকে শাহজাহান ছাত্র, সিলেট : জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদগার ন্যক্কারজনক বিষয়। জাতীয় সংসদে যখন জিয়াউর রহমানকে খুনি বলা হয়, তখন স্পিকারের ভূমিকা যৌক্তিক ছিল না। তিনি দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। জিয়াউর রহমানের নাম যে মানুষের মন থেকে মোছা যাবে না।
আবদুল আউয়াল আখন্দ রাজনীতিবিদ, দোহার, ঢাকা : সরকার জিয়াউর রহমানের প্রতি কটূক্তি করে, অবমাননা করে দেশের গণতন্ত্রকে দুর্বলই করছে না বরং দেশকে দু’শিবিরে বিভক্ত করে ফেলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, সিপাহী জনতার বিপ্লব, জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনক জিয়াউর রহমান সারা জীবন এ দেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় জেগে থাকবেন। তাই শহীদ জিয়াকে খাটো করে দেখে লাভ নেই। গণতন্ত্র সুসংহত করতে হলে যার যতটুকু প্রাপ্য, তার ততটুকু সম্মান দিতে হবে।
শাহাজাদা সৈয়দ মাহমুদ ওমর ফারুক পীর সাহেব, নূর মানিকচর দরবার শরীফ, দেবীদ্বার, কুমিল্লা : জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের প্রবক্তা। যারা তাঁকে নিয়ে কটূক্তি করছেন, তারা দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের শত্রু। প্রেসিডেন্ট জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করা গণতন্ত্রকে ধ্বংসের শামিল। কারণ তিনিই জাতিকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। এ গণতন্ত্র টিকে থাকবেই।
সোহেল আহমেদ চাকরিজীবী, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ : মহান সংসদে শহীদ জিয়াকে নিয়ে যেসব কটূক্তি করা হচ্ছে, তা গণতন্ত্রকে হত্যার শামিল। এটা রাজনৈতিক হীনমন্যতার পরিচায়ক। জিয়াউর রহমানকে মানুষের মন থেকে মুছার কোনো উপায় নেই। আওয়ামী লীগ সম্ভবত ভুলে গেছে, শহীদ জিয়াই জাতিকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন।
মোবারক হোসেন মিলন চাকরিজীবী, এরশাদনগর, টঙ্গী, গাজীপুর : গণতন্ত্রের উপকার হয় গণতন্ত্র চর্চায়, কারও প্রতি বিষোদগার করে নেয়। কারও নাম মুছে ফেললেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। শহীদ জিয়াই গণতন্ত্রের দরজা খুলে গেছেন, যার ফলভোগ করছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। গণতন্ত্র জিয়াউর রহমানেরই অবদান।
মোঃ কাইয়ুম হোসেন ফিদেল ছাত্র, শরণখোলা, বাগেরহাট : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি কোটি মানুষের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রয়েছে। যার প্রতিদানস্বরূপ জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং তার আদর্শে বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটূক্তির ফলে জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে গণতন্ত্রের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হবে। বর্তমন সরকারকে মনে রাখা উচিত, অন্যের মাহাত্ম্য ও কৃতিত্বকে হীন করে জনগণের আস্থা অর্জন করা যায় না। কে দেবতা আর কে দৈত্য, তা সিলেকশন করবে জনগণ, সরকার নয়।
মোঃ শাহজাহান অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পূর্ব রাজাবাজার, ঢাকা : গণতন্ত্রের স্বার্থে বিষোদগার বন্ধ করা উচিত। কারণ বিষোদগার গণতন্ত্রের জন্য শুভ প্রমাণিত হয় না।
মোঃ নাসিমউদ্দিন ছাত্র, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি : জিয়াউর রহমানের নাম সরকার জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।
নূরুল আবসার ব্যবসায়ী, তেমুহানি বাজার, ফেনী : আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে ভয় পায় বলে বিষোদগার ও নাম বদলে ব্যস্ত। তারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার শহীদ জিয়াকে নিয়ে বিষোদগার করছে।
মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলাল ব্যবসায়ী, চৌধুরীনগর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা : গণতন্ত্রের উপকার হচ্ছে না। বিষোদগারের মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রাজনীতি উন্মোচিত হচ্ছে।
মোঃ সালেহ আহমদ ব্যবসায়ী, জিনজিরা, কুশিয়ারবাগ, ঢাকা : দেশের সম্পদ নষ্ট করে নাম পাল্টানোর সংস্কৃতি চালু করে সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার বাকশাল কয়েমের স্বপ্নে বিভোর।
মাওলানা মমিনুল হক ফারুলিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, পরশুরাম, ফেনী : আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, তার নাম মোছার মাধ্যমে সরকার গণতন্ত্র ধূলিস্যাত্ করতে চাচ্ছে। এ জন্য তারা নাম মোছার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আবার বাকশাল কায়েম করতে। অথচ জনগণের অন্তর থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না। ভবিষ্যতে জনগণ তার প্রমাণ দেবে।
