কারো রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলা অন্যায়।
কোন মানুষ কোন মানুষের উর্ধে যেতে পারবেনা পছন্দ অপছন্দ দিয়ে। মানুষের জন্য এটা কোন মাপকাঠি নয়। সমাজের বিশেষ গোত্রের জন্যে হতে পারে কিন্তু মানুষের জন্য নাহ।
আমাদের জানা উচিত আমরা সবাই সঠিক। জেনে শুনে বিনা কারনে কেউ কোন কাজ করেনা। কাওকে বিচার করার আগে আমাদের এ ব্যাপারে জানতে হবে।
আমার পছন্দ সেটা আমার পছন্দ। আপনার পছন্দ সেটা আপনার পছন্দ। আমারটা নিয়ে আমি থাকবো আপনারটা নিয়ে আপনি থাকবেন।
আপনার জায়গায় থাকলে আমার রুচিও আপনার মত হতো। এতে কোন ভুল নেই।
আমি যদি আপনার মত করে বেড়ে উঠতাম সেই পরিবারে সেই বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে তাহলে আমিও ঠিক আপনার রুচিবোধের জায়গায় থাকতে পারতাম।
ভিন্ন মানুষ ভিন্ন রুচি
কেউ যখন বলবে আমার এটা পছন্দ নাহ।
তাকে তার পছন্দ নিয়ে থাকতে দিন। তার পছন্দের ব্যাপারে সে জানে। তার এই পছন্দ একদিনে গড়ে উঠেনি যে আপনি তার পছন্দে প্রশ্ন তুলবেন।
আপনি যদি তার অভিবাবক না হন তাহলে তাকে বলার আপনি কেউ না যে, ছোট্টবন্ধু এটা ভালনা ওটা ভাল তুমি ভুল, তোমার রুচি খারাপ।
আমি জানি কোন অভিবাক ও বলবেনা তোমার রুচি খারাপ। তারা তাকে সুন্দর জিনিস দেখিয়ে বলবে দেখ এটা ভালনা ?
তখন সে নিজেই বিচার করবে তার পছন্দ পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।
মানুষ হাতের কাছে যা পাবে তা নিয়ে বেঁচে থাকার প্রাণী। পছন্দ অপছন্দ এভাবেই গড়ে উঠে।
কেউ যদি তার সময়ে তার সামর্থ অনুযায়ী আইফোন কিনতে পারে তাহলে সে আইফোনই কিনবে।
আর চাহিদার সাথেও পছন্দ অপছন্দের পরিবর্তন হয়।
কেউ যখন মমতাজ বা শরিফুদ্দিনের গান শুনে আনন্দ পাবে আপনি তাকে তাচ্ছিল্য করতে পারবেননা।
কেউ যখন তাহসানের নাটক দেখবে তাকে আপনি এটা ওটা বলতে পারবেননা। কেনইবা বলবেন।
মানুষকে তাচ্ছিল্য করার দায়িত্ব কি আমাদেরকে দেয়া হয়েছে ?
এ দুনিয়াতে সবসময় দু রকমের মানুষ থাকবে।
একদল পছন্দ করবে অন্যদল অপছন্দ করবে। সবাই প্রাথমিকভাবে তাদের জায়গায় সঠিক।
আসলে এই বিষয়টা মানব সম্পর্কের মধ্যে পড়ে। কিভাবে মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করা যায়। কিভাবে কারো অজান্তে তার ভুল সুধরে দেয়া যায় তাকে কষ্ট না দিয়ে।
এসব হচ্ছে এক প্রকার আর্ট, শিল্প।
এই শিল্প থেকে আমরা দূরে আছি।
আমরা সেকেন্ডের মধ্যে প্রশ্ন তুলি তুমি খ্যাত কেন !
মানুষ হয়েও হাঙ্গরের মত আচরণ করি। আমি নিজেই করি। মানব জাতিকে দোষ দিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
সব শেষে, যারা মানুষের রুচিতে প্রশ্ন তোলে তারাও কিন্তু তাদের জায়গায় ঠিক। তারা নিজদের স্মার্ট, আধুনিক ভাবে।
আসলে তারা সুন্দর আচরণের চ্যাপ্টার না পড়েই পরীক্ষায় পাশ করার চেষ্টা করে। এতে তাদের দোষ নেই।
দোষ আমার। আমি যখন অভিবাবক হবো পুরো দোষ আমার। আমি কেন আমার অধীনস্থদের ভাল আচরণের অধ্যায় পড়ালামনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