somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর কতকাল হিপনোটাইজড হয়ে থাকবে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মনে পড়ে সুলগ্না?
বাইরে সেদিন উথাল পাতাল বৃষ্টি হচ্ছিল,

তুমি নীচতলার সিড়ির নীচের অন্ধকারে
চুপটি করে দাঁড়িয়ে ছিলে।
বল্লে-"ভয় করছে আমার, খুব!"
আমি তোমাকে টেনে এনে মোমবাতির আলোয় বসালাম।
আমার হাতের মুঠোতে তোমার কব্জি রেখে
ফিসফিস করে বল্লাম-"ভয় নেই, এই যে দেখো আমি আছি!"
তুমিও ফিসফিস করে বল্লে-"তবুও ভয় করছে!"

তোমার ভয় কাটাতে তোমাকে সপ্ন দেখাতে শুরু করলাম। তুমি শক্ত হয়ে বসেছিলে। মনে পড়ছে এখন?


মনে পড়ে সুলগ্না?
সেরাতে আমরা দুজন খুব নিরিবিলি একটা পিচঢালা রাস্তায়
একাকী হাত ধরাধরি করে পাশাপাশি হেটেঁ চলেছিলাম।
বাতাসে ছিলো বৃষ্টির সোদাঁ গন্ধ।
তুমি বল্লে "এ্যাই, শীত করছে আমার!"
আমি মুচকি হেসে বল্লাম-"শালটা নিয়ে এলেই পারতে!"
তুমি আবারও ফিসফিস করে অভিমানী স্বরে বল্লে- "তাই বলে জড়িয়ে ধরবে না আমায়?"
আমার অট্টহাসি ক্ষনিকের জন্য সে রাতের নীরবতাকে ভেঙ্গে খানখান করে দিয়েছিলো। আমি আমার শরীরের সমস্ত উষ্ণতা দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম তোমায়। এখনও মনে পড়ছে না তোমার?

আমরা হাটঁতে হাঁটতে রমলাদের বাগানে এসে হাজির হলাম।
তুমি হাস্নাহেনা আর গন্ধরাজের সম্মিলিত একটা অদ্ভুত ঘ্রান
বুক ভরে নিলে।
আমি তোমাকে ওদের সিঁড়ি বারান্দায়
আমার দুহাটুর মাঝে বসিয়ে বল্লাম
লগন, জীবনটা কতই না সুন্দর, তাই না?
তোমার নিরবতায় চেয়ে দেখি
তোমার দুচোখে জল টলমল করছে!
আমি তাকাতেই আমার দিকে চেয়ে হাসলে তুমি!
তোমার গালের টোলের ধাক্কায়
তোমার বামচোখের পানির একটা ফোটাঁ
গড়িয়ে তোমার টোলের গর্তটায় গিয়ে পড়ল!
আবারও খুব হাসি পেলো আমার,
কিন্তু হাসলাম না, তুমি কাদছ, আমি হাসি কি করে বল লগন?
তখন তুমি আমার হাত দুটোকে দুপাশ থেকে বুকে জড়িয়ে ধরলে!
এবার মনে পড়েছে তোমার?



এখনও কি আজ সেসব তোমার কাছে শুধুই হিপনোটিজমই হয়ে থাকবে?
আমি তো আমার কল্পনাকে বাস্তব করতে চেষ্ট করি কিন্তু তোমার জলজ্যান্ত একটা বাস্তবতাকে কল্পনাতে রুপ দেবার আশা আমার সে চেষ্টাকে নিমিষেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়।

সুলগ্না, ঘোরের জগত থেকে একটিবার বাইরে এসে দেখোনা,
তোমার জন্য সেই মোমের আলো..সেই বৃষ্টিভেজা রাত...রমলাদের সেই আজব বাগান...সেই আমি এখনও তোমার পথ চেয়ে বসে আছি।

আজ সেখানে শুধু তুমিই নেই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:০৪
১২টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×