মোঃ হাবিবুর রহমান শিক্ষক, চট্টগ্রাম : প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক, যারা অহেতুক বিষোদগার করেছেন তারা সবাই দুর্নীতিবাজ, অসত্, মিথ্যাবাদী, সাম্প্রদায়িক, মানবতাবিরোধী ও গণতন্ত্রের শত্রু। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। শেখ মুজিবের আমলের অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাটের কথা মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে। অন্যদিকে জিয়া ছিলেন ন্যায়-সততা, গণতন্ত্র, মানবতা ও আদর্শের প্রতীক। আমরা বাংলাদেশীরা জিয়ার আদর্শ নিয়ে এখনও বেঁচে আছি।
ওয়ালিউল্লাহ আনসারি ব্যবসায়ী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম : গণতন্ত্র শহীদ জিয়া দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে। সে হিসেবে জিয়া গণতন্ত্রের পুরোধা হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেয়া উচিত। অথচ তারা জিয়া আতঙ্কে ভুগছেন। তার নাম মুছে গণতন্ত্রের কোনো লাভ হচ্ছে না বরং জাতিকে পেছনের দিকে ঠেলা হচ্ছে।
বকশি মিজান ব্যবসায়ী, শাহজাহানপুর, বগুড়া : শহীদ জিয়ার প্রতি বিষোদগার করে গণতন্ত্রের কোনো উপকার তো হচ্ছেই না বরং দেশকে পশ্চাত্পদ করা হচ্ছে। কেননা তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও দিকনির্দেশক। বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে প্রবর্তন করতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থাকলে আজ যারা বিষোদগার করছেন তারা কোনো কথাই বলতে পারতেন না।
মোঃ আশরাফুজ্জামান খোকন কবরস্থান মোড়, নীলফামারী : সংসদের ভেতর বা বাইরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ জিয়া সম্পর্কে অশ্লীল ভাষায় কথা বলছেন, অথচ তিনি যদি জন্ম না নিতেন তাহলে আওয়ামী লীগ থাকত কিনা সন্দেহ ছিল। কারণ বাকশাল কায়েমের সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছিল। জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু না করলে কোনো দলই থাকত না। তারা জিয়ার সমালোচনা করে ইসলামবিরোধী কাজ করছে। কারণ ইসলামে মৃত ব্যক্তির সমালোচনা করার নিয়ম নেই।
হারুন সরকার প্রবাসী, টঙ্গী, গাজীপুর : জিয়া বিমান বন্দরের নাম পাল্টানোর কারণে বিদেশে আমাদের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। সৌদি আরবে শেখ হাসিনা সফর করে বাহবা নিলেও কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি, আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
আরিফুর রহমান নাফীস শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক, ভোলা : বাকশাল কায়েম যাদের সহজাত প্রবৃত্তি, তাদের কাছে গণতন্ত্রের কথা বলা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতো। তারা গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করতে সব পথ বেছে নিয়েছে। তাই বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ জিয়াকে নিয়ে বিষোদগার করছে। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, আপামর জনগণের হৃদয়ের মধ্যমণি জিয়াকে বিষোদগার করায় গণতন্ত্রের লাভ না ক্ষতি হবে, ডিজিটাল রঙিন চশমাপরা আওয়ামী সরকারের তা বোধগম্য হয়নি।
মোঃ রাশেদুল ইসলাম ছাত্র, কদমতলী, ঢাকা : বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে জনগণের জন্য কাজ করার চেয়ে শহীদ জিয়ার নাম বিভিন্ন স্থাপনা থেকে মুছে ফেলতে সরকার বেশি মনোযোগী। এতে করে সরকার মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। এতে গণতন্ত্রের উপকার হচ্ছে না। সরকার তাদের বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। সরকারের উচিত জিয়ার বিষোদগার করে সময় নষ্ট না করে দেশের উন্নয়নে এ সময়কে কাজে লাগানো। যাতে তরুণদের জন্য আদর্শস্বরূপ কিছু থাকে।
রফিকুল আলম ব্যবসায়ী, দক্ষিণ রাউজান, নোয়াপাড়া, চট্টগ্রাম : এটা সরকারের প্রতিহিংসামূলক কাজ। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থের কাজ। আমি মনে করি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।
আতিকুল ইসলাম স্বপন ব্যবসায়ী, কাপ্তান বাজার, কুমিল্লা : জিয়ার প্রতি বিষোদগার করে গণতন্ত্রের ক্ষতি করা হচ্ছে। জিয়া এ দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আওয়ামী লীগ একের পর এক গণতন্ত্র গলা টিপে হত্যা করেছিল, একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। দেশের গণতন্ত্র এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশের কোটি মানুষের অন্তরে জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে তা মুছে ফেলা যাবে না। মাটি ভেদে অঙ্কুরের মতো তা বেরিয়ে আসবে একদিন।
