somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

_"একজন সাংবাদিক এবং অন্যান্য"_

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাশের মহল্লায় কে কার সাথে পালিয়ে গেছে এটা নিয়ে আমরা গুজব শুনি, পাড়ার চায়ের দোকানে টিভি দেখে কেউ কিছু বললে সেটা মন্তব্য হতে পারে, কোন অধ্যাপক বা গুণীজন বললে সেটা তথ্য হতে পারে। কিন্তু একজন সাংবাদিক যখন কিছু বলেন সেটাকে কোনভাবেই হেলা করে নেয়া যায়না। সেটাকে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন বলে।

ইন্টারনেটের যুগে গুগলে সার্চ দিলেই অনেক তথ্য আমাদের কাছে চলে আসে। আমরা নিউজ পোর্টাল গুলোতে ঢুঁ মারি। কোন নতুন কিছু কি আসলো? Target rating point বাড়ানোর জন্য এক ধরণের প্রতিযোগীতা। উদ্ভট সব শিরোনাম। এর চাইতে বেশি পরিমাণ ভিত্তীহীন সংবাদ! তাহলে এটা কি!
এটাই সাংবাদিকতা! এটাই Journalism। আমি মাত্র Wikipedia তে সার্চ দিয়ে দেখলাম। সংজ্ঞাটা দেখলাম ঠিক এরকম।

Journalism is a method of inquiry and literary style that aims to provide a service to the public by the dissemination and analysis of news and other information

সাংবাদিকতা হচ্ছে একধরণের প্রক্রিয়া যেখানে অনুসন্ধান করতে হবে, যেটার বিস্তারির সংবাদ গোড়া থেকে বের করতে আনতে হবে। যেটা আমাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। একজন journalist সম্পর্কে পড়তে গিয়ে দেখলাম reporter আর journalist এর মধ্যে অর্থগত কোন পার্থক্য নেই। দুটোতেই লেখা, A journalist is a person who practices journalism, the gathering and dissemination of information about current events, trends, issues and people.

তারা আমাদেরকে সমসমায়িক ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করবে ! আমাদেরকে জানাবে যেখানে তাদের চোখ পৌছে গেছে। আমাদের চোখ যায়নি। আমাদের কি করা উচিৎ, কি করা উচিৎ না! এটাকে practice বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ছোটকালে পড়েছিলাম, “ অসির চেয়ে মসি বড়!” এটা তাদের ক্ষেত্রেই সম্ভব। তারা আমাদের মন্তব্য দিতে পারে, আমাদের থেকে তথ্য বা মন্তব্য নিতে পারে কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তাদের অবশ্যই নিরপেক্ষ এবং সঠিক হতে হবে। freedom of press এই শব্দটা তাদেরকে যা খুশি তা প্রকাশ করার জন্য আসেনাই। এটা এসেছে তাদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ যেন আসল খবরটা যেন জানতে পারে। একটা ভুল তথ্য আমাদেরকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে সেটা আমরা দেখেছি কিছুদিন আগেও।

আমাদের আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিতে ডুবে যাওয়া ৯ জনের মধ্যে ৩ জন বেঁচে ফিরে আসল। ৬ জনের মধ্যে চারটা ছেলের লাশ ফিরিয়ে আনা হল। আর দুটো ছেলের লাশ তখনো নিখোঁজ! অথচ অনলাইন পোর্টাল গুলোতে ছড়িয়ে পড়ল তাদের পাওয়া গেছে। সনাক্ত করতে পারেনা তারপরও ছড়িয়ে পড়ে ভুল সংবাদ। পুরনো ছবি দিয়ে বলা হয় এটা ঘটনা ঘটার দিনের ছবি। চার নিখোঁজ ছাত্রের মধ্যে দুইজনকে এখনও পাওয়া যায়নি। আজ সাতদিনের মাথায় খোঁজাখুজি বন্ধ করে দেয়া হল। জানি এই নিউজের সমাপ্তি এখানেই শেষ।
একজন সাংবাদিক শুধুমাত্র কলম হাতে থাকার কারণে নিজেকে ঈশ্বরের কাছাকাছি ভাবেন হয়তো। নাহলে কলমের খোঁচায় যাই লিখবেন এবং অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে সবাই পড়ে যাবে এটা ভাবেন কিভাবে! কিছু জায়গা আছে যেখানে ভুল হয়ে গেছে বলে পিছিয়ে আসা যায়না। যেখানে সত্য বিকৃত করে বা মিথ্যা বলা যাবেনা।

তাদের দায়িত্ব তারা পালন করছেন! কিন্তু এটাকে দায়িত্ব পালন বলেনা। এটাকে দায়িত্বের অবহেলা বলে। আমাদের এত এত নিউজ পোর্টাল, টিভি চ্যানেল কিংবা সংবাদপত্র হয়ে গেছে। এদের ভুলগুলো নিয়ে এখন শুধুমাত্র ঠাট্টা তামাশা করে বাদ দিয়ে উচিৎ না। আমার মনে হয় এখানেও কিছু নিয়ম করা উচিৎ।

সামাজিক দায়িত্ববোধের সঙ্গায়ন ( definition of social responsibility ) পড়তে গিয়ে একটা লাইন আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি সেটা হচ্ছে কোথাও আগুন লাগলে একজন সাংবাদিক কখনই পানি ঢালতে যাবেনা। সে ছবি তোলার চেষ্টা করবে। ভাল করে ফোকাস করবে। এটাই নাকি তার সামাজিক দায়িত্ববোধ। এই উদ্ভট যুক্তি আমি পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে একজন সাংবাদিক যদি মানুষ হয় সে যদি তার সাধারণ অধিকার ক্ষুন্ন হবার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যানার নিয়ে আন্দোলন করতে পারে তাহলে অবশ্যই তাকে ক্যামেরা ফেলে পানির পাত্র নিয়ে আগুনে ঢালতে হবে। In my opinion this is called social responsibility!

আমি প্রায় শেষের দিকে! সাংবাদিকরা আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে। তাদের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। সব ঠিক আছে। এটা এমন একটা পেশা। এখানে বাণিজ্য করেন আর যাই করেন অন্তত ভুল করতে যাবেননা। তাহলে কিন্তু জনগণ আপনাদেরকে ক্ষমা করবেনা। আপনি খারাপ লিখছেননা। কিন্তু আপনার সাথেই আপনার টাইটেলধারি ( সাংবাদিক) আরেকজন উদ্ভট, কাল্পনিক, মিথ্যা সংবাদ দিয়েই যাচ্ছে।

এক ফোটা লেবুর রসে যদি এক লিটার দুধ নষ্ট করতে পারে। তাহলে freedom of press নামক শব্দটি confusion from press হয়ে anger and protest against press হতে বেশি দেরি হবেনা।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×