'' সকল বীর সহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে''
বাংলাদেশ তোমার বয়স কত হল? ৪১! কম নয়, তারুন্য পেরিয়ে গেছ।অভিজ্ঞতার ঝোলাটা অনেকটাই ভারি হল।কি পেলে তুমি?গালভরা কথা,বুদ্ধিদীপ্ত ডায়লগ কপচানো,একপক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ করা,নিজের দোষ অন্যের উপর চাপানো। একবুক আশা নিয়ে যেদিন তুমি স্বাধীন হলে তোমার ভূমিতে প্রথম যে কাজটি করার ছিল তা হল স্বাধীনতা বিরধী জঞ্জালগুলোকে উপড়ে ফেলা। যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পুর্নবাসন করার আগেই এই নরকীট গুলো নির্বিসিত করে দেশকে পুর্নবাসিত করলে হয়ত বীজ ফুটে এরা আর বের হতে পারত না । যতদিন যাচ্ছে ওদের সাহস তত বারছে।ধর্মীয় লেবাস পরে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে।শিশুদের মধ্যে সত্যটা বিরাজ করবে যদি ঘরে ঘরে সঠিক ইতিহাসের চর্চ্চা হয়।
অন্য একটি ব্যাপারে আজ কথা না বললেই নয়,অবশ্য এটা আমার নিজস্ব মতামত। বিজয় দিবস বা এ জাতীয় কোন জাতীয়দিবস যেমন ২১শে ফেব্রুয়ারি,১লা বৈশাখ,স্বাধীনতা দিবস ইত্যাদি ইত্যাদি আমরা যেন প্রতিযোগিতায় মেতে উঠি।নির্দিষ্ট রং এর কাপড় পরতে হবে,বিশেষ খাবার খেতেই হবে,তা হোক আকাশ ছোঁয়া মূ্ল্য।লাল, কালো,সাদা,কালো,আবার লাল,সবুজ, পোশাক সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সোভা পায়।আমি বলছি না এটা খারাপ,এইরুচির পরিবর্তনের মত আমরা আমাদের চারিত্রিক দিকটা যদি পাল্টাতে পারতাম। এই একদিনের জন্য হঠাৎ বাঙালি হওয়া, আমাদের কষ্টে অর্জিত স্বাধীনদেশের জন্য দৃষ্টিকটু,একদিন বাঙালি হলাম আর সারা বছর খবর নাই।এই একদিনেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে,নির্দিষ্ট রঙ এর পোশাক পরে ঘুরে ফিরে সন্ধায় বাসায় ফিরি,ব্যস হয়ে গেল আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন,হয়ে গেল আমাদের বিজয়দিবস পালন, হয়ে গেল আমাদের বর্ষ বরন! অথচ কত মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের আনাচে কানাচে,খেয়ে না খেয়ে দীন দরিদ্রের মত দিন কাটাচ্ছে, এ দিবস গুলো এলে তাদের বুকের জ্বালা বেড়ে জায়।খাওয়া পরা তো দুরের কথা প্রাপ্ত সন্মানটুকু তারা পায়না। অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা রিক্সা চালিয়ে জীবন ধারন করেন।তাদের আত্নদানের কারনেই আজ আমরা স্বাধিন দেশে বাঙালি পরিচয়ে বাঁচতে পারছি। আকাশ ছোঁয়া দামের খাবার খাচ্ছি, নির্দিষ্ট রং এর জামা কাপড় পরছি। বাঙ্গালি পরিচয় দিচ্ছি তবে ধারন করছি বাইরের দেশের সংস্কৃতিকে।ধার করে সংস্কৃতি পালন করার কোন প্রয়োজন নেই। যেখানে আমাদের নিজেদের রয়েছে ঐতিহ্যবাহিত হাজার বছরে লালিতসংস্কৃত।আমরা নিজেরাই অনেকে জানিনা আমরা কতটা যে সমৃদ্ধসালি।নিজেদের অনেক থাকা সত্তেও আমরা অন্যকে অনুকরন করি।