মাসুদ রানা ছাত্র, বিক্রমপুর : জিয়া ও মুজিবসহ যারা আমাদের প্রয়াত নেতা ছিলেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংসদে সে বিষয়ে কাজ করতে পারতেন। এসব বিষয়ে আলোচনা তুলে সংসদে দ্বন্দ্ব করা ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত দেশের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা এবং অতীতের বিষয়ে কথা বলে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না করা।
হোসাইন মাহমুদ ব্যবসায়ী, রাঙামাটি সদর, রাঙামাটি : রাষ্ট্রনায়ক জিয়া ও অন্যান্য রাজনীতিবিদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আক্রমণ শুরু হয়েছে, তাতে দেশ ও জনগণকে এত সুন্দর শিক্ষা পাচ্ছে, যা আগামী ৫০ বছরে ওদের ক্ষমতায় বসাবে না বাংলার জনগণ।
আমিরুজ্জামান ছাত্র, ময়মনসিংহ : জিয়াউর রহমানের নামে যারা বিষোদগার করে তারা গণতন্ত্র নয়, বাকশালে বিশ্বাসীরা। জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, তাই তারা বিষোদগার করে। যারা জিয়ার নাম শুনলেই বিরোধিতা করছে তারা বাকশাল কায়েম করতে চায়। এ জন্য পত্রিকা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা নির্যাতন করছে।
হাফিজুর রহমান কবীর তেজগাঁও, ঢাকা : আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও এ দলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা ও শ্রদ্ধা কোনো কালেও ছিল না। দলটির মগজ ও মননে বাকশালী প্রেতাত্মা এখনও লুকায়িত আছে। তারা কথায় কথায় শহীদ জিয়াকে টার্গেট করে কটূক্তি করে তাকে হেয় করতে অব্যাহত চেষ্টা করছে। তারা জাতীয় সংসদকে গোরস্তানে পরিণত করছে। এখানে দেশ ও জনগণের স্বার্থ নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। শুধু মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের সবিনয়ে নিবেদন, জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার বিকৃত মানসিতা থেকে বেরিয়ে এসে বরং জাতীয় সংসদকে আরও প্রাণবন্ত, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে গতিশীল করতে সরকার ও বিরোধী দল মিলে একযোগে কাজ করুন। এভাবে গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী হবে না, জিয়ার প্রতি বিষোদগার করে তো নয়ই।
মোঃ রবিউল ইসলাম চাকরিজীবী, অভয়নগর, যশোর : জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদগারের অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্রের সমূলে উপড়ে ফেলার প্রচেষ্টা। তারা গণতন্ত্রের ভিত ভেঙে দিতে চাইছে। অথচ জিয়া হলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা।
মোঃ শাহরিয়ার মোহন ব্যবসায়ী, নাঙলকোট, কুমিল্লা : জিয়ার প্রতি সরকার যে হিংসাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছে তাতে করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আছে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে। সরকারকে অনুরোধ করি এ ধরনের নোংরা রাজনীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন।
আরাফাত কামাল অপু ছাত্র, কল্যাণপুর, ঢাকা : জাতীয় সংসদে যে কটূক্তি হচ্ছে, তা বাকশাল কায়েমের ষড়যন্ত্রের অংশ। শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নায়ক। জিয়া জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। শেখ মুজিব অধ্যায় শেষ হয়েছে বাকশাল, স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। মন্ত্রী, এমপিদের প্রতি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনুরোধ সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য করে বাকশাল কায়েম করা যাবে না। জনগণ তা মেনে নেবে না।
বেলালউদ্দিন আহমেদ খন্দকার মানিক চাকরিজীবী, পাগলা, নারায়ণগঞ্জ : বিষোদগার গণতন্ত্রের পরিচয় নয়। সরকার নাম বদলের রাজনীতি করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রবাসী, রাউজান, চট্টগ্রাম : বিষোদগারে উপকার নেই, অপকার আছে। দেশ, জাতি ও সবার এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের।
অনল রায়হান মাসুম সমাজকর্মী, ফেনী : গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ব্যাহত এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করাই রাজনীতিবিদদের পেশা। রং বদলের রাজনীতির সঙ্গে যোগ হয়েছে দিনবদল ও নাম বদলের রাজনীতি। জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদগার করে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট মোঃ আবুল বাশার কোনাবাড়ি, গাজীপুর : এক নায়কতন্ত্রকে নস্যাত্ করে এবং স্বৈরতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে, এ দেশের মানুষের জন্য বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এ গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে এ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:১৩
৭টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×