দর্শন (Natural Philosophy) থেকে বিজ্ঞান চর্চা শুরু হয়ে না না ভাগে বিভক্ত হয়েছে। বিজ্ঞান আবার সেই দর্শনেই ফিরে আসতেছে, অচিরেই বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখা একইভূত হয়ে একই নাম ধারণ করতে পারে!
তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা এমনই ইঙ্গিত দেয়।
আমরা মহাবিশ্বের বাহিরে যতদূর যেতে পেরেছি সেই তুলনায় পরমাণুর ভেতরে খুব কমই ঢুকতে পেরেছি॥
অতি বৃহৎ এবং অতি ক্ষুদ্র প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা এখনো আমরা অর্জন করতে পারিনি, এখনো তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান অনেক ক্ষেত্রেই যদি-কিন্তূ-তবে নির্ভর। আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান আগামীতে আমুল বদলে যেতে পারে, বিজ্ঞানের সব বই নতুন করে লিখতে হতে পারে। কারণ অতি বৃহৎ এবং অতি ক্ষুদ্র বিষয়ে আমাদের জ্ঞান এখনো শৈশবেই আছে।
তবে সবচেয়ে বড় দুঃখের কথা বর্তমান বিজ্ঞানের কোন শাখার বিকাশই বিকাশ মানব মঙ্গলের লক্ষ্যে নয়, পুঁজি/ক্ষমতা তন্ত্রের বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিজ্ঞানের যেটুকু সুবিধা পাই তা বাণিজ্যের কল্যানে ভোক্তা হিসেবে, মানুষ এখানে কেবলমাত্র সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়, বড় জোর গিনিপিগ বলা যেতে পারে! অথচ এই বিজ্ঞানের লালন পালনের সমস্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে আমজনতাকে। আর আমাদের এস্টাব্লিশমেন্ট বিজ্ঞান বিকাশের এই মডেলকেই প্রোমোট করে নিজেদের স্বার্থেই।
তবুও আশাবাদী বিজ্ঞান একদিন সঠিক পথেই ধাবিত হবে তবে এর জন্য হয়তো আমাদেরকে আরো একটি বিশ্বযুদ্ধ দেখার জন্য অপেক্ষা করতে বা প্রস্তুত থাকতে হবে।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১